মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকেই সমস্ত বাসের পরিবহণ পরিচালনা করা হয়। কিন্তু, ওই ঘরটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল। সেই ঘরটি সিউডি ডিপোর কর্মীরাই অনুদান দিয়ে ফের সংস্কার করেছেন। এদিন ওই ঘরটি উদ্বোধন করা হয়। তবে, এদিন কর্মীরা উত্তরবঙ্গ রাস্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যানের কাছে ডিপো সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।
কর্মীদের দাবি, বর্তমানে সিউড়ি ডিপোতে প্রবেশ ও প্রস্থানের কোনও গেট নেই। ফলে, নিরাপত্তার স্বার্থে ওই দু’টি বসানো প্রয়োজন। এছাড়া গ্যারেজের পাঁচিলটি ভেঙে পড়ায় একাধিক মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে যাচ্ছে। গ্যারেজের ঘরগুলিরও বেহাল অবস্থা। এছাড়া সেখানে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি গাড়ি ধোয়ার জন্যও জলের ব্যবস্থা নেই।
কর্মীদের আরও দাবি, প্রয়োজন মতো টায়ার ও যন্ত্রপাতি না থাকার জন্য বেশকিছু গাড়ি বসে রয়েছে। এরফলে ডিপোর আয় কমে গিয়েছে। সিউড়ি ডিপোর আয় বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত ১০টি গাড়ি সহ ১৫জন করে চালক ও পরিচালকের ব্যবস্থা করারও আর্জি জানিয়েছেন কর্মীরা। তাঁদের দাবি, সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য একাধিকবার বিভাগীয় ও হেড অফিসে আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার এক কর্মী তথা তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের সিউড়ি ডিপো সম্পাদক সরিফ মহম্মদ বলেন, আমরা এই ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমটি ১লক্ষ ২০হাজার টাকা ব্যয়ে সংস্কার করেছি। এখানকার কর্মীরাই সেই টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছেন। তবে, সিউড়ি ডিপো নিয়ে একাধিক সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম নির্মাণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেকেই। সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য আলোচনা করা হবে। তবে তিনি বলেন, ডিপো ও বাসগুলির যে পরিকাঠামো আগে ছিল তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী না থাকলে বাটি হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষে করতে হতো। বামফ্রন্ট যদি ক্ষমতায় থাকত তাহলে কর্মীদের বেতন হতো কি না সন্দেহ রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর নতুন বাস কেনা চলছে। আমরা মানুষের স্বার্থে নতুন বাস কিনছি। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অধীন প্রায় ৬৫০বাস কেনা হয়েছে। আবারও কেনা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে মাঝেমাঝে পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ আসে। তাই মানুষের জন্য পরিষেবা আরও একটু বাড়ানো হল। তবে, বহরমপুর ডিভিশনে নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ২কোটি ৪৬লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। এরজন্য কর্মীদের কৃতজ্ঞতাও জানান চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান বলেন, সংস্থার যত কর্মচারী রয়েছেন তাঁদের নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করার পরিকল্পনা করেছি। প্রত্যেকের অন্তত একদিনের মাইনে তহবিল করে রাখা হবে। সেই তহবিল কর্মীদের স্বার্থে ব্যয় করা যেতে পারে।