কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
গত পাঁচবছর জেলা থেকে বাচ্চু হাঁসদাকে রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বক্তব্য রাজনৈতিক মহলের। বিপ্লব মিত্রের মতো বলিষ্ঠ নেতা রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তাঁর হাত ধরে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বিপুল উন্নয়ন হবে, আশায় বাসিন্দারা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন একলাখি-বালুরঘাট রেল প্রকল্প করেছিলেন। এর পিছনে বিপ্লব মিত্রের উদ্যোগ ছিল। এবার কৃষি বিপণন দপ্তরের হাত ধরে জেলায় কৃষকদের সার্বিক উন্নয়ন ঘটিয়ে কর্মসংস্থান, কৃষি অনুসারী মাঝারি শিল্পের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।
বিপ্লববাবুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম অবদান, জেলায় তৃণমূলকে শক্তিশালী করা। ২০১১ সালে বিধায়ক হওয়ার পর ২০১৬তে হেরেছিলেন। এবার ফের একই কেন্দ্র হরিরামপুর থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করায় দলে তাঁর গুরুত্ব বেড়েছে। ২০১১ সালে দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ না পেলেও এবার প্রবীণ এই নেতাকে যোগ্য সম্মান দিল দল। বিপ্লববাবু পূর্ণমন্ত্রী হওয়ায় জেলাজুড়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষ এদিন উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, হরিরামপুরে তৃণমূল কর্মীরা পার্টি অফিসে মিষ্টিমুখ করেন, আবির খেলায় মাতেন। মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, আমি যাতে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির বাস্তব রূপ দিতে পারি, এই আশা জেলার মানুষের। মন্ত্রী হওয়ায় এখন কাজ করার পরিধি বেড়ে গেল। রাজ্যের কৃষিজীবী মানুষের হয়ে আমাকে কাজ করতে হবে। তাঁদের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটাতে হবে। আমি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে যেহেতু প্রতিনিধিত্ব করছি, জেলাবাসীর অনেক আশা আছে। আমার জেলায় ভারী বা মাঝারি শিল্প নেই। কৃষিই জেলার ভিত্তি, আমি জেলার মানুষের জন্য কাজ করব। এর আগেও আমি ক্ষমতায় না থেকে কাজ করেছি। এবার আমার দপ্তরের মাধ্যমে মানুষের স্বপ্নপূরণ করার চেষ্টা করব। উন্নয়নই আমার পাখির চোখ।
জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, আমাদের কাছে বড় আনন্দের দিন, দলের জেলার বরিষ্ঠ নেতা যোগ্য সম্মান পেয়েছেন। আগামী দিনে তাঁর দপ্তরের মাধ্যমে জেলায় উন্নয়ন চাইব। মন্ত্রী জেলায় ফেরার পর তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।