পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
সিপিএমের মালদহ জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা দলের যুব নেতা কৌশিক মিশ্র বলেন, বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার রেলকে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বর্তমানে রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে মালদহকে প্রতিপদে বঞ্চনা করা হচ্ছে। সেই বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আমরা স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামসিতে রেল লাইনের উপর উড়ালপুল এবং ইংলিশবাজার শহরের রথবাড়ি এলাকার সাবওয়ে দ্রুত চালুর দাবি জানানো হয়েছে। যাত্রী সুরক্ষার উপর জোর দেওয়ার দাবিও আমরা জানিয়েছি। খালতিপুর স্টেশনে এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার দাবিতে আমরা সরব হয়েছি।
প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষা মালদহ ডিভিশন রাজ্যের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে মালদহ ডিভিশন সেতুবন্ধনের কাজ করে। অথচ বর্তমানে মালদহকে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু মালদহ টাউন স্টেশন থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর, আজিমগঞ্জ ও বর্ধমান বা পাকুড়ের দিকে যাওয়ার লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার গড়িমসি করছে। মালদহ থেকে চাঁচল মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙ্ক ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মরতরা লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতেন। লকডাউনের সময় থেকে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। করোনার টিকাকরণের জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে। বিষয়টি মাথায় রেখে সব লোকাল ট্রেন চালু করা প্রয়োজন। প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর এলাকাকে এভাবে বঞ্চনা করা উচিত নয়। এর ফল বিজেপিকে ভোগ করতে হবে।
উত্তর মালদহের বিজেপি সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু বলেন, রাজ্য সরকার অনুমতি না দেওয়ায় রেল পরিষেবা পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হয়নি। বাম-কংগ্রেস তৃণমূলের হাতে তামাক খেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছে। ওদের উচিত রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানানো। আমাদের দাবি মতো রেলমন্ত্রক গৌড় এক্সপ্রেস সহ অন্যান্য ট্রেন চালু করেছে। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বাকি ট্রেনগুলির ব্যাপারেও আমার কথা হয়েছে। রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে সেগুলিও চালু হয়ে যাবে বলে তিনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মালদহ জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বিজেপি দায় এড়াতে চাইছে। গৌড়বঙ্গবাসী বিজেপির মতলব বুঝে গিয়েছে। মালদহ টাউন স্টেশন থেকে সব লোকাল ট্রেন দ্রুত চালু না হলে বিজেপিকে মানুষ গৌড়বঙ্গ ছাড়া করবে।