উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
যদিও হার নিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, প্রতিটি ওয়ার্ডে তাঁদের আগের তুলনায় ভোট বেড়েছে। ভোট কমেছে বাম, কংগ্রেসের। যার ফলস্বরূপ তৃণমূলকে বিজেপির কাছে পরাস্ত হতে হয়েছে। তবে, পুর নির্বাচনে ফের তারা জয়ের মুখ দেখবে বলে আশাবাদী তৃণমূল নেতৃত্ব। রঘুনাথপুর পুরসভার গত নির্বাচনে ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে শাসক দল ১, ২, ৪, ৬, ৭, ৯, ১২ ও ১৩ নম্বর সহ মোট আটটি ওয়ার্ড দখল করে। তার মধ্যে ৩, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড যায় সিপিএমের দখলে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডটি বিজেপি ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড কংগ্রেসের দখলে যায়। নির্বাচনের কয়েকমাস পর বিজেপির কাউন্সিলার শুভঙ্কর কর তৃণমূলে যোগদান করেন। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের কাউন্সিলার তথা তৎকালীন শহর কংগ্রেসের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে এই পুরসভা থেকে লিড পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল তৃণমূল। যদিও ফলাফল বেরনোর পর সবকটিতেই জোড়াফুল শিবিরের ভরাডুবি হয়েছে।
রঘুনাথপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ৮৫৪টি ও বিজেপি ১১২৭টি ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ৫২৮টি ও বিজেপি ৮৫৫টি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৮১ ও বিজেপি ৫৪১, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৮১ ও বিজেপি ৩৯৭, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ২৩০ ও বিজেপি ৫৪২টি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ৩৫৭, বিজেপি ৩৬৭, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ২৯১ ও বিজেপি ৬২১, ৮ নম্বরে তৃণমূল ৪৬১ ও বিজেপি ১৪০০, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১১৪, বিজেপি ৫৪৪, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১১৫, বিজেপি ৭০৩, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ২১৫, বিজেপি ৭৭২, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ৩৫৬, বিজেপি ৭১১। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ৩৬৬টি ও বিজেপি ৯৮০টি ভোট পেয়েছে। পুরসভার সার্বিক ফলাফল অনুযায়ী বিজেপি ৯হাজার ৫৬০(৬৯ শতাংশ) এবং তৃণমূল ৪হাজার ২৩৯(৩১ শতাংশ) ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ এই পুরসভা থেকে বিজেপি ৫হাজার ৩২১টি ভোটের লিড পেয়েছে।
এনিয়ে পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম কাউন্সিলার প্রদীপ দাস বলেন, তৃণমূল বামেদের ভোট রামে যাওয়ার যে যুক্তি খাড়া করছে তা ঠিক নয়। এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের অপশাসন, পঞ্চায়েত ভোট লুট করা সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারেননি। তাই মানুষ তৃণমূলকে পরাস্ত করতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।
এদিকে, বাঁকুড়া লোকসভায় কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দেয়নি। তারজন্য রঘুনাথপুর শহরের কংগ্রেস ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। তবে কংগ্রেসের শহর সভাপতি তারকনাথ পরামানিকের সাফ কথা, কংগ্রেসের প্রথম পছন্দ ছিল নোটা। কিন্তু তৃণমূলের অন্যায় অত্যাচার দেখে দলের কিছু মানুষের ভোট যে বিজেপি পেয়েছে তানিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
বিজেপির শহর সভাপতি স্বপ্নেশ দাস বলেন, শিল্প শহর হিসেবে পরিচিত রঘুনাথপুরে বাম আমলে জমি কেনা হলেও শিল্প হয়নি। শহরের সবথেকে বড় সমস্যা পানীয় জল। সেই সমস্যা সমাধানের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শহরে নোংরা, আবর্জনা সাফাই করা হয়নি। শহরের পিচ রাস্তাগুলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই মানুষ মুখের উন্নয়নের মিথ্যা কথায় না ভুলে প্রকৃত উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন।