Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অবলুপ্তির আত্মঘাতী
পথে সিপিএম
মৃণালকান্তি দাস

সময়ের কী পরিহাস! 
চৌত্রিশ বছরের ‘বাম-শাসন’-এর পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখছেন বামপন্থীবিহীন রাজ্য বিধানসভা। যেখানে সিপিএম-সহ রাজ্যের বাম দলগুলির কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। আর সেটা হয়েছে বহুদিন পর রাজ্যের বাম রাজনীতিতে একঝাঁক তরুণ মুখ আসার পরেও। যদিও ২০১৯-এর নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করলে এমন হওয়াটা অপ্রত্যাশিত নয়। প্রকৃতপক্ষে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলেই লোকসভা ও বিধানসভায় বামপন্থীরা শূন্য হয়ে গিয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে তাতে সিলমোহর পড়েছে মাত্র। পরিসংখ্যানে নজর রাখলে বোঝা যায়, এই ঘটনা হঠাৎ ঘটেনি। বামপন্থীদের ‘অধঃপতন’ পশ্চিমবঙ্গে কার্যত ধারাবাহিক এবং নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে গত ১৫ বছর ধরেই। ‘শ্যাম রাখি, না কুল রাখি’ করতে গিয়ে একদা বাঙালির মননে অধিষ্ঠিত বামপন্থার আজ ভগ্নদশা।
২০০৬-এ রাজ্য বিধানসভার ২৩৫টি আসন জিতে ক্ষমতায় এসেছিল বামফ্রন্ট। অধঃপতনের শুরু তারপর থেকেই। ২০১১-এ ক্ষমতা হারানোর পরও অধোগতি চলল নিজের গতিতেই। কেন ২০১১-তে বাম সরকারের পতন ঘটল তা নিয়ে আজ অবধি সিপিএম কোনও বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন করে উঠতে পারেনি। তাই আজও সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা হয় ‘বিরোধীদের চক্রান্ত’ হিসেবে। অথচ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সংঘাত কোনও দুর্ঘটনা ছিল না। ঔপনিবেশিক ১৮৯৪ আইনের মাধ্যমে জোর খাটিয়ে জমি অধিগ্রহণ, সালিম গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত স্পেশাল ইকনমিক জোন, এগুলো সবই ছিল উন্নয়নের নয়া উদারবাদী মডেলের বিভিন্ন অঙ্গ। যেগুলি অন্যান্য রাজ্যে সিপিআইএম-সহ সমস্ত বামপন্থীরা বিরোধিতা করে। বিকল্প নীতির রাস্তা ছেড়ে, ‘গুজরাত মডেল’-এর অনুসরণে, নয়া উদারবাদী উন্নয়নের পথে বামফ্রন্ট সরকারের চলার মধ্যে যে অন্তর্নিহিত দ্বিচারিতা, সেটাই সিপিএমের মতাদর্শগত এবং রাজনৈতিক সঙ্কটকে ডেকে আনে। এরপরও শুদ্ধিকরণের পথকে বর্জন করে ২০১৬-র নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় ফেরার শর্টকাট কৌশল নিলেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বররা। ক্ষমতায় ফেরা তো হলই না, এই সুবিধাবাদী জোটের ফলে বামফ্রন্ট বিধানসভায় তৃতীয় স্থানে চলে গেল। এর থেকেই সৃষ্টি হল বিরোধী পরিসরের শূন্যস্থান, যেটা সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জনমতকে কাজে লাগিয়ে ভরাট করতে থাকে বিজেপি। এই ক্রমাগত অধঃপতনের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি গত এক দশকে সিপিএমের পর্যালোচনা থেকে। মেলেনি কীভাবে তা ঠেকানো যাবে, তার সঠিক পথনির্দেশও। নেতাদের গা বাঁচিয়ে একটা দায়সারা রিপোর্ট তৈরি করেই সিপিএম তার দায় ঝেড়ে ফেলছে।
যেমন ধরুন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্ন! একটা সময়ে সিপিএমের রাজনীতির ভরকেন্দ্র ছিল এককাট্টা কংগ্রেস বিরোধিতা। কেরলে প্রথম বামপন্থী সরকারের অপসারণ থেকে শুরু করে জরুরি অবস্থা, সেই সময়ের সন্ত্রাস, গ্যাট চুক্তি, বোফর্স কেলেঙ্কারি— যে-কোনও সিপিএম ন্যারেটিভে জাতীয় কংগ্রেস তখন পয়লা নম্বর শত্রু। বিজেপির সর্বভারতীয় উত্থানের পর কেন্দ্রীয় স্তরে সেই কংগ্রেসের সঙ্গে মিত্রতা। তবুও পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে কংগ্রেসের সঙ্গেই মারকাটারি লড়াই। ২০১১ পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সেই কংগ্রেস আবার এরাজ্যে সিপিএমের স্বাভাবিক মিত্র। কে না জানে, এই বদল কোনও আদর্শগত অবস্থান নয়, নেহাতই রাজনীতিতে অস্তিত্ব বজায় রাখার বা ক্ষমতা পুনর্দখল করার কৌশল মাত্র। এই প্রশ্নে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা কী যুক্তি দেন, তাতে কিছু যায় আসে না, সাধারণ মানুষ একে ভণ্ডামিই বলে!
শুধু কংগ্রেস নয়, হিন্দু মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে সিপিএমের সম্পর্ক কী হওয়া উচিত তা নিয়ে দলের মধ্যেই রয়েছে ঐতিহাসিক টানাপোড়েন। জরুরি অবস্থা চলাকালীন ১৯৭৫ সালের আগস্টে পদত্যাগ করেন সিপিএমের প্রথম সাধারণ সম্পাদক পি সুন্দরাইয়া। দলের পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের কাছে লেখা ওই মাসের ২২ তারিখের চিঠিতে তাঁর পদত্যাগের যে দশটি কারণ উল্লেখ করেছিলেন, তার প্রথমটিই ছিল জনসঙ্ঘ ও আরএসএস নিয়ে পার্টির অবস্থান। তিনি এই দুই শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করার যে পার্টি লাইন তার বিরোধী ছিলেন। এমনকী, তিনি আরএসএসকে ‘আধা সামরিক ফ্যাসিস্ত’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।
আর ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বামপন্থীদের শোচনীয় পরাজয়ের পরে নেতৃত্বের একটা অংশ বিশ্বাস করতে শুরু করেন, বিজেপিকে দিয়ে তৃণমূলের কাঁটা উপড়াতে হবে। তাই কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতার চড়া সুর থাকলেও রাজ্য স্তরে তৃণমূল বিরোধিতার প্রশ্নে সিপিএম ও বিজেপি প্রায় একসুরে কথা বলতে শুরু করে। যার ফল ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাম ভোটের সরাসরি বিজেপির বাক্সে জমা হওয়া। এরপর থেকেই ‘২০২১-এ রাম, ২০২৬ সালে বাম’ নামে এক প্রতিক্রিয়াশীল স্লোগান তৈরি হয় এবং অনেক বামপন্থী মানুষ সেটা বিশ্বাস করতে শুরু করেন। এই অন্ধ নীতির ফলে যাঁরা বিজেপির ফ্যাসিবাদী চরিত্রকে উন্মোচিত করতে চেয়েছেন তাঁদেরকেই ‘তৃণমূলের স্তাবক’ বলে দেগে দিয়েছে সিপিএম। এই কাজে দোসর হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বামেদের অধুনাখ্যাত ট্রোল বাহিনী।
২০২১-এ নির্বাচনে লড়তে নেমে সিপিএম সেই ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের তথাকথিত যুদ্ধ ছিল ‘বিজেমূল’ নামে একটা কাল্পনিক দলের বিরুদ্ধে। যে দলের ভূভারতে কোনও অস্তিত্ব নেই। তারা এক অদ্ভুত তত্ত্ব বাজারে ছাড়ে যার মূল কথা হল, বিজেপিকে পরাজিত করতে হলে তৃণমূলকে পরাজিত করতে হবে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, বিজেপি ও তৃণমূল একই মুদ্রার এ-পিঠ ও-পিঠ মাত্র। গোটা দেশের লোক যখন মোদি-মমতার মরণপণ দ্বৈরথ দেখছে, সিপিএম তখন চোখ বন্ধ রেখে বলেছে, ও-সব ‘সেটিং’। আসলে দল তো একটাই, তার নাম বিজেমূল। ছায়ার সঙ্গে এই পুরো যুদ্ধটাই করা হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল বাইনারি ভাঙার নাম করে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিজেমূল নামক এই বকচ্ছপ ধারণাটাকে জনতা স্রেফ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
আসলে তৃণমূল তথা মমতার কাছে ২০১১ সালে পরাজয়কে কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি সিপিএম নেতৃত্বের একাংশ। তাই রাজনীতি-বিযুক্ত ব্যক্তি-আক্রোশ প্রাধান্য পেয়েছে। বিধানসভা ভোটের প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে বলার চেয়ে মমতাকে নিয়ে লঘুরসের তাচ্ছিল্য ভরা উপহাস করতে বেশি আগ্রহ ছিল তাদের। ‘বিজেপিকে হারাতে গেলে আগে তৃণমূলকে হারাতে হবে।’ এই আত্মঘাতী স্লোগান তুলে ঘৃণার বিষ বাম সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়েছে সিপিএমই। এই স্লোগান দলের পরিধির বাইরে বিশাল জনসমষ্টির সঙ্গে বামশক্তির বিচ্ছিন্নতা তৈরি করে। একসময় পাড়ায় পাড়ায় মানুষের হাঁড়ির খবর রাখা কমরেডরা এখন মমতাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করাটাকেই রাজনৈতিক টাস্ক এবং শ্রেণি সংগ্রামের অনুশীলন বলে মনে করেন। তাই তাঁদের বিকল্প নীতি ছিল ধোঁয়াশাময়।
সিপিএমের আরেকটা ভুল পদক্ষেপ, তৃণমূল সরকারের জনমোহিনী প্রকল্পগুলি সম্পর্কে ধারাবাহিক বিষোদ্গার, যা বামেদের নির্বাচনী প্রচারে চরমে উঠেছিল। একটা আদ্যন্ত নয়া অর্থনীতির জমানায় যখন রাষ্ট্র বাজারের চাপে তার জনকল্যাণমূলক দায়বদ্ধতা ক্রমশ ত্যাগ করছে, তখন দুনিয়াজুড়ে জনগণের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের দাবি জোরদার হচ্ছে। সিপিএমের নেতাদের একথা অজানা নয়, ১০০ দিনের রোজগার যোজনাই হোক বা মিড ডে মিল—সবটাই সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথী, ২ টাকার চাল, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই, খাতা, ব্যাগ বা ল্যাপটপ দেওয়াকে ধারাবাহিক ভাবে ভিক্ষার রাজনীতি আখ্যা তারাই দিতে পারে, যাদের অবস্থান গরিব মানুষ থেকে বহু দূরে। শ্রেণি বিশ্লেষণহীন ভোটমুখী রাজনীতিই যদি বামদের ফিরে আসার মোহিনীমন্ত্র হয়, তবে মানুষ বামপন্থীদের পছন্দ করবে কেন? বরং বলা ভালো, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রো-গরিব তকমাটা দখল করে ফেলেছেন।
ভোট বিশ্লেষকদের অনেকেই বলেন, ‘নো ভোট টু বিজেপি’ বলায় সিপিএম রেগে যাচ্ছিল, তার কারণ সিপিএম ‘অল ভোট টু বিজেপি’ করতে চেয়েছিল। যা বাংলার মানুষ চায়নি। শুধু তাই-ই নয়, আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বাধীন আইএসএফের সঙ্গে জোট প্রতীয়মান হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের মুসলিম প্রধান আসনগুলিতে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে তৃণমূলকে দুর্বল করে বিজেপিকে শক্তিশালী করার নীল নকশা হিসেবে। মুসলিমরা একদিকে এই নীল নকশাকে সজোরে প্রত্যাখান করেছেন আর বামপন্থীদের একটা অংশ বিজেপির বিপদ সম্পর্কে সচেতন হয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। এর পরিণতি বামপন্থীদের প্রাপ্ত ভোট ৫ শতাংশের নীচে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতে চেয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে সিপিএম। পরের যাত্রা তো ভঙ্গ হলই না, নিজের নাকটাই কাটা গেল। বিজেপি ৩ থেকে ৭৭ হল। বাম-কংগ্রেস ৭৬ থেকে শূন্য!
২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত শরীর শুকিয়ে আসছে অথচ রোগটাই জানা যাচ্ছে না। রোগ ধরার চেষ্টা হয়েছে কোনও? ভুল লাইনের নাগপাশে সিপিএম আজ এতটাই আবদ্ধ যে, এর থেকে কোনও সহজ মুক্তির সম্ভাবনা নেই। প্রয়োজন মতাদর্শগত পুনরুজ্জীবন, রাজনৈতিক শুদ্ধিকরণ এবং সর্বোপরি দিগ্ভ্রান্ত নেতৃত্বের আপাদমস্তক পরিবর্তন। তা কি সম্ভব?
10th  June, 2021
মমতার নির্দেশে
অভিষেকের মাস্টারস্ট্রোক
হিমাংশু সিংহ

এতদিন বাংলার রাজনীতিতে মাস্টারস্ট্রোক কথাটা শুধু জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সমার্থক ছিল ষোলোআনা। কিন্তু এখন তার আর এক দাবিদার উপস্থিত। পুত্রসম অভিষেক।
বিশদ

সেলিব্রেটি থেকে সংগঠক,
রাজনীতির নতুন ধারা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই বলে থাকেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন, তৃণমূল ততদিন। তারপর পার্টিটাই আর থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জবাবও দিয়েছেন। তিনি বহুবার বলেছেন, ‘যাঁরা ভাবছেন, আমি চলে গেলে দলটা উঠে যাবে, তাঁরা ভুল ভাবছেন। তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি।’ এতদিন তিনি যে কথা মুখে বলতেন, এবার সেটা করে দেখাচ্ছেন।
বিশদ

12th  June, 2021
পুরুষ আধিপত্যের ভিড়ে
সফল শাসক দুই বাঙালি নারী
সমৃদ্ধ দত্ত

রাজনীতির হিসেব-নিকেশ বাদ দিয়ে নিছকই জাতিগত আকাঙক্ষার তাগিদে ২০২৪ সালের দিকে আমরা বাঙালিরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে লক্ষ করব এই জাতিটির জার্নিতে সত্যিই কি একটি নতুন ইতিহাস রচিত হবে? একদা একসঙ্গে থাকা দু’টি পাশাপাশি দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীই কি বাঙালি নারী হবেন? বিশদ

11th  June, 2021
দেশ নিয়ে মোদির ভাবার
এত সময়ই নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

মোদির জনপ্রিয়তার পাড় ভাঙছে। অন্য পাড়ে ক্রমেই জেগে উঠছে মমতা নামের এক নতুন সবুজ, স্বপ্নের ভূমি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে চোখে চোখ রেখে পাঙ্গা লড়ার শক্তি তিনি আপন ক্ষমতাবলে অর্জন করেছেন। বিশদ

09th  June, 2021
হোক প্রোপাগান্ডা!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হোক প্রোপাগান্ডা! মন্ত্র লিখতে হবে, কৃষকের জন্য এক। শ্রমিকের জন্য এক। শিক্ষকের জন্য আর এক। কমোন মন্ত্র অবশ্য একটাই—আচ্ছে দিন। ভ্যাকসিন নীতির ঠিকঠিকানা নেই, রাজ্য সরকার প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না, হাসপাতালে বেড নেই, পেট্রল-ডিজেল রোজ ঊর্ধ্বমুখী, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া... আচ্ছে দিনের ভালো নমুনা বটে।
বিশদ

08th  June, 2021
হাঁড়ির হাল নিয়ে বৃহৎ,
ক্ষুদ্র দু’পক্ষই একমত
পি চিদম্বরম

সার্বিকভাবে পুরো জাতি এবং গড়পড়তা ভারতবাসী, ২০১৭-১৮ সালের যে পজিশন ছিল তারও পিছনে পড়ে গিয়েছে। অর্থনীতিটা ঘেঁটে গিয়েছে এবং তাতে ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রথম কারণ—বিপর্যয় সৃষ্টিকারী নীতিগুলো (যেমন বিমুদ্রাকরণ, বিশৃঙ্খল জিএসটি)। দ্বিতীয় কারণ—কোভিড-১৯। আর তৃতীয় কারণ—অর্থনীতি সামলাতে সরকারের লেজেগোবরে অবস্থা। 
বিশদ

07th  June, 2021
এক আমলা যখন বাঙালির
আত্মমর্যাদার প্রতীক!
হিমাংশু সিংহ

মুখ্যসচিব হিসেবে তিনি কার নির্দেশ মানতে বাধ্য? আলাপনবাবুর দোষটা কোথায়? তিনি তো কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিব নন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব। আসলে কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতা ও এক্তিয়ারের এই সীমাহীন টানাপোড়েনের মধ্যে দাঁড়িয়ে একজন মুখ্যসচিবের করণীয় কী, সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। বিশদ

06th  June, 2021
আলাপনেই শেষ নয়, ফের
আসবে নতুন কোনও ইস্যু
তন্ময় মল্লিক

লোকসভার ভোটের দেরি থাকলেও মোদি-বিরোধী সলতে পাকানো শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে সেই লড়াইয়ের মুখ মমতা। তাই মোদি-অমিত শাহ জুটি তাঁকে চাপে ফেলতে মরিয়া। অস্ত্র একটাই, বিতর্ক তৈরি। তারজন্য শিষ্টাচার, প্রোটোকল, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন, সিবিআই- যা হোক একটা পেলেই হল। বিশদ

05th  June, 2021
কেন আজ ধ্বংসের
মুখোমুখি দীঘা উপকূল
মৃন্ময় চন্দ

দীঘার পূর্ব পরিচিতি ছিল ‘বীরকুল’ নামে। ১৭৮০ সালে দীঘার সৌন্দর্যে মুগ্ধ ওয়ারেন হেস্টিংস তাঁর স্ত্রীকে লেখা চিঠিতে পুবের ‘ব্রাইটন’ বলে দীঘাকে উল্লেখ করেছিলেন। ব্রিটিশ পর্যটক ‘জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ’ ১৯২৩ সালে দীঘার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে মেলে ধরলেন তার ভুবনমোহিনী ঐশ্বর্যকে। বিশদ

05th  June, 2021
আজ এই পরিস্থিতিতে কে হওয়া উচিত প্রতিপক্ষ?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমাদের কেউ চাকরি খোঁজে। কেউ ছেলেমেয়ের বিবাহের সম্বন্ধ খোঁজে। কেউ খোঁজে ভালো জমি। বহু মানুষ খোঁজে পুরনো রোগ সারানোর ভালো ডাক্তার।
বিশদ

04th  June, 2021
করোনার গ্রাসে মোদির দর্প ও অহঙ্কার
মৃণালকান্তি দাস

কোভিড-যুদ্ধে জিততে ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। টিকা উদ্ভাবনের পর সেই ডাকের প্রাবল্য আরও বেড়েছিল। বিজেপির মেজো-সেজো নেতারাও হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গোটা দুনিয়াকে টিকার জোগান দিয়ে রক্ষা করবে ভারতই। মোদিই এখন ‘বিশ্বগুরু’। মোদি ও তাঁর দলের রাজনীতির মূল সমস্যা এটাই।
বিশদ

03rd  June, 2021
একাই বলে যাবেন,
শুনবেন না
হারাধন চৌধুরী

 

হল্লাগুল্লার নষ্ট সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুন নরেন্দ্র মোদি। কেটে গেল সাতটা বছর, সে তো কম সময় নয়! এবার অন্তত জানুন, মানুষ কী চায়। শিখুন, ভারত রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বহির্ভারতেরও প্রত্যাশা কতখানি। বিশদ

02nd  June, 2021
একনজরে
বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই দু’পক্ষের যুযুধান সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। ভোটকে ঘিরে সেই তিক্ততা আরও ঘনীভূত হয়েছে। ...

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবার একটু বেড়ে গেল। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ...

টেক্সাসের অস্টিনে গুলিচালনার ঘটনায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিস সূত্রে খবর, এর মধ্যে দু’জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সন্দেহভাজন বন্দুকবাজ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। ...

শনিবার সকালে ভয়াবহ আগুন লাগল দিল্লির একটি মার্কেটে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি শোরুম। দমকলের মোট ৩০টি ইঞ্জিন ও শতাধিক কর্মীর দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৭: বিখ্যাত দৌড়বীর পাভো নুরমির জন্ম
১৯৬৫: প্রাক্তন ক্রিকেটার মনিন্দর সিংয়ের জন্ম
২০১২: গজল গায়ক মেহদি হাসানের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১৪ টাকা ৭৩.৮৫ টাকা
পাউন্ড ১০১.৭৫ টাকা ১০৫.২৭ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৬ টাকা ৯০.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
12th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭, ০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১। তৃতীয়া ৪১/৫৪ রাত্রি ৯/৪১। পুনর্বসু নক্ষত্র ৩৫/১৩ রাত্রি ৭/১। সূর্যোদয় ৪/৫৫/২৪, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ১০/৩২ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/১৬ মধ্যে।
২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১। তৃতীয়া রাত্রি ৭/২৩। পুনর্বসু নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৯/২৬ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/১৬ মধ্যে। 
২ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: অস্ট্রিয়া ৩-১ গোলে হারাল নর্থ ম্যাসিডোনিয়াকে 

11:34:00 PM

ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় নোভাক জকোভিচের 
ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় নোভাক জকোভিচের। আজ, রবিবার স্টেফানোস সিটসিপাসকে ৬-৭, ...বিশদ

11:10:00 PM

করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত মিলখা সিংয়ের স্ত্রী
করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন মিলখা সিংয়ের স্ত্রী নির্মল কাউর। ...বিশদ

10:43:15 PM

ইউরো কাপ: অস্ট্রিয়া ১ – নর্থ ম্যাসিডোনিয়া ১ (হাফটাইম) 

10:24:40 PM

ডেবরায় ৫২ কেজি গাঁজা সহ গ্রেপ্তার ২
ডেবরায় ৫২ কেজি গাঁজা সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ...বিশদ

09:24:00 PM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ১-০ গোলে হারাল ক্রোয়েশিয়াকে 

08:28:47 PM