বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ভাতারে মহাপ্রভুতলা থেকে ভাতার হাইস্কুল মাঠ পর্যন্ত রথ টানা হয়। বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল, ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ অংশ নেন। বড়শুলে গোলপার্কে রথযাত্রা উপলক্ষে মেলা বসেছে। সেহেরাবাজারে জয়জগন্নাথ সংঘ, খণ্ডঘোষে চিন্তামণিপুর, বড়গোপীনাথপুর, শাঁখারি, রায়নার সাঁকো, শ্যামসুন্দরে ঠাকুরবাড়ির রথযাত্রা ঘিরে স্থানীয়দের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। মেমারির কেন্না সায়েরপাড়ে বহু পুরনো রথযাত্রা ঘিরেও ব্যাপক উন্মাদনা ছিল। সেখানে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন।
কালনা শহরে পাথুরিয়া মহল্লায় রামসীতা মন্দিরে ২০০বছরের প্রাচীন জগন্নাথ মন্দিরের ২১ভোগের মধ্যে দিয়ে রথযাত্রা উৎসব পালিত হল। প্রাচীন এই উৎসবে প্রচুর ভক্তপ্রাণ মানুষ ভিড় জমান। তবে, এখানে জগন্নাথ রথে চড়েন না। স্থায়ী মন্দিরে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের দারু মূর্তি পুজো হয়। পুজো কমিটির সদস্য তারক চৌধুরী, চাঁদুকুমার বলেন, ২০০বছরের প্রাচীন এই পুজোয় তেমন আড়ম্বর না থাকলেও নিষ্ঠা, ভক্তি ও সুন্দর দারু মূর্তি দেখতে প্রচুর ভক্তপ্রাণ মানুষ ভিড় করেন।
অন্যদিকে, কালনার রাজবাড়ি চত্বরে বর্ধমান রাজাদের আমলে প্রতিষ্ঠিত লালজি মহারাজের রথ উৎসব পালিত হয়। রথে জগন্নাথদেবের জায়গায় অধিষ্ঠিত করা হয় লালাজিদেবকে(রাধা-গোবিন্দ)। একসময় লালজিবাড়ির রথ হাতিতে টানত। সেই রথ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর কালনার মানুষের সহযোগিতায় লোহার রথ তৈরি হয়। এছাড়া ধাত্রীগ্রাম বড় স্বরাজপুরে রথের দড়ি টেনে ও রাস্তায় ঝাড়ু দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে আউশগ্রামেও সাড়ম্বরে পালিত হল রথযাত্রা। বৃহস্পতিবার রথযাত্রা উপলক্ষে আউশগ্রামের দিগনগর, গুসকরার কমলনগর, গোবিন্দপুর, বৈকুণ্ঠপুর, তকিপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় নামল ভক্তের ঢল। দিগনগরের রথের মেলায় জগন্নাথদেব, লাফিং ভূত, গোপাল ভাঁড়, পেঁচা সহ নানান মৃন্ময়ী মূর্তি কিনতে দোকানে দোকানে ভিড় জমায় কচিকাঁচারা।
ধুমধাম করে পশ্চিম বর্ধমানেও রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। বরাকর থেকে উখড়া সর্বত্র উৎসবের আমেজ ছিল। রানিগঞ্জের রাজবাড়ির রথ বহু পুরনো। এখানে বহু দূর দূরান্তের লোকজনও এদিন ভিড় করেছিলেন। রথ উপলক্ষে মেলাও বসেছে। এছাড়া বার্নপুর, বরাকর এবং কুলটিতেও জাঁকজমক ভাবে রথটানা হয়। এদিন দুর্গাপুরে ইস্কন মন্দির থেকে রথ চতুরঙ্গ ময়দানে আসে। এখানে মেলাও বসেছে। রাজেন্দ্র প্রসাদ এলাকা, মামরা বাজারেও রথ বের হয়। কাঁকসার বনকাঠি পঞ্চায়েত এলাকার রথ বহু পুরনো। উখড়াতেও ভিড় উপচে পড়েছিল।