উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
মালদহ জেলার তিনব্লকের তিন স্কুলের প্রায় দেড়শো ছাত্রছাত্রীর ট্যাব কেনার টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যেই প্রায় সমস্ত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশে। কিন্তু টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
মালদহের ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবের টাকা কীভাবে চোপড়া, ইসলামপুর, অসমে চলে গেল? অবাক প্রশাসনের কর্তারা। আধিকারিকদের অনুমান, যে পোর্টালে ছাত্রছাত্রীদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আইএফএসসি নম্বর আপলোড করা হয়, তা হ্যাক করা হয়েছে। পোর্টালটি কোনও কারণে হ্যাক হয়ে থাকলে তার ওটিপির (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) নোটিফিকেশন পাওয়া যায় না। ফলে হ্যাকারদের পক্ষে পোর্টালের ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড হ্যাক করা খুব কঠিন নয়।
হবিবপুর ব্লকের কেন্দপুকুর হাইস্কুলে ৯১ জন ছাত্রছাত্রীর ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে। এদিন সকাল দশটায় এই স্কুলে আসেন জেলার ওসি (এডুকেশন) স্মৃতা সুব্বা এবং ডিআই (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস।
বাকি দুটি স্কুলেও দীর্ঘক্ষণ প্রধান শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক, করণিক সহ স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর জেলাশাসকের কার্যালয়ে পুলিস সুপার, ডিআই, অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) সহ অন্যদের উপস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলে। তিন স্কুলের প্রধানকে তলব করা হলেও বৈঠকে ডাকা হয়নি।
মালদহ জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস বলেন, তদন্ত করে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলাশাসক জানান, দুটি পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিস প্রশাসন একটি তদন্ত করছে। আরেকটা জেলাপ্রশাসনের তরফে করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সামগ্রিক পরিস্থিতি জেনে নিয়ে বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্যসচিবকে সমস্ত রিপোর্ট জানান জেলাশাসক।
ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে বৈঠক করছেন জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া, পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, ডিআই (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস সহ জেলা পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।-নিজস্ব চিত্র