Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

প্রথমে মনে হয়েছিল, বিজেপি এরাজ্যের চাষিদের নাকের বদলে নরুন দিতে চাইছে। ভুল ভাঙল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বক্তব্যে। কাটোয়ায় কৃষক সুরক্ষা যোজনা চালু করতে এসে তিনি নরুনটির বদলে চাষিদের সামনে ফের ‘গাজর’ ঝুলিয়ে দিলেন। বললেন, নির্বাচনে বিজেপি জেতার পর এরাজ্যে কিষান সম্মান নিধি চালু হবে। একথার অর্থ, অনুদানের আশায় রাজ্যের যে ২১ লক্ষ চাষি নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁদের টাকা পাওয়া আপাতত শিকেয় উঠল। চাপিয়ে দিলেন শর্ত, রাজ্যের ক্ষমতায় বিজেপি এলেই মিলবে ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনা’র টাকা। অর্থাৎ রাধার নাচ দেখার জন্য আগে সাত মন তেল পোড়াতে হবে। 
রাজ্য সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের কাছে কিষান সম্মান নিধি যে নাকের বদলে নরুন, তা চাষিদের কাছে দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। এরাজ্যের সমস্ত চাষি পরিবার কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পান। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে কেবল প্রান্তিক চাষিরাই অনুদান পাওয়ার যোগ্য। ফলে বাদ পড়বে রাজ্যের অধিকাংশ কৃষক পরিবার। অথচ সেই প্রকল্প চালু না হওয়ায় বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তুলোধোনা করছে। আর যে মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প চালুতে সম্মতি দিলেন সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়ে দিল, এই প্রকল্প তারা সরকার বদলের পর চালু করবে। বোঝা গেল, মানুষের সামনে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির মজ্জাগত।
কেন বিজেপির রাতারাতি ভোলবদল? অনেকে বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কিষান সম্মান নিধিতে যত চাষি অনুদান পেতেন, তার চেয়ে অনেক বেশি বাদ পড়তেন। তাতে বঞ্চিত চাষিদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হতো। সেক্ষেত্রে বিজেপির লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতো। সেটা বুঝেই চাষিদের জন্য প্রকল্প চালু না করে বিজেপি তাকে মমতা বিরোধী প্রচারের হাতিয়ার করতে চাইছে। চাষিদের উপকার নয়, মমতার বিরোধিতাই তাদের আসল উদ্দেশ্য।
এবার দেখা যাক, যে সব রাজ্যে কিষান সম্মান নিধি চালু হয়েছে, সেখানে কী ঘটছে। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে এক প্রশ্নের উত্তরে এই প্রকল্পে বিভিন্ন রাজ্যে কী হচ্ছে, তা প্রকাশ্যে এসেছে। কৃষিমন্ত্রক জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে ১৩৬৪ কোটি টাকা ‘অপাত্রে’ দান করা হয়েছে। অনুদান পাওয়ার যোগ্য নয়, এমন অনেকেই এই  টাকা পেয়েছেন। সেই সংখ্যাটা নয় নয় করে প্রায় সাড়ে ২০ লক্ষ। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতেই রয়েছে প্রায় ১লক্ষ ৬৪ হাজার। বিজেপি শাসিত অসমেও একইভাবে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার পরিবারকে টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। মজার কথা, এই বিজেপি নেতারাই পশ্চিমবঙ্গে এসে উম-পুনের ত্রাণবিলিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে গলা ফাটান। কাচের ঘরে বসে ঢিল ছোঁড়ার অভ্যেসটা বিজেপি ভালোই রপ্ত করেছে। অবশ্য তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ সব সময় চালুনিই সূচের বিচার করে। 
কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও হাজার হাজার চাষি দিল্লির উপকণ্ঠে রাস্তায় বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ তাঁরা বুঝেছেন, চাষিদের মুখ চেয়ে নয়, কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন করেছে মজুতদার ও পুঁজিপতিদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে। তার ফলে ডাল, ভোজ্যতেল সহ সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। তার খেসারত সাধারণ মানুষকেই দিতে হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রের কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ দিতে বাধ্য হয়েছে। 
এই পরিস্থিতিতে দিন যত যাচ্ছে বিজেপির গায়ে ততই লেপ্টে যাচ্ছে ‘কৃষক বিরোধী’ তকমা। তাই বঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে বিজেপি এখন ‘কৃষক দরদি’র ভেক ধরতে চাইছে। কৃষকের মন পাওয়ার জন্য তাদের কত কিছু করতে হচ্ছে! ‘আমি তোমাদেরই লোক’ প্রমাণে বিজেপি মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। কথায় কথায় রবীন্দ্রনাথের কবিতা, বিবেকানন্দের বাণী আওড়াতে হচ্ছে। তাও ভুলভাল। বিজেপির ‘হাইপ্রোফাইল নেতারা’ বাউলশিল্পী, প্রান্তিক চাষির বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ সারছেন। এমনকী, দিল্লি থেকে উড়ে এসে চাষিদের বাড়িতে গিয়ে ভিক্ষে চাইছেন। আর সে সব হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমের সামনে। কারণ প্রচারটা ভীষণ জরুরি।
এসব দেখে বিরোধীরা বলছে, ভিক্ষুককে ভিক্ষে দেওয়া পবিত্র কর্তব্য। তবে, সেই কর্তব্য পালন করতে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছিলেন সীতা। ভিখারির ছদ্মবেশে সীতাকে হরণ করেছিল রাবণ। তার জন্য ঘটে গিয়েছিল লঙ্কাকাণ্ড। তাই ভিক্ষে দেওয়ার আগে ভিক্ষুকের মতলবটা যাচাই করে নেওয়া ভালো। রামায়ণ আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছে।
এরাজ্যের ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ চাষের উপর নির্ভরশীল। যে দল চাষিদের সমর্থন পাবে, তারা ক্ষমতা দখলের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে। সে কারণে বঙ্গের চাষি-মন জয় করাই বিজেপির টার্গেট। কিন্তু, এরাজ্যের চাষিদের ধানের সহায়কমূল্য পাওয়া নিশ্চিত করার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ তারা নিচ্ছে না। উল্টে দাম না পাওয়ার বিষয়টিকেও তারা রাজনীতির হাতিয়ার করতে চাইছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয় পশ্চিমবঙ্গে। চাষিদের ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করতে এফসিআই দেশজুড়ে সহায়কমূল্যে ধান কেনে। পরিমাণটা দেশে উৎপাদিত ধানের ৪৩ শতাংশের কাছাকাছি। সেই অনুপাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সহায়কমূল্যে কেনার কথা। কিন্তু রাজ্যের তথ্য, কেনা হয়েছে মাত্র ৭৬ হাজার মেট্রিক টন। অথচ এই এফসিআই উত্তরপ্রদেশ থেকে ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৮২ লক্ষ মেট্রিক টন, তেলেঙ্গানা থেকে ১১১ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে। এরপরেও রাজ্যকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তোলাটা কি অযৌক্তিক?
লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপির ১৮ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। যার অধিকাংশই কৃষি অধ্যুষিত এলাকা। চাষিরা অনেক আশা নিয়ে তাঁদের দু’হাত তুলে আর্শীবাদ করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি সাংসদরা কি দিল্লিতে গিয়ে চাষিদের স্বার্থে একটিবার কোনও কথা বলেছেন? বিজেপির সাংসদরা ৩৫৬ ধারা জারির জন্য দল বেঁধে দিল্লি ছুটতে পারেন, কিন্তু রাজ্যের চাষিদের দাবি নিয়ে মুখে রা কাড়েন না। এটাই ট্র্যাডেজি।
বিজেপি নেতারা এরাজ্যে চাষি ধানের সহায়কমূল্য পাচ্ছেন না বলে দিনরাত তোপ দাগছেন। রাজ্যের চাষিরা যে সহায়কমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন, সেটা একেবারে সত্যি কথা। এই ইস্যুতে একবার নয়, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাজারবার আঙুল তোলার অধিকার তাঁদের আছে। কিন্তু একটিবারও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও বেশি ধান কেনার দাবি কেন তাঁরা জানাচ্ছেন না? কেন্দ্র যদি এরাজ্য থেকে আনুপাতিকহারে সহায়কমূল্যে ধান না কেনে, চাষিরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবেন কী করে! ভাত দেওয়ার মুরোদ না থাকলে কিল মারার গোঁসাই হয়ে কী লাভ?
একথা হলফ করে বলতে পারি, সার, ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করলে ও চাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম পেলে তাঁদের ‘কৃষকবন্ধু’ বা ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি’র প্রয়োজন হবে না। তখন আর ‘কৃষক দরদি’ বোঝানোর জন্য বিজেপি নেতাদের ডাইনিং টেবিল ছেড়ে কষ্ট করে দুয়ারে বসে ‘লাঞ্চ’ সারতে হবে না, মুষ্টিভিক্ষের নাটকও করতে হবে না।
ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। তারপর নোট বাতিল করে ‘কালাধন’ নিকেশের ‘গাজর’। জিএসটি চালু করে জিনিসপত্রের দাম কমানোর ‘গাজর’। বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরির ‘গাজর’। নাগরিকত্ব দেওয়ার ‘গাজর’। ভোট এলেই ‘গাজর’ ঝুলিয়ে দেয় বিজেপি। বঙ্গে নির্বাচন আসন্ন। তাই এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’।
সুকুমার রায় লিখেছিলেন, ‘গাধার পিঠে বসল চেপে/মুলোর ঝুঁটি ঝুলিয়ে নাকে/ আর কি গাধা ঝিমিয়ে থাকে?/ মুলোর গন্ধে টগবগিয়ে/ দৌড়ে চলে লম্ফ দিয়ে/ যতই চলে ধরব ব’লে/ ততই মুলো এগিয়ে চলে।’
সুকুমার রায়ের কবিতার মুলোই এখন রাজনীতির ‘গাজর’। গাজর ঝুলিয়ে গাধাকে বারবার বোকা বানানো যায়, কিন্তু মানুষকে নয়। কারণ মানুষ বোঝে, মুখের যত কাছেই গাজর থাকুক না কেন, তার নাগাল পাওয়া যায় না। 
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। বিশদ

13th  January, 2021
বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। বিশদ

12th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! বিশদ

11th  January, 2021
আদি বনাম নব্য, বিজেপিতে
নরকগুলজার সপ্তমে
হিমাংশু সিংহ

শেষে হাটে হাঁড়িটা ভাঙলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই। দলে স্বার্থপর দলবদলুদের দাপাদাপি দেখে আর স্থির থাকতে পারলেন না। বলেই বসলেন, একদিন যাঁরা নন্দীগ্রামে বিজেপিকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরাই আজ নতমস্তকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আলিঙ্গন করছেন। একেবারে হক কথা। বিশদ

10th  January, 2021
রাজনীতিবিদদের ‘সৌজন্যে’ই
করোনার নয়া স্ট্রেইনে পঙ্গু ব্রিটেন
রূপাঞ্জনা দত্ত

বি.১.১.৭। কোভিডের নয়া অবতার বা বিলিতি স্ট্রেইনের পোশাকি নাম এটাই। চীনের উহান থেকে সার্স-কোভ-২ ছড়িয়ে পড়ার পর যতটা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বিশ্বজুড়ে, সেই দিনগুলিই ফিরিয়ে এনেছে ভাইরাসের এই নয়া রূপ। ‘ভাইরাস আন্ডার ইনভেস্টিগেশন’ থেকে ‘ভাইরাস অব কনসার্ন’ হতে এর খুব বেশিদিন সময় লাগেনি। বিশদ

10th  January, 2021
প্রচারকে নিয়েও রাজনীতি
করা যায়, দেখাচ্ছে বিজেপি

তন্ময় মল্লিক

তৃণমূলের ‘অতৃপ্ত আত্মা’রা চলে যাওয়ায় দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও কমে গিয়েছে। দলের কর্মীরা যে মমতার সঙ্গে আছে, সেটা প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠছে। ভিড়ের প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে না পেরে বিজেপির অস্ত্র ‘হুইসপারিং ক্যাম্পেন’। বিশদ

09th  January, 2021
বিরোধী দলগুলির
স্থায়ী ক্ষতি হল
সমৃদ্ধ দত্ত

যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি সরব ছিল, তাঁদেরই বিজেপি এখন উচ্চপদে বরণ করছে। এর ফলে বিজেপির শক্তি ও প্রভাব হয়তো বাড়ছে বলে তারা মনে করছে। কিন্তু বড়সড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে ভাবমূর্তির। বিশদ

08th  January, 2021
বিজেপি সরকার দেশ
বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

এখন এই সরকার একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে এক চরম নিরাপত্তাহীনতার পথে ঠেলে দিচ্ছে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা বহু জাতীয় সম্পদ মোদি সরকার বিক্রি করে দেশের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিশদ

07th  January, 2021
ভারত-মার্কিন সম্পর্ক:
প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
কেনেথ আই জাস্টার

সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের পর আমেরিকায় ক্ষমতা বদল হয়েছে। তবে তার প্রভাব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়বে না। নতুন সরকারের আমলেও ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। অতীতের মতোই। বিশদ

07th  January, 2021
একনজরে
প্রতিশ্রুতি মতো নবদ্বীপ মিউনিসিপ্যাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমির নয় মহিলা ফুটবলার পেলেন সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি। শুক্রবার থেকে কৃষ্ণনগর পুলিস লাইনে শুরু হল তাঁদের চাকরির প্রশিক্ষণ। ...

প্ল্যান ছিল স্কুলের পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে নস্টালজিয়ায় ফিরে যাওয়ার। সেইমতোই মিনিবাসে করে গোয়া যাচ্ছিলেন কর্ণাটকের দেবানগিরির বেশ কয়েকজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও পোস্ট করেছিলেন বন্ধুরা। ক্যাপশন — স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে ‘গো গোয়া’। ...

কালনা থানার সুলতানপুরের উপলতিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতার নাম রীনা টুডু(২৩)।  এই ঘটনায় পুলিস মৃতার স্বামীকে আটক করেছে। ...

বাড়ির সামনেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চোখ পরীক্ষা করার সুযোগ ছাড়তে রাজি হননি সালমা বেগম, মহসিন মল্লিক, রাবেয়া বেগম সহ খালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বাসিন্দা। আর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৭৬৮ - কলকাতায় প্রথম ঘৌড়া দৌড় শুরু হয়।
১৯০১ - ভাষাতাত্ত্বিকও সাহিত্য বিশারদ সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১০ - বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের জন্ম
১৯২২ - কুমিল্লায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন।
১৯২৪ -  বিশিষ্ট বাঙালি আইনজ্ঞ রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪০ - অভিনেতা চিন্ময় রায়ের জন্ম
১৯৪১ - সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ।
১৯৪৬: অভিনেতা কবির বেদির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২৬ টাকা ৭৩.৯৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৩১ টাকা ১০১.৭৫ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,০৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১, তৃতীয়া ৩/২৮ দিবা ৭/৪৬। শতভিষা নক্ষত্র ৫৯/২৫ শেষ রাত্রি ৬/৯। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৯/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৪৯ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১২/১১ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
২ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১, তৃতীয়া দিবা ৮/৫৫। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র প্রাতঃ ৬/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ দিবা ১০/০ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫৭ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/২৬ গতে ২/০ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১/৮ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/৪৯ গতে ৫/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৪/৪৬ গতে ৬/২৬ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইন্ডিয়ান পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ
ইন্ডিয়ান পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়।  ...বিশদ

09:07:32 PM

আইএসএল: মুম্বই :০ হায়দরাবাদ: ০ (প্রথমার্ধ)

08:29:29 PM

রাজ্যে টিকা নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত অসুস্থ হয়েছেন চারজন
করোনা টিকা নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত রাজ্যের চারজনের অসুস্থ হওয়ার ...বিশদ

07:22:06 PM

রাজ্যে আজ কতজন পেলেন করোনার টিকা
রাজ্যের ১৫৬০০ জন স্বাস্থকর্মী টিকা পেয়েছেন। এখনও  পর্যন্ত পাওয়া খবর ...বিশদ

07:19:53 PM

প্রথমদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯৭% স্বাস্থ্য কর্মী টিকা নিলেন

06:59:00 PM

বাংলায় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছেন ৯ হাজার ৩০০ জন
কোউইন সার্ভার বিপর্যয়ের আজ দেশজুড়ে কতজন করোনার টিকা নিলেন তার ...বিশদ

06:23:00 PM