মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
কিছুদিন আগে জামুড়িয়ায় এসে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের কয়লা ব্যবসায়ী নিখোঁজ ও পরে খুনের ঘটনার নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পুলিস দুই প্রধান অভিযুক্ত এরসাদ খাঁ ওরফে কাট্টু খাঁ এবং তার স্ত্রী মদিনা বিবিকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করিয়ে খুন ও খুনের পিছনে কারণ সম্পর্কে একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত কাট্টু খাঁর লরি চালক এনামুল পলাতক। তবে তদন্তে উঠে এসেছে কাট্টু খাঁর আরও এক আত্মীয়ের নাম। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কাট্টু খাঁ ও মদিনা বিবি নিশ্চিত ছিল সাফিকুল আলম ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে কার বাড়িতে এসেছেন তা জানে না তাঁর পরিবারের লোক। সেই মতো ওই টাকা হাতানোর ষড়যন্ত্র করে। মদিনা বিবিকে টাকা রাখতে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। সেই টাকার অর্ধেক প্রথমে সরিয়ে রাখে মদিনা বিবি। বাকি ছ’লক্ষ টাকার লোভ দেখানো হয় এনামুল ও আর এক আত্মীয়কে। ঠিক হয় খুনের পর ছ’লক্ষ টাকা তিনভাগে ভাগ হবে। সেই মতো রাতে বাড়িতে ব্যবসায়ী ঘুমিয়ে পড়লে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে কাট্টু, এনামুল ও তার আত্মীয়। এরপর দেহ লরিতে তুলে শাল নদীতে নিয়ে গিয়ে সিমেন্টের পোলে বেঁধে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিলে নলি কাটা হয়। পরে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। সেইদিনই কাট্টু, এনামুল ও ওই আত্মীয় দু’লক্ষ টাকা করে নিয়ে ফেরার হয়ে যায়। বাড়ি ফিরে আসে মদিনা বিবি। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটার পর রবিবার সাফিকুল আলমের পরিবার মদিনা বিবির কাছে ব্যবসায়ীর খোঁজে আসে। এরপরেই সে নিশ্চিত হয়ে যায় তার বাড়িতে যে ব্যবসায়ী ছিল তা জানাজানি হয়ে গিয়েছে। এরপর সেও গা ঢাকা দেয়।
অন্যদিকে, আসানসোলে স্টেশন লাগোয়া এলাকায় পুলিসকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিস একপ্রকার নিশ্চিত যে ঝাড়খণ্ডের এই কুখ্যাত অপরাধী আসানসোলকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করত। এখানে সে কোনও অপরাধ সংগঠিত করতে আসেনি। প্রসঙ্গত, আসানসোল স্টেশনের কাছে শ্যুট আউটের ঘটনার ঝাড়খণ্ডের দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। টিআই প্যারেড করানোর পর ১২ দিন নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।