Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

দাড়ি কাটছেন না তিনি। বহুদিন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রঙ্গ-ব্যঙ্গের অন্ত নেই। অনেকেই বলছেন, সামনে বাংলায় ভোট। অতএব, একটু রবি ঠাকুর সাজার ইচ্ছে...
তবে ভোট প্রচারে যে তাঁর দল এবার রবীন্দ্রনাথকে আঁকড়ে ধরতে চাইবে, তার ইঙ্গিত মিলেছে দফায় দফায়। আর তিনি? বঙ্গ নিয়ে স্বপ্ন ফেরি করা শুরু করেছেন সংগঠিতভাবেই। অঙ্ক কষে। সম্প্রতি কলকাতার বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) বার্ষিক অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ওরে, নূতন যুগের ভোরে’ আবৃত্তি করেছেন। হিন্দি টানে বাংলায়। ভয়ঙ্কর উচ্চারণে বলেছেন, ‘চোলায় চোলায় বাজবে জয়ের বেরি...।’ এই আবৃত্তি পাঠে আপনি হাসি চাপতে না পারলেও, তাঁর ‘হিপনোসিস’-এর ক্ষমতা টের পায় এই বাংলাও। অন্তত তাঁর ভক্তদের প্রচার দেখে তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। এটা নাকি ছিল, রবীন্দ্রচর্চার নিদর্শন! কিন্তু ভাষা নিয়ে আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে ভোটকে পাখির চোখ করলে তা আমবাঙালির কাছে সহজেই ধরা পড়ে! আজ রবীন্দ্রনাথের মতো দাড়ি রাখছেন, তাঁর সাকরেদরা বিশ্বভারতীকে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বলছেন, রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে বড়দা বানাচ্ছেন—এরকম আরও কত কী! ভোট বড় বালাই।
তিনি নরেন্দ্র মোদি। কখন কোথায় কাকে ফুল দিতে হয়, এটা তাঁর নখদর্পণে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গুজরাতের কত নিবিড় সম্পর্ক ছিল তা প্রমাণে প্রাণপাত করে চলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক স্বপ্ন ‘আত্মনির্ভর ভারত’ নাকি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গির-ই অনুসারী! বিস্ময়ের সীমানাটা আদতে পলকা নয়, তবে এইসব কথাবার্তা শুনে তা অচিরেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে। 
কিছুতেই তাকে ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না! তবু তিনি থামছেন না। পরম বিজ্ঞের মতো তিনি বলেই চলেছেন, রবীন্দ্রনাথের মধ্যে নাকি ‘বেদ থেকে বিবেকানন্দ’ সবই পাওয়া যায়! অর্থাৎ একের ভিতর সব! তাঁর সুরেই সুর মিলিয়ে এবার বিজেপি বাংলায় ভোটে নেমেছে। মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। ভোটের প্রথম রাউন্ডেই বিজেপির মধ্যে ‘বাঙালি’ হয়ে ওঠার এক তীব্র তাড়না নজরে পড়ছে। যেটাকে বলা যেতে পারে, বাঙালি তাস খেলা! বাঙালি-অবাঙালি রাজনীতি। সোজা কথায়, এই রাজ্যে বাঙালির বেশে বিজেপি নিজেকে দ্রুত গ্রহণীয় ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে চাইছে।
আর তা করতে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। কাটোয়ার জগদানন্দপুরে চৈতন্যদেবের দীক্ষাস্থল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। রাধাগোবিন্দের যে মন্দিরে তিনি গিয়েছিলেন, সেখানেই চৈতন্যদেব দীক্ষা নিয়েছিলেন বলে দাবি করে বসেন তিনি। অথচ মন্দিরটি তৈরি হয়েছে চৈতন্যদেবের প্রয়াণের প্রায় তিনশো বছর পরে। এসব দেখে এরাজ্যের মানুষ বলছেন, বহিরাগতরা বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি জানে না। তারই প্রকাশ ঘটছে পদে পদে। 
গত লোকসভা ভোটের শিক্ষা বলছে, অমিত শাহের রোড-শো থেকে তাণ্ডবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের পরে শহরে বিজেপির ফল খারাপ হয়েছিল। সেই ঘটনা বাঙালির আবেগের বারুদে অনেকটাই ঘৃতাহুতি দিয়েছিল। অতএব, রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ থেকে সুভাষচন্দ্র—সবাইকে দলে টানতে হবে। নিজেদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থে তাঁরা ওঁদের কখনও মাথায় তোলেন, কখনও পায়ে ঠেলেন। আজ বিজেপি যে ‘বাঙালি’র কথা বলছে, এই বাঙালি অবশ্য আমাদের মতো আমজনতা নয়। এ হল ভোটের বাঙালি। এর জন্য হাত-পা-মুখের অবয়ব লাগে না। দরকার আবেগ সৃষ্টির। রাজ্যের রাজনীতিতে এখন সেই পর্ব শুরু হয়েছে। বাঙালির মন জয়ে দিল্লির নেতা অবতারদের রকমারি বাংলা উপস্থাপনায় আপাতত ফাঁক থাকছে না।
ছুটি পেলে সাত দিনের জন্য শান্তিনিকেতনে এসে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে কাটাতে চান। ভোটের দামামা বাজতেই বলে গিয়েছেন অমিত শাহ। বোলপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেদিন বলেছিলেন, ‘আজ অত্যন্ত সৌভাগ্যের দিন। বিশ্বভারতীতে এসে সেই মহামানবকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পেলাম, যিনি গোটা বিশ্বে ভারতীয় জ্ঞান, দর্শন, কলা, সাহিত্যকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্যের সামঞ্জস্য স্থাপনের কাজ করেছিলেন শান্তিনিকেতনে। প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষে আবারও ভারতীয় ভাবধারাকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে।’ হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাইজ নিয়ে অমিতভাইয়ের বক্তব্যটা মনে আছে? বললেন, রবীন্দ্রনাথকে নোবেল দিয়ে নোবেল পুরস্কারই তার মহত্ত্ব বাড়িয়েছে। আহ্‌, এত বড় আর একেবারে ঠিকঠাক কথাটা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আগে কে কবে বলেছে বলুন? অথচ, সেদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের স্বীকৃত ‘শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস’-এর প্রধান দীননাথ বাত্রা কিংবা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর কথা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললেন না। কী বলেছেন স্বামী? বলেছেন, রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীতটি অর্থের দিক থেকে সঙ্কীর্ণ, ভারতের নবীন প্রজন্মের ইচ্ছে এটি পাল্টানো হোক। হ্যাঁ, উনি তো তাঁরই পার্টির সাংসদ।
মোদি-শাহ জুটির খুবই নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত দীননাথ বাত্রার কথাই ভাবুন। উনি প্রস্তাব দিয়েছেন এনসিইআরটি-কে। দেশের স্কুল কলেজের টেক্সট বইগুলির অনেক কিছুই পাল্টাতে হবে। অনেক কিছুই মানে, যা কিছু ‘বেসলেস অ্যান্ড বায়াস্‌ড’। বাত্রা সাহেবের মতে, ‘বিপ্লবী কবি’ পাশ-এর কাব্য থেকে সব ইংরেজি, উর্দু, আরবি শব্দ বাদ দিতে হবে। বাদ দিতে হবে মির্জা গালিবের দু’টি কবিতা, বাদ দিতে হবে শিল্পী এমএফ হুসেনের আত্মজীবনীর নির্বাচিত অংশ। আর বাদ দিতে হবে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনার গোটাটাই। হ্যাঁ, গোটাটাই। কারণ একটাই, রবীন্দ্রনাথের লেখাগুলি বিশেষ দলটির স্বার্থের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। উগ্র জাতীয়তাবাদের সাথে মানবতার প্রভেদটা কোথায়, সেই বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের বৈপ্লবিক চিন্তাধারা তাঁর সমকালীন সময়ে শুধু এদেশেই নয়, প্রাচ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে তা পাশ্চাত্যের তরুণ সমাজেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। কী অদ্ভুত ঐতিহাসিক পুনরাবৃত্তি! একশো বছর আগেও (‘ন্যাশনালিজম’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯১৭ সালে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন) ঠিক ওই একই কারণে রবীন্দ্রনাথকে একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে সরানোর দাবি উঠেছিল। আর আজ, তাঁরই দেশের একটি বিশেষ দল তাঁর লেখা ছেঁটে ফেলার প্রস্তাব তোলে। একইসঙ্গে বাদ নজরুলও। ফলে বাদ, সব বাঙালি বাদ। এঁদের একসময়ের ডাকসাইটে নেতা তো রবীন্দ্রনাথ, সুকান্ত ভট্টাচার্য এবং নজরুল ইসলামের সংস্কৃতিকে ‘রসুন সংস্কৃতি’ বলে আখ্যা দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি তাঁদের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গির স্বরূপ উন্মোচন করেছিলেন। না, এখন অবশ্য এসব বলা যাবে না কিছু। সামনে ২০২১-এর নির্বাচন।
গেরুয়া বাহিনী নিশ্চিত জানে, সাম্প্রদায়িক পরিচিতিকে খণ্ডন করে ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রগঠনের নজির গড়েছে এই বাঙালিরাই। গো-বলয়ের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকরী বিকল্পের জন্ম দিয়েছে বাঙালির সংস্কৃতি। এবং সেটা আর্যাবর্তের একদম পাশেই। বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের জাতক্রোধ তাই স্বাভাবিক। এই বাংলায় বাঙালি মুসলিম হোক আর হিন্দু বা বৌদ্ধ, সকলেরই মাতৃভাষা বাংলা। তা নিয়েই হিন্দিওয়ালাদের খুব ভয়। তাই বাঙালি আর বাংলার বিরুদ্ধে বিষ না ছড়িয়ে তাদের উপায় নেই। বিজেপি নেতারা ভালো করেই জানেন, তাঁদের চালচলন, রীতি-শিষ্টাচার, ভাষা প্রয়োগ ইত্যাদি অনেক কিছুই চেনা বাঙালি-সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না।
তাই, বাংলা দখল করতে গেলে আগে ‘বাঙালি’ হতে হবে। বিলকুল জানেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তাই, বাংলার মাটি দখল করার লক্ষ্যে বিজেপি এখন ‘বাঙালি’ হয়ে উঠতে মরিয়া। ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ভোট করাতে আসা নেতাদেরও তারা ‘বাঙালিয়ানা’ শেখাচ্ছে বলে খবর। লক্ষ্য একটাই, চিন্তাভাবনার উদারতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বা জ্ঞানচর্চার শেষ দূর্গ পশ্চিমবঙ্গের দখলদারী আগে নিতে হবে। তারপর..। হ্যাঁ, এই বাঙালিদেরই, একেবারে গলা টিপে মারা হবে। তারই মহড়া শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। বিদ্যাসাগর কলেজেই বিদ্যাসাগরকে ভাঙা, রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনেই রবীন্দ্রনাথের উপরে অমিত দাদার ছবি ছাপানো— যাতে দাদার তুলনায় কবির তুচ্ছতা স্পষ্ট হয়। এসবের জন্য রয়েছে দলবদলু, কিছু পথ-হারানো বাঙালি। এরাই বিজেপির অস্ত্র। কিছু অর্থ, কিছু পদ। ব্যস! শাহরা জানেন, রাজাকাররা সব যুগে, সব দেশে একেবারে তৈরিই থাকে। শুধু সময়ের অপেক্ষা!
15th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। বিশদ

13th  January, 2021
বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। বিশদ

12th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! বিশদ

11th  January, 2021
আদি বনাম নব্য, বিজেপিতে
নরকগুলজার সপ্তমে
হিমাংশু সিংহ

শেষে হাটে হাঁড়িটা ভাঙলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই। দলে স্বার্থপর দলবদলুদের দাপাদাপি দেখে আর স্থির থাকতে পারলেন না। বলেই বসলেন, একদিন যাঁরা নন্দীগ্রামে বিজেপিকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরাই আজ নতমস্তকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আলিঙ্গন করছেন। একেবারে হক কথা। বিশদ

10th  January, 2021
রাজনীতিবিদদের ‘সৌজন্যে’ই
করোনার নয়া স্ট্রেইনে পঙ্গু ব্রিটেন
রূপাঞ্জনা দত্ত

বি.১.১.৭। কোভিডের নয়া অবতার বা বিলিতি স্ট্রেইনের পোশাকি নাম এটাই। চীনের উহান থেকে সার্স-কোভ-২ ছড়িয়ে পড়ার পর যতটা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বিশ্বজুড়ে, সেই দিনগুলিই ফিরিয়ে এনেছে ভাইরাসের এই নয়া রূপ। ‘ভাইরাস আন্ডার ইনভেস্টিগেশন’ থেকে ‘ভাইরাস অব কনসার্ন’ হতে এর খুব বেশিদিন সময় লাগেনি। বিশদ

10th  January, 2021
প্রচারকে নিয়েও রাজনীতি
করা যায়, দেখাচ্ছে বিজেপি

তন্ময় মল্লিক

তৃণমূলের ‘অতৃপ্ত আত্মা’রা চলে যাওয়ায় দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও কমে গিয়েছে। দলের কর্মীরা যে মমতার সঙ্গে আছে, সেটা প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠছে। ভিড়ের প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে না পেরে বিজেপির অস্ত্র ‘হুইসপারিং ক্যাম্পেন’। বিশদ

09th  January, 2021
বিরোধী দলগুলির
স্থায়ী ক্ষতি হল
সমৃদ্ধ দত্ত

যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি সরব ছিল, তাঁদেরই বিজেপি এখন উচ্চপদে বরণ করছে। এর ফলে বিজেপির শক্তি ও প্রভাব হয়তো বাড়ছে বলে তারা মনে করছে। কিন্তু বড়সড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে ভাবমূর্তির। বিশদ

08th  January, 2021
বিজেপি সরকার দেশ
বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

এখন এই সরকার একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে এক চরম নিরাপত্তাহীনতার পথে ঠেলে দিচ্ছে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা বহু জাতীয় সম্পদ মোদি সরকার বিক্রি করে দেশের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিশদ

07th  January, 2021
ভারত-মার্কিন সম্পর্ক:
প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
কেনেথ আই জাস্টার

সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের পর আমেরিকায় ক্ষমতা বদল হয়েছে। তবে তার প্রভাব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়বে না। নতুন সরকারের আমলেও ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। অতীতের মতোই। বিশদ

07th  January, 2021
একনজরে
বাড়ির সামনেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চোখ পরীক্ষা করার সুযোগ ছাড়তে রাজি হননি সালমা বেগম, মহসিন মল্লিক, রাবেয়া বেগম সহ খালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বাসিন্দা। আর ...

প্রতিশ্রুতি মতো নবদ্বীপ মিউনিসিপ্যাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমির নয় মহিলা ফুটবলার পেলেন সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি। শুক্রবার থেকে কৃষ্ণনগর পুলিস লাইনে শুরু হল তাঁদের চাকরির প্রশিক্ষণ। ...

দলে ফেরার ছয় মাস পর অবশেষে ‘পুরষ্কৃত হলেন’ বিপ্লব মিত্র। তাঁকে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হল। ...

প্ল্যান ছিল স্কুলের পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে নস্টালজিয়ায় ফিরে যাওয়ার। সেইমতোই মিনিবাসে করে গোয়া যাচ্ছিলেন কর্ণাটকের দেবানগিরির বেশ কয়েকজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও পোস্ট করেছিলেন বন্ধুরা। ক্যাপশন — স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে ‘গো গোয়া’। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৭৬৮ - কলকাতায় প্রথম ঘৌড়া দৌড় শুরু হয়।
১৯০১ - ভাষাতাত্ত্বিকও সাহিত্য বিশারদ সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১০ - বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের জন্ম
১৯২২ - কুমিল্লায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন।
১৯২৪ -  বিশিষ্ট বাঙালি আইনজ্ঞ রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪০ - অভিনেতা চিন্ময় রায়ের জন্ম
১৯৪১ - সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ।
১৯৪৬: অভিনেতা কবির বেদির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২৬ টাকা ৭৩.৯৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৩১ টাকা ১০১.৭৫ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,০৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১, তৃতীয়া ৩/২৮ দিবা ৭/৪৬। শতভিষা নক্ষত্র ৫৯/২৫ শেষ রাত্রি ৬/৯। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৯/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৪৯ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১২/১১ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
২ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১, তৃতীয়া দিবা ৮/৫৫। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র প্রাতঃ ৬/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ দিবা ১০/০ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫৭ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/২৬ গতে ২/০ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১/৮ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/৪৯ গতে ৫/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৪/৪৬ গতে ৬/২৬ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইন্ডিয়ান পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ
ইন্ডিয়ান পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়।  ...বিশদ

09:07:32 PM

আইএসএল: মুম্বই :০ হায়দরাবাদ: ০ (প্রথমার্ধ)

08:29:29 PM

রাজ্যে টিকা নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত অসুস্থ হয়েছেন চারজন
করোনা টিকা নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত রাজ্যের চারজনের অসুস্থ হওয়ার ...বিশদ

07:22:06 PM

রাজ্যে আজ কতজন পেলেন করোনার টিকা
রাজ্যের ১৫৬০০ জন স্বাস্থকর্মী টিকা পেয়েছেন। এখনও  পর্যন্ত পাওয়া খবর ...বিশদ

07:19:53 PM

প্রথমদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯৭% স্বাস্থ্য কর্মী টিকা নিলেন

06:59:00 PM

বাংলায় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছেন ৯ হাজার ৩০০ জন
কোউইন সার্ভার বিপর্যয়ের আজ দেশজুড়ে কতজন করোনার টিকা নিলেন তার ...বিশদ

06:23:00 PM