সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, অবৈধ সম্পর্কের জেরে লোকলজ্জার ভয়ে দু’জনেই ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হল মুনমুন মাইতি দাস (৩৫) ও বিশ্বজিৎ দাস (২৫)। মুনমুনের স্বামী বাপ্পা দাস ও মৃত বিশ্বজিৎ দাস সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই। তাদের পাশাপাশি বাড়ি।
মৃত বিশ্বজিতের বাবা হরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, কেন ছেলে এভাবে মারা গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। ও নেপালে কাজ করত। কিছুদিন আগে নেপাল থেকে বাড়িতে আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই ছিল। রাতের খাবার খেয়ে শুতে যায়। বিশ্বজিৎ ভাইয়ের সঙ্গে একঘরেই ঘুমিয়েছিল। অনেক রাতে ছোট ছেলে আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তোলে। ও বলে দাদা ঘরে নেই। রাতেই আমরা খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু পাইনি। সকালে স্থানীদের কাছে জানতে পারি ছেলের অস্বাভাবাকি মৃত্যু হয়েছে। মনে হচ্ছে, দু’জনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিল। তবে আমরা আগে থেকে এমন কিছুই জানতাম না।
মুনমুনের শ্বশুর বিশ্বজিতের জ্যেঠু ভগবত দাস বলেন, আমার মনে হয় দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দু’জনে সিদ্ধান্ত নিয়ে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে পরিবারে কেউ কিছুই জানত না।
রায়গঞ্জের পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, দু’টি অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। একটি গাছের ডালেই মৃতদেহ ছিল। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ন’বছর আগে বাপ্পা দাসের সঙ্গে মুনমুনের বিয়ে হয়। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে। সংসারের জন্য দু’পয়সা বেশি রোজগার করতে বাপ্পা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে মুনমুন এখানেই থাকত। বিশ্বজিৎও বিভিন্ন সময় ভিনরাজ্যে কাজ করত। পরে নেপালে কাজে চলে যায়। দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে এলাকায় লোকজনের মুখে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।