পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
ওই ব্লকেরই বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দারা নিকাশি সমস্যায় জেরবার হচ্ছিলেন। ঘটনায় প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল। পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির আওতায় নিমেষে নালা তৈরির জট কেটে গিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগে স্থানীয় বাসিন্দারা খুশি। জেলার অন্যান্য ব্লক এলাকাতেও রাজ্য সরকার ঘোষিত ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বাসিন্দাদের মধ্যে আগ্রহ এবং উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
এব্যাপারে ইংলিশবাজারের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌগত চৌধুরী বলেন, দিদিকে বলো কর্মসূচিতে জমা পড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্লক ভিত্তিক সমস্যার তালিকা তৈরি হয়। আশু সমাধান প্রয়োজন, এমন সমস্যাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তালিকা অনুযায়ী আমি সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখি। কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের বাগবাড়ি এলাকায় ৮০০ মিটার দৈর্ঘের রাস্তায় পিচ দেওয়ার সঙ্গত দাবি দীর্ঘদিনের। ওই প্রকল্পের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাতে সাড়া পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, বিনোদপুর অঞ্চলে নিকাশি নালা নিয়ে সমস্যা ছিল। তা খতিয়ে দেখার পর ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সাড়ে ৩০০ মিটার পাকা ড্রেন তৈরি হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দু’টি প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আমাদের ব্লকে পাড়ায় কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় মাস দু’য়েকের মধ্যে সবমিলিয়ে দেড় কোটি টাকার কাজ হতে চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল মণ্ডল, শেখ রাজু বলেন, পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির আওতায় রাস্তা ও নিকাশি নালা তৈরি হওয়ায় আমরা খুশি। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সরকার সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে। এতে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। বাকি সমস্যাগুলি নিয়েও আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার মানুষের কাছে যত বেশি সম্ভব পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি রূপায়ণ করা হয়েছে। তাতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলে আধিকারিকদের দাবি। স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাকি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বহু মানুষ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচনের আগেই যাতে মানুষ পরিষেবা পান, তা দেখার জন্য সরকার বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে। দুয়ারে সরকারের পর পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। দুয়ারে সরকারের মতো অবশ্য এক্ষেত্রে শিবির করা হবে না। তবে সমস্যা খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসনের কর্তারা ব্লকে এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে যাচ্ছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিদিকে বলো কর্মসূচির আওতায় টোল ফ্রি নম্বরে বহু মানুষ অভিযোগ জানিয়েছেন। তারমধ্যে এলাকার সমস্যাগুলিকে বাছাই করে পৃথক তালিকা তৈরি হয়। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগে বারোমাস রাজ্যবাসী চিঠির সাহায্যে এলাকার সমস্যার কথা জানান। অনেকে সংবাদপত্রে এলাকাভিত্তিক সমস্যার কথা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আধিকারিকরা কোনও সমস্যাকেই ছোট করে দেখতে নারাজ। সমস্যাগুলিকে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে তাঁরা সচেষ্ট হয়েছেন। ফলে রাজ্যের পাঠানো তালিকা দেখে দ্রুত ময়দানে নামার ব্যাপারে মালদহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা ব্লকগুলিকে নির্দেশ দেন। সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।