পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর অন্যান্য বছরের মতো এবারও নিজেদের নিয়মাবলী নবীকরণ করছে। এ জন্য বুধবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের অফিসে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জেলা ইউনিটের বৈঠক হয়। সেখানেই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার হয়। কোথাও বিপর্যয় ঘটলে শিশুদের কীভাবে সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করে নিয়ে আসা যায়, সেই ব্যাপারেও দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা ওই বৈঠকে তাঁদের মত প্রকাশ করেন।
জেলা প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও কিছু নতুন বিষয় জোড়া হবে। সেসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে জেলার প্রায় ৬৫টি বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে পূর্তদপ্তর, সেচদপ্তর, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর ছাড়াও ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার মহকুমা শাসক ও বিডিওরা। বৈঠকে দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর তার বার্ষিক নিয়মাবলী নবীকরণ কবে জমা করবে এবং নতুন কী সংযোজন হবে সেই নিয়ে আলোচনা হয়।
জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অফিসার ইনচার্জ অনুসূয়া ভট্টাচার্য বলেন, এদিন আমরা বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনা করেছি। শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জলপাইগুড়ি হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ স্বস্তিশোভন রায় বলেন, কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে শিশুদের আগে থেকে অবগত করা সম্ভব হলে তাদের সুরক্ষার বিষয়টিও সহজ হয়ে যায়। এটা তাদের মানসিক দিকটিকেও অনেকটা মজবুত করে। আসলে বিপর্যয় যখন হয় তখন অন্যান্যদের অপেক্ষা শিশুমনে এর প্রভাব অনেক বেশি পড়ে। এতে ওদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। এ বছর থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর নতুনভাবে শুরু করতে যাচ্ছে চাইল্ড রিলিফ প্রোগ্রাম। বিপর্যয়ের সময় শিশুদের সেই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখার জন্য এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি শহরের প্রায় প্রতিবছরই বর্ষার সময় বেশকিছু নিচু অংশ প্লাবিত হয়। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা এতে দুর্বিসহ হয়ে পড়ে। শহরের করলা ও তিস্তার পাড়ের গ্রামগুলি বর্ষায় টানা ক’দিন জলমগ্ন হয়ে থাকে। বর্ষাকালে স্কুলগুলিতেও অনেক সময়ে জল ঢুকে যায়। তখন স্কুল বন্ধ রাখতে হয়। বর্ষার সময়ে এলাকায় জল দাঁড়িয়ে থাকায় তখন শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। ওই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শিশুদের বর্ষাকালে কী করা প্রয়োজন, কীভাবে নিজেকে এবং সমাজকে রক্ষা করা যেতে পারে সেসব সম্পর্কেও জানাবে ওই টিম। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্প হলে কীভাবে চটজলদি উদ্যোগ নিয়ে অভিযান শুরু করা যায় তারজন্য ২৯ জানুয়ারি শহরে একটি মকড্রিল করা হবে। সেই মকড্রিলের কন্ট্রোল রুম হবে। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সহ শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ওই মকড্রিল চলবে