কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
পুলিসের কাছে অভিযোগে সংস্কৃত কলেজের ভাষা বিজ্ঞানের ছাত্র দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, তাঁর পরিবার কালীবাজার এলাকায় থাকে। মায়ের শরীর খারাপের খবর শুনে মঙ্গলবার রাতে তিনি বাড়ি আসেন। বুধবার বিকেলে তিনি কলকাতায় যাওয়ার জন্য আলিশা বাসস্ট্যান্ডে যান। তাঁর সঙ্গে এক বান্ধবীও ছিল। আলিশা বাসস্ট্যান্ডে ৬-৭ জন মিলে তাঁকে আটকায়। তাঁকে কিল, চড়, ঘুষি মারা হয়। কোনও রকমে তিনি ও তাঁর সঙ্গী বাসে উঠে পড়েন। বাস থেকে নামিয়েও তাঁকে মারধর করা হয়। ২০-৩০ জন তাঁকে পরে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। মারধরে জড়িতরা বিজেপি ও এভিবিপির সমর্থক বলে পরিচিত। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এভিবিপির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। তাতে নাম জড়ায় দেবাঞ্জনের। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর মা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলেকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ট্যুইট করে দেবাঞ্জনকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা জানান।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে দেবাঞ্জনের বান্ধবীর বয়ান দেন। তাঁর বয়ান নথিভূক্ত করেছে পুলিস। বাসস্ট্যান্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মারধরে জড়িতদের তিনজনকে শনাক্ত করে পুলিস। তাদের ধরার পর মারধরের জড়িত বাকিদের হদিশ পায় পুলিস। দেবাঞ্জন বলেন, বিজেপির লোকেরাই আমার উপর হামলা চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে ক্ষমা করার ট্যুইট করেছিলেন তার যে কোনও মূল্য নেই, তা আমার উপর হামলার ঘটনায় প্রমাণিত হল।
বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে মারধরে জড়িতের বিরুদ্ধে পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয় না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে মারধরে জড়িত বামপন্থী পড়ুয়াকে পুলিস পাহারায় কলকাতায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তারপর মিথ্যা অভিযোগে আমাদের লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে এসপির কাছে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল যাবে।