সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গোপালপুর মৎস্যখটিতে ৩৫টি মৎস্যজীবী পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। এখানে আটটি টু-সিলিন্ডার বোট ও একটি দাঁড় টানা নৌকায় মাছ ধরেন মৎস্যজীবীরা। সব মিলিয়ে এই মৎস্যখটির উপর পাঁচ শতাধিক মৎস্যজীবী পরিবারের জীবন ও জীবিকা নির্ভরশীল।
শনিবার মৎস্যখটিতে গিয়ে দেখা গেল, জলোচ্ছ্বাসের দাপটে ২০ ফুটের মতো সমুদ্রপাড় ভেঙে গিয়ে ভিতরে ঢুকে এসেছে। আর যেখানে-সেখানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। একাধিক বোট ভেঙে পড়ে রয়েছে। মৎস্যখটিতে একটি নলকূপ থাকলেও দীর্ঘ কয়েক বছর অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এদিকে জলোচ্ছ্বাসে পুকুরের সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে গিয়েছে। তাই খটিতে একটি সাবমার্সিবল পাম্পই ভরসা। যদিও সেই পাম্প নোনা জলে ডুবে যাওয়ায় পানীয় জল কিছুটা নোনা হয়ে গিয়েছে। এখন কেউ সেই নোনা জলই পান করছেন। কেউ আবার বাইরে থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করছেন। পুকুর নোনা জলে ভর্তি থাকায় সেখানে স্নানেও সমস্যা হচ্ছে। খটিতে আটটি সোলার লাইট থাকলেও সবগুলিই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
মৎস্যজীবী দেবব্রত মণ্ডল বলেন, যশ ঘূর্ণিঝড়ের দিন পাড় ভেঙে মৎস্যখটিতে জল ঢুকে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া গোপালপুরের উত্তর দিকে বাঁকিপুট পর্যন্ত কংক্রিটের পাড় বাঁধানো হয়েছে। অথচ এখানে শুধু ব্ল্যাকস্টোন ফেলেই দায় সেরেছে সেচদপ্তর। আবার পূর্ণিমা কোটাল আসছে। আর একবার বড় জলোচ্ছ্বাস হলে খটি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের দাবি, কংক্রিট দিয়ে স্থায়ীভাবে পাড় বাঁধাতে হবে। মৎস্যখটির সম্পাদক দেবাশিস দলাই বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে আমরা খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছি। সমস্যার কথা মৎস্য দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জেলা সহ মৎস্য-অধিকর্তা(সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ বলেন, আমরা ওই মৎস্যখটির সমস্যার কথা জানি। সেচদপ্তরকে পাড় মেরামতির ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বাকি সমস্যাগুলি ধীরে ধীরে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। মৎস্যখটিতে যে ক্ষয়ক্ষতি ও সমস্যা রয়েছে সেবিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আমরা কাগজপত্র জমা দিতে বলেছি।
সেচদপ্তরের কাঁথি বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তমকুমার হাজরা বলেন, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই ভগ্নপ্রায় সমুদ্রপাড় মেরামতির কাজ শুরু হবে।