বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে রেশন সামগ্রী পরিমাণে কম বিলি, অনিয়মিত দোকান খোলা, গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার সহ একাধিক অভিযোগ সম্প্রতি আমার কাছে জমা পড়ে। তার ভিত্তিতে এদিন বেলা ১১টা নাগাদ আমি অভিযানে গিয়েছিলাম। খাদ্য দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী এদিন রেশন দোকান খোলা থাকার কথা। অথচ দোকান বন্ধ ছিল। মজুত মালপত্র এবং খাতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য আমরা ডিলারের খোঁজ করি। তাঁর বাড়ি লাগোয়া রেশন দোকান। ডিলার কলকাতায় গিয়েছেন বলে তাঁর স্ত্রী দাবি করেন। অথচ অভিযুক্ত ডিলারের মোবাইলের ‘টাওয়ার লোকেশন’ পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি বাঁকুড়া শহরের আশ্রম পাড়া এলাকায় অভিযানের সময় ছিলেন। অভিযুক্তের স্ত্রী ডিলারের ফোন নম্বর এবং রেশন দোকানের চাবি দিতে অস্বীকার করেন। অভিযুক্ত ডিলারকে আমরা এদিন সাসপেন্ড করি। প্রশাসনকে কাজে বাধা, আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করা সহ একাধিক অভিযোগে ডিলারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। এদিন ওই দোকান আমরা সিল করেছি। পাশের গ্রামের ডিলারের কাছ থেকে এক্তেশ্বর গ্রামের গ্রাহকরা আপাতত রেশন সামগ্রী পাবেন।
অভিযুক্ত ডিলারের সঙ্গে দিনভর যোগাযোগ করা যায়নি। এদিন তাঁর স্ত্রী বনশ্রী দেওঘরিয়া বলেন, আমার ছেলেকে কলকাতার একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করার জন্য স্বামী বুধবার বাড়ি থেকে বের হন। এদিন তিনি কলকাতায় ছিলেন। তাই রেশন দোকান বন্ধ ছিল। তবে আমাদের বিরুদ্ধে সামগ্রী কম দেওয়া বা দোকান অনিয়মিতভাবে খোলা রাখার অভিযোগ ঠিক নয়। বিষয়টি এদিন জেলাশাসককে জানিয়েছি।
গ্রাহকদের মধ্যে টিরু গড়াই এদিন বন্ধ রেশন দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ডিলার আমাদের চাল ওজনে কম দেন। এব্যাপারে কৈফিয়ত চাইলে সরবরাহ কম রয়েছে বলে জানান। বারবার এবিষয়ে অভিযোগ জানালে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই অবস্থা চলছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা খুশি।
তৃণমূলের স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বলেন, গরিব উপভোক্তাদের প্রাপ্য রেশন সামগ্রী আত্মস্যাৎ করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ওই ডিলারের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি দলের তরফে প্রশাসনকে জানানো হবে।