উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
অন্যদিকে, ছোট থেকেই দৃষ্টিহীন সোমনাথ। কিন্তু তাঁর পড়াশোনার দিকে অনান্য ছাত্রদের থেকে একাগ্রতা কোনও অংশেই কম নয়। সে কারণেই এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। তাঁর মানসিক জেদের কাছে হার মানে দৃষ্টিহীনতা। তাঁর বাড়ি সাঁইথিয়া থানার নানুবাজার এলাকায়। এই ফলে খুশি তার পরিবারের লোকজন। সোমনাথ বলেন, আমার বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। সেজন্য পড়াশোনার ক্ষেত্রে পরিবারের লোকজনদের পাশাপাশি শিক্ষকরা খুবই সাহায্য করেছেন। তাঁদের সাহায্যের কারণে আজ এতদূর পৌঁছতে পেরেছি। আমি ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চাই। কিন্তু, পরিবারের আর্থিক সমস্যা তাঁকে চিন্তায় ফেলেছে। তাঁর বাবা পেশায় দিনমজুর। কোনওরকমে দিন চলে যায়। কিন্তু আগামী দিনে পড়ানোর ক্ষমতা নেই। সোমনাথের বাবা হোপনা হেমব্রম বলেন, আমরা দিনমজুর। কোনওরকমে আমাদের দিন চলে যায়। ছেলের শিক্ষক সাহায্য না করলে এত দূর পড়াশোনা চালানো সম্ভব হতো না। ছেলে ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চায়। কিন্তু অতদূর আমাদের পড়ানোর ক্ষমতা নেই। কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা সাহায্য করলে ছেলের ইচ্ছে পূরণ হবে। ছেলের মানসিক জেদের কাছে হার মেনেছে তার দৃষ্টিহীনতা। দৃষ্টিহীন হওয়া সত্ত্বেও সে অন্যান্য ছাত্রদের তুলনায় কোনও অংশে পিছিয়ে ছিল না। মাধ্যমিকেও ভালো রেজাল্ট করেছিল সে বলে জানান হোপনাবাবু।
এব্যাপারে স্কুলের টিচার ইনচার্জ আস্তিককুমার মিশ্র বলেন, ওরা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সাফল্য পেয়েছে। ভবিষ্যতেও সবরকম সাহায্য করব। এছাড়া পড়াশোনার দিক থেকে আমরা সাহায্য করতাম। ওরা যেহেতু অন্য ছাত্রদের থেকে একটু আলাদা সেজন্য ওদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হতো। সোমনাথ ও নাবিরুলের জন্য আমাদের স্কুলের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে।