উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
মির্জাপুরের বোল্লাকালী পুজো কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার বর্মন বলেন, জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে আমরা মায়ের আরাধনা করি। বোল্লাকালীর পুজোর দিনেই এখানে রাতভর মায়ের আরাধনা হয়। সেই হিসেবে এবার ২২ নভেম্বর পুজো হবে। এরপর সপ্তাহব্যাপী মেলা চলবে। পাশাপাশি বাউল গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঝুমুর নাচের আসর বসবে। পুজোর পর সেই বেদিতে রেখেই সারা বছর মায়ের পুজো করা হয়। গ্রামে কোনও অনুষ্ঠান হলে মায়ের কাছে প্রথমে পুজো দেওয়া হয়। যদিও অর্থের অভাবে স্থায়ী মন্দির তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তবে এনিয়ে পরিকল্পনা হয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগে তাঁরা বালুরঘাটের বোল্লাকালী মন্দিরে পুজো দিতে যেতেন। একদিকে দূরত্ব, অন্যদিকে ভিড়ে রাত জেগে পুজোয় শামিল হওয়া সকলের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই বড় বোল্লাকালীর পুজোর অনুকরণে মির্জাপুর গ্রামেও শুরু করা হয় পুজো। এখানেই তাঁরা বোল্লাকালী মাতার পুজোয় মেতে ওঠেন। স্থানীয় বাসিন্দা রাজকুমার বর্মন বলেন, আমরা চাঁদা তুলে পুজোর আয়োজন করি। অনন্তপুর, মির্জাপুর, গৌড়িপুর, শঙ্করপুর এলাকার বাসিন্দারা পুজোয় শামিল হয়। পুজোর দিন মাটির তৈরি ১৪ হাত উঁচু প্রতিমাকে অলঙ্কারে সজ্জিত করা হয়। রাতভর পুজোর পর প্রসাদ বিতরণ হয়। সব মিলিয়ে গ্রামে উৎসবের আমেজ থাকে। পুজোর সময় আত্মীয়রাও আসেন। পুজোকে কেন্দ্র করে পাঁচ হাজার ভক্তের সমাগম হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। ফলে ভিড় সামাল দিতে বাড়তি পুলিস মোতায়েন করার পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর থাকে পুলিস ও স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ববিতা সরকার বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সহায়তা শিবির করার পাশাপাশি পুজো, মেলা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। -নিজস্ব চিত্র