কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
পুরুলিয়া শহরের সম্প্রতি খাবার সরবরাহকারী বিভিন্ন সংস্থা জাঁকিয়ে বসলেও হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিকদের অনেকের মতে, পুজোর সময় বাড়িতে বসে খাওয়ার তুলনায় অনেকেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া সেরে বাড়ি ফিরতেই ভালোবাসেন। শহরের বাসিন্দাদের চাহিদাকে মাথায় রেখেই পুজোর মুখে রেস্টুরেন্টগুলিও হরেক রকম খাবার তৈরি করছেন। পুরুলিয়া শহরের সাহেববাঁধের পাড়ে এক রেস্টুরেন্টের মালিক রোহিত লাটা বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও পুজোর সময় আমরা বাঙালির ঐতিহ্যের খাবারের উপরেই সবচেয়ে জোর দিয়ে আসছি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাটির পাত্রে বাড়ির আত্মীয়ের মতোই সকলকে যত্ন করে খাবার পরিবেশন করা হবে। ৪৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত থালি রয়েছে। প্রতিদিনই প্রায় ২০ রকমের আলাদা আলাদা মেনু থাকবে। বাটা পোনার ঝোল, কচুর লতি, কচি পাঁঠার মাংস, চিতল মাছের মুইঠ্যা, মোচার ঘণ্ট, ঠাকুরবাড়ির মাংস, ইলিশ বাটনা সহ হরেকরকম মেনু রয়েছে পুজোর চারদিন। সেই সঙ্গে রেস্টুরেন্টের অন্যান্য খাবার তো রয়েছেই।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার পঞ্চমী থেকেই শপিং মলের ওয়াকিং স্ট্রিটে ‘বঙ্গ কম্বো’ পুজো স্পেশাল খাবারের স্টল করেছে শহরের অভিজাত একটি হোটেল। ওই হোটেলের কর্ণধার নরেশ কুমার আগরওয়াল বলেন, ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই ‘বঙ্গ কম্বো’ চলবে। সাধারণ মানুষ যাতে সাধ্যের মধ্যে অভিজাত হোটেলের খাবারও নামমাত্র মূল্যে পুজোর সময় খেতে পারেন, তারজন্য এই উদ্যোগ।
এদিকে পুরুলিয়া শহর ছাড়িয়ে রাঁচি রোডে শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই একটি রেস্টুরেন্টের কর্ণধার সৌগত দাস ওরফে রাজা বলেন, পুজোর ভিড় এড়িয়ে নিরিবিলি পরিবেশে সুস্বাদু ঘরোয়া খাবারের জন্য আমার রেস্টুরেন্টে আসতেই হবে। সারাবছরের অন্যান্য মেনুর সঙ্গে পুজোতে আরও বেশকিছু খাবার এবার পাওয়া যাবে। ভেজ কিংবা নন ভেজ খাবারের হরেকরকম মেনু রয়েছে এই রেস্টুরেন্টে। রয়েছে বিভিন্ন চাইনিজ খাবারও। অন্যদিকে, শহরের শপিং মল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলির প্রায় প্রতিটিই পুজোর জন্য স্পেশাল মেনু তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে পুজোর ভিড় সামলাতে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাও।