সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকে যদি করোনার তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার নেয় আর সেই সময় যদি ডেঙ্গুও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেই জন্যই এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-২ ডাঃ তুলসী প্রামাণিক।
সাম্প্রতিক অতীতে ডেঙ্গুতে শিলিগুড়ি মহকুমায় ব্যাপক সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বৃষ্টি নামতেই ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের মতোই গুরুত্ব দিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার কাজে তাঁরা নেমে পড়েছেন। তাতে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই জোর দেওয়া হয়েছে কোথাও যাতে বৃষ্টির জল জমে থাকতে না পারে সেদিকে।
ডাঃ তুলসী প্রামাণিক বলেন, বৃষ্টির জল যাতে না জমে থাকে তার আগাম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জমা জলে যাতে কোনওভাবে ডেঙ্গুর বাহক মশার বংশবিস্তার না ঘটে সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি চলছে বাড়ি বাড়ি সার্ভে ও সচেতনতা প্রচার।
সেই মতো শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে। ১৩৪টি ভেক্টর কন্ট্রোল টিম ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করছে। ৪০০’রও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ি বাড়ি সার্ভে করে তথ্য সংগ্রহ করছে কোন কোন বাড়িতে জ্বরের ঘটনা রয়েছে, জল জমে থাকছে কি না। শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ এলাকাতেও একইভাবে কাজ হচ্ছে। মাটিগাড়ার ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, তারাও বেশ কিছুদিন ধরেই ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ করছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, মশার লার্ভা মারার রাসায়নিক সব জেলা থেকে এসেছে। পরবর্তীতে গাপ্পি মাছ পেলে মশার লার্ভা মারা কাজে সেটিও ব্যবহার করা হবে।
এদিকে আশাকর্মীদের এবার বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোথাও যাতে বৃষ্টির জল জমে না থাকে সেটা দেখার। তাতে নিকাশি ব্যবস্থা পরিষ্কার রাখাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বেশকিছু মানুষ আবাসন তৈরির সরঞ্জাম রাস্তা ও ড্রেন দখল করে ফেলে রাখার অভ্যাস এখনও ত্যাগ করতে পারেননি। গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় প্রতিবন্ধকতা। তাই পুরোপুরি বর্ষা নামার আগে নিকাশি ব্যবস্থা পরিষ্কারের কাজে জোর দিয়েছে মাটিগাড়া ব্লক প্রশাসন। বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পর জমা জল সরিয়ে দেওয়া, যেখানে জমা জল সরানো সম্ভব হবে না সেই সব জায়গাতে মশা মারার তেল স্প্রে করা সবই হবে।