সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম অসীম প্রামাণিক। তাঁর বাড়ি ব্লকের করদহ হাইস্কুলপাড়ায়। ঘটনার সময়ে বাড়িতে তাঁর স্ত্রী রাখী প্রামাণিক, ১০ বছরের ছেলে ও এক ভাইঝি ছিল। ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে খাওয়াদাওয়া করে তাঁরা ঘুমিয়ে যান। মাঝরাতে অজ্ঞাত পরিচয় একব্যক্তি ফোন করে নিজেকে শ্মশানযাত্রী পরিচয় দিয়ে রুটি কিনতে চায়। কিন্তু, অতরাতে অসীমবাবু দিতে অস্বীকার করেন। এরপর তারা বাড়ির সামনে এসে ডাকাডাকি করে। কাকুতিমিনতি করার পরে অবশেষে দোকান খুলে রুটি দিতে অসীমবাবু রাজি হন। আচমকাই তিন দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে স্বমূর্তি ধারণ করে। অসীমবাবুর চিৎকার শুনে তাঁর স্ত্রী জেগে যান এবং স্বামীকে বাঁচাতে চলে আসেন। তাঁকেও মারধর করে হাত-পা বেঁধে রাখে দুষ্কৃতীরা। এরপর ঘর থেকে সোনার গয়না ও টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। অসীমবাবুকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থাতেই গাড়ি তুলে নিয়ে চলে যায়।
অসীমবাবুর স্ত্রীর দাবি, রুটি নিতে যারা এসেছিল তাকে উনি চেনেন সম্ভবত। সেই জন্যই তুই বলে সম্বধন করছিলেন। আমরা ওকে অনেক খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। কী অবস্থায় আছে জানি না, খুব চিন্তা হচ্ছে। জেলার পুলিস সুপার রাহুল দে বলেন, তপনের করদহে চুরি ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ব্যবসায়ীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীর পরিচিত কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অসীমবাবুর স্ত্রী বলেন, স্বামীকে অনেক রাতে কেউ বারবার ফোন করছিল। শ্মশানযাত্রীর জন্যই মানবিকতার খাতিরে আমরা রুটি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা পিস্তল, চাকু দেখিয়ে মারধর করে। সোনার জিনিস ও টাকাপয়সা কোথায় আছে তা জানতে চায়। আমাকে বেঁধে রেখে ওকে তুলে নিয়ে যায়। আমি চাই, পুলিস তাড়াতাড়ি স্বামীকে খুঁজে বের করুক। অসীম প্রামাণিক দু’বছর আগে করদহ হাইস্কুলের কাছে বাড়ি তৈরি করেন। সেখানেই রুটি, বিস্কুটের ডিস্ট্রিবিউটর নেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর পরিচিতি বৃদ্ধি পায়। ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠে। স্থানীয়দের অনুমান, এর থেকেই হয়তো আক্রশ।