বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিন বাঁকুড়া শহরের বড় ও ছোট রথ উৎসবে মাতেন শহরবাসী। শহরের পোদ্দার পাড়া থেকে বের হওয়ার পর মাচানতলা হয়ে ছোট রথ শহর পরিক্রমা করে। অন্যদিকে, নতুনগঞ্জ থেকে বড় রথ রাস্তায় নামে। ব্যাপারিহাট বড় রথপুজো কমিটির সম্পাদক তথা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দিলীপ আগরওয়াল বলেন, এদিন নতুনগঞ্জ থেকে লালবাজার হয়ে শহর পরিক্রমার পর ফের রাত ১২টা নাগাদ মন্দির প্রাঙ্গণে এসে রথযাত্রা শেষ হয়। এদিন বিষ্ণুপুর শহরের কৃষ্ণগঞ্জ ও মাধবগঞ্জে রশিতে টান দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের সূচনা করেন পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। প্রায় ১২৮বছর ধরে চলে আসা দু’টি বড় রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে এদিন নাগরিকদের উন্মাদনা তুঙ্গে ছিল।
এছাড়াও এদিন বিষ্ণুপুরের ভড়া, জয়রামবাটি, জয়পুরের মাগুরা, তালডাংরার মুড়াকাটি, সোনামুখী, পাত্রসায়র, ইন্দাস সহ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় রথের রশিতে টান দিতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। রথযাত্রা উপলক্ষে অনেক জায়গায় মেলাও বসেছে।
বিষ্ণুপুর শহরের মাধবগঞ্জ এগারোপাড়া ষোলোয়ানা কমিটির সম্পাদক গৌতম গোস্বামী বলেন, এদিন সকালে রথযাত্রার সূচনা হয়। সাতদিন ধরে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উল্টোরথে শোভাযাত্রা বের হবে। কৃষ্ণগঞ্জ আটপাড়া ষোলোয়ানা কমিটির সভাপতি রবিলোচন দে বলেন, এদিন সকালে পুজোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে রথযাত্রার সূচনা হয়েছে। কৃষ্ণগঞ্জের রথতলা প্রাঙ্গণে মোট তিনবার রথ টানা হয়। এদিনই রাতে আরও একবার রথ টানা হয়।
অপরদিকে, পুরুলিয়া জেলাজুড়ে মহাসমারোহের সঙ্গে পালিত হল রথযাত্রা। এদিন পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সিস্ট্যান্ড থেকে ঐতিহ্যশালী পিতলের রথ দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান। এদিন পুরুলিয়া শহরের গোপালমোড় থেকে একটি রথ বের হয়। এছাড়াও শহরের দুলমি এলাকা থেকে এবছরই নতুন একটি রথ উৎসব ঘিরেও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। বলরামপুর বাজারে রথে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান। ঝালদা শহরের রথ ছাড়াও ঝালদা থানা এলাকার তুলিন, মধুপুর, জারগো ও ইচাগ থেকেও রথ বের হয়। জেলার অন্যান্য প্রান্তে রথের মেলা না থাকলেও ছোটবড় অনেক রথ বের হয়। হুড়াতেও রথযাত্রাতে বহু মানুষ ভিড় জমান। এছাড়া রঘুনাথপুর মহকুমার সাতটি থানা এলাকায় রথযাত্রা উৎসবে এলাকাবাসী মেতে ওঠেন। রঘুনাথপুর থানার ভারত সেবাশ্রম ও স্থানীয় ইসকনের পক্ষ থেকে দুটি জায়গায়, সাঁতুড়ি থানার শিউলি পাহাড় মাঠ প্রাঙ্গণ ও তিয়াশি গ্রামে, নিতুড়িয়া থানার সরবড়ি, কাশীপুরের তালাজুড়ি ও মনিহারা, পাড়া থানার আনাড়া, সাঁওতালডিহি থানার পেনসিলডাঙা ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রর ভিতর রথের দড়ি টানতে মানুষ ভিড় জমান।
এদিকে, আরামবাগ শহরে পুরাতন সব্জি বাজার থেকে রথ বের হয়ে সারা শহর পরিক্রমা করে। তাছাড়া কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের তরফেও প্রত্যেক বছরের মতো এবারও ঐতিহ্যবাহী রথ বের হয়। কামারপুকুরের রথযাত্রা ঘিরে এদিন আলাদা আকর্ষণ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বহু ভক্ত ও মহারাজরা রথের দড়িতে টান দেন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় ঢাক ও বাজনার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন রথযাত্রা উপলক্ষে মঠে বিশেষ পুজোপাঠও চলে। অন্যদিকে, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দাদের উদ্যোগেও পঞ্চম বর্ষের রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। পূর্ব বর্ধমানের দামিন্যাতে কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর বাস্তুভিটা থেকে রথ বের হয়ে আরামবাগের পূর্ব হরিপুরে শেষ হয়। ওই রথযাত্রায় বাসিন্দাদের অনেকেই সং সাজেন। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজিরও দেখা গিয়েছে। পুরশুড়ায় ইসকনের রথযাত্রাও ছিল নজরকাড়া। খানাকুলের হেলান, ময়াল, পলাশপাই প্রভৃতি এলাকাতেও জাঁকজমক করে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়েছে। এছাড়া রথযাত্রা উৎসব ঘিরে আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় মেলাও বসেছে।