কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পরেশবাবু বিগত বাম সরকারের শেষ পাঁচবছর খাদ্যদপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়েও তিনি জেলায় ভালো কাজ করেছিলেন। এবার পূর্ণ দপ্তর না পেলেও তিনি জেলার জন্য কাজ করবেন বলে দাবি তাঁর অনুগামীদের।
মেখলিগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সহ সভাপতি বিষ্ণু ঘোষ বলেন, জেলায় দু’জন মাত্র তৃণমূলের প্রতীকে জয়লাভ করেছেন। অভিজ্ঞতার নিরিখে পরেশবাবু মন্ত্রী হবেন, তা আমরা ধরেই নিয়েছিলাম। এদিন আমরা খুশিতে বাজি পুড়িয়েছি। কোভিড পরিস্থিতির কারণে সবাইকে বেশি উল্লাস করতে নিষেধ করা হয়েছে। মন্ত্রী এলাকায় ফিরলেই সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
পরেশবাবু মন্ত্রী হওয়ার পরে বলেন, আমাকে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। একবছরের বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। আমি দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে কাজ করা যায়, তার রূপরেখা তৈরি করব। বুধবার মেখলিগঞ্জে ফিরব।
পরেশবাবু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। দলের জেলার সহ সভাপতি করা সহ তাঁকে। চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানও হন তিনি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার থেকে দল তাঁকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু, পরেশবাবু ওই ভোটে হেরে যান। পরবর্তীতে দল তাঁকে মেখলিগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক করে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধানকে টিকিট না দিয়ে তৃণমূল প্রবীণ এই নেতাকে টিকিট দেয়। জেলায় তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা পরাজিত হলেও পরেশবাবু মেখলিগঞ্জে জয়লাভ করেন। রাজ্যে তৃণমূল বিপুল আসন পাওয়ার পরই পরেশবাবু এবার মন্ত্রী হচ্ছেন বলে ধরে নিয়েছিলেন মেখলিগঞ্জের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেই আশা পূর্ণ হতেই খুশিতে মেতেছেন তাঁরা। ফাইল চিত্র