কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
এলাকায় বন্যা হওয়ায় গ্রামের দু’টি পরিবার ওই যুবতীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তাদের সুবিধার্থে ঘরের দরজা খোলা ছিল। সেই সুযোগে গভীর রাতে প্রতিবেশী ওই যুবক ঘরে ঢুকে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ছাত্রীর ছোট বোন দেখে ফেলায় তাকেও মেরে ফেলার ভয় দেখায়। পরে গ্রামের লোকজনই ওই যুবককে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি হওয়ায় বাহাগোলপুরের দু’টি পরিবার ওই ছাত্রীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। একটি ঘরে দুই কিশোরী ও আশ্রয় নেওয়া প্রতিবেশীর এক শিশু ঘুমিয়ে ছিল। পাশের ঘরে ওই ছাত্রীর বাবা-মা ছিলেন। অন্য দু’টি ঘরে আশ্রয় নেওয়া পরিবার ছিল। রাতে তাঁদের সুবিধার্থে ঘরের দরজা খোলা রাখা ছিল। সেই সুযোগে প্রতিবেশী যুবক তাদের ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের পর খুন করে বলে অভিযোগ। পরে অভিযুক্ত পালিয়ে গেলে ওই ছাত্রীর বোনের চিৎকারে সবাই চলে আসেন।
মৃত ছাত্রীর বাবা বলেন, আমরা পাশের ঘরে ছিলাম, কিছুই বুঝতে পারিনি। দরজা খোলা থাকার সুযোগে ওই যুবক ঘরে ঢুকে আমার সর্বনাশ করেছে। আমরা রাতেই গ্রাম থেকে ওই যুবককে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছি। ও আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি ওর উপযুক্ত সাজা চাই। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ধৃত যুবক নানা অসামাজিক কাজে যুক্ত। মদ, গাঁজা, হেরোইনের নেশায় আসক্ত। এলাকায় নানা কুকর্মের সঙ্গে যুক্ত সে। এর আগেও একাধিক মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে সে। এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।