মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী খড়্গপুরবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে আসছেন। এখানে তিনি জেলার সব প্রান্তের বহু নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি সাধারণ মানুষ সভায় হাজির হবেন ধরে নিয়ে আমরা ব্যবস্থা করেছি।
মুখ্যমন্ত্রী আসার দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর থেকেই জেলাশাসক রশ্মি কমল, পুলিস প্রশাসনের কর্তারা বারবার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরাও একাধিকবার সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সুষ্ঠুভাবে সভা পরিচালনার জন্য পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খড়্গপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য অঞ্চল থেকে জেলা পর্যন্ত সবস্তরের আলোচনা হয়েছে। শহর থেকেই ২০ হাজার কর্মী-সমর্থক মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য সেখানে জমায়েত হবেন। তবে, সরকারি অনুষ্ঠান হওয়ায় জেলা নেতৃত্ব দলীয় পতাকা ছাড়া সকলকে সভায় যাওয়ার জন্য বলেছে।
তৃণমূলের জন্মের পর থেকে এবারই প্রথম উপনির্বাচনে জিতে খড়্গপুর বিধানসভা শাসক দলের দখলে এসেছে। গত লোকসভায় এই কেন্দ্রে বিজেপি ৪৫ হাজার কাছাকাছি ভোটে লিড পেয়েছিল। এবার বিধানসভা উপনির্বাচনে সেই লিডকে ছাপিয়ে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার ২০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। উপনির্বাচনে দলের জয়ের মূল কাণ্ডারী ছিলেন মন্ত্রী তথা জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের ফল বের হওয়ার পরদিনই তিনি খড়্গপুরে এসে নতমস্তকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এখানকার মানুষকে। ওই সভায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর শহরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
এই প্রথমবার খড়্গপুর বিধানসভায় দলের বিপুল সাফল্যের জন্য শহরবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা জানাতে আসছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে জেলার অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি খড়্গপুর বিধানসভা এলাকার জন্য একাধিক নতুন প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলন্যাস তাঁর হাত ধরেই হবে। তবে, এই শহরে মানুষের চাহিদা স্টেডিয়াম ও অডিটোরিয়াম। দু’টিই এই বিধানসভা এলাকায় নেই। নব নির্বাচিত বিধায়ক প্রদীপবাবু শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্টেডিয়াম এবং অডিটোরিয়াম তৈরির জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, বিদ্যাসাগর শিল্প তালুকে স্টেডিয়ামের জন্য জমি বরাদ্দ হয়ে রয়েছে। সেখানে ৫ কোটি টাকা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল। তাতে সীমানা প্রাচীর হয়েছে। কিন্তু, স্টেডিয়ামের পূর্ণাঙ্গ কোনও পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। কোনও খেলা আয়োজনের জন্য রেলের স্টেডিয়ামের উপর নির্ভর করতে হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলারদের বক্তব্য, স্টেডিয়ামের পাশাপাশি এখানে একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করাও জরুরি। কারণ, কোনও কিছু অনুষ্ঠান করতে হলে রেলের উপর নির্ভর করতে হয়। আমাদের বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আর্জি রেখেছেন। শহরবাসীর আশা, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা থেকেই শহরবাসীর দাবি মেনে স্টেডিয়াম ও অডিটোরিয়াম নিয়ে কিছু ঘোষণা করবেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এদিন হেলিকপ্টারে আসবেন। তাঁর সভাস্থলের পাশেই হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। রাবণ পোড়া ময়দানে বিশাল মঞ্চ তৈরি করার কাজ রবিবার রাতেই শেষ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে ৩৬টি নতুন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ২৯টি নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া সভাস্থল থেকে বহু উপভোক্তার হাতে তিনি চেক তুলে দেবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সভাস্থলে বিধায়ক, কাউন্সিলার, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সদস্য ও পদাধিকারীরা, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের চেক নেওয়ার জন্য কয়েক হাজার উপভোক্তাও সভাস্থলে হাজির থাকবেন।