সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, বর্ষা শুরু হলেই ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে প্রজননের শুরুতে এডিস মশার লার্ভা মেরে ফেলতে না পারলে যেকোনও এলাকায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে। ফলে প্রাক্বর্ষায় জেলার তিন বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতেই নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর। তাই বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন শুক্রবার স্বাস্থ্যদপ্তরকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যায় বৈঠকটি হয়। বৈঠকে জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা ও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পতঙ্গবিদ অনন্ত মাঝি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ডেঙ্গুর বাহক মশার লার্ভা নষ্ট করতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বাড়ির আনাচে কানাচে, ফুলের টবে, পরিত্যক্ত ডাবের খোলে ও টায়ারে জমা জল ফেলে দেওয়ার অভিযান শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। তারজন্য পঞ্চায়েত, পুরসভা এলাকায় স্বাস্থ্যদপ্তরের ভেক্টর কন্ট্রোল টিমকে ফের বাড়ি বাড়ি পাঠানো হবে। মশা মারার তেল স্প্রেও করা হবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ১০০০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাতে কালচিনির বাসিন্দা তিনজনের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। যদিও এ নিয়ে অযথা উদ্বেগের কিছু নেই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলায় জেলার ৬৬টি পঞ্চায়েতের সঙ্গে শহর এলাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করতে আমাদের টিম বাড়ি বাড়ি যাবে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পতঙ্গবিদ অনন্তবাবু বলেন, বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিস মশার লার্ভা খুঁজে তা নষ্ট করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, এ কাজে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে জেলার ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক সীমান্ত জয়গাঁয়। কারণ গতকয়েক বছরে জয়গাঁ ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকা হয়ে উঠেছে। তবে স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যানে আশার কথা আলিপুরদুয়ার পুর এলাকায় ২০১৭ সালে একজন, ২০১৮ সালে দু’জন ও ২০১৯ সালে একজন বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু, গতবছর ও চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার শহরে ডেঙ্গুর কোনও কেস নেই।