সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
বারাকপুরের পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, হায়দরাবাদ পুলিস এই বিষয়টি আমাদের জানিয়েছিল। এমনকী, ওরা আমাদের সাহায্যও চেয়েছিল। আমরা তাদের সাহায্য করছি। মূলপাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে এই নাল্লামথু অনিল কুমার। ওই অ্যাকাউন্টটি ‘ফ্রিজ’ করা ছিল। বিভিন্ন নকল নথি বানিয়ে সে একটি ভুয়ো কোম্পানি খোলে। সেই কোম্পানির নামে একটি অ্যাকাউন্টও খোলা হয়। তারপর ‘ফ্রিজ’ থাকা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রায় দু’কোটি টাকা ওই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে। পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে, বড় ধরনের জালিয়াতি হয়েছে। তারপর অভিযোগের ভিত্তিতে হায়দরাবাদ সিটি পুলিসের সাইবার ক্রাইম থানা ঘটনার তদন্তে নামে। তদন্তে নাল্লামথু অনিল কুমারের নাম উঠে আসে। হায়দরাবাদ পুলিস জানতে পারে, সে পশ্চিমবঙ্গে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। প্রতারণার পর সে প্রথমে ওড়িশায় কিছুদিন লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে পরে ঝাড়খণ্ডে চলে যায়। সেখানেও কিছুদিন ছিল। পরে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তিই তাকে নোয়াপাড়ায় বাড়ি ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেয়। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে সে ঝাড়খণ্ড থেকে নোয়াপাড়ার ভাড়া বাড়িতে এসে উঠেছিল।
দু’দিন আগেই হায়দরাবাদ সিটি পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখার অফিসাররা বারাকপুরে এসে পৌঁছন। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। শনিবার পুলিস তার ঠিকানা খুঁজে পায়। সেই অফিসারদের সঙ্গে নোয়াপাড়া থানার আইসি পার্থসারথি মজুমদার সহ পুলিসের একটি টিম আচমকা ওই বাড়িতে হানা দেয়। তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। ঝাড়খণ্ড থেকে যে ব্যক্তি তাকে নোয়াপাড়ায় বাড়ি ভাড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, পুলিস সেই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিস জানতে পেরেছে, এই এলাকায় ওই ব্যক্তির যাতায়াত ছিল। সেই সুবাদে সহজেই বাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সে। ধৃতকে আজ, রবিবার বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। সেখান থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে।