পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
এদিন ইংলিশবাজারের ওই স্টোর রুমের সামনে ভ্যাকসিনের গাড়িটিকে রিসিভ করার জন্য উপস্থিত ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য আধিকারিকরা। শৈবালবাবু বলেন, পাঁচটি বড় বাক্স ও দু’টি ছোট বাক্সে আসা ভ্যাকসিনগুলিকে ইতিমধ্যেই এক বিশেষ ধরণের রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছে। ওই রেফ্রিজারেটরের মধ্যে ২ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ভ্যাকসিনগুলিকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। মালদহে করোনা ভ্যাকসিন কখন পৌঁছয় তা জানতে যেমন তৎপর ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা, তেমনই প্রবল কৌতূহল ছিল নাগরিকদের মধ্যেও। সকলেই জানতে উৎসুক ছিলেন কত পরিমাণ করোনা ভ্যাকসিন প্রথম দফায় মালদহে আসছে। প্রথম ধাপে এসে পৌঁছনো ভ্যাকসিন দিয়ে প্রায় ১১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর টিকাকরণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
মালদহে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। তাঁদের তালিকা তৈরির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। প্রথম দফায় সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন পাবেন। এরপর বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও এই ভ্যাকসিন পাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। আগামী সপ্তাহে ভ্যাকসিনের পরবর্তী স্টক মালদহে এসে পৌঁছতে পারে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে, সন্ধ্যায় যখন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ভ্যাকসিনের গাড়ি এসে পৌঁছয়, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্তাদের পাশাপাশি রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপাও। মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিস। নায্যমূল্যের যে ওষুধের দোকানটি রয়েছে, তার পাশে ভ্যাকসিন স্টোরেজ সেন্টারে সেগুলি রাখা হয়েছে। তিনটি বাক্সে এদিন উত্তর দিনাজপুরে এসেছে ভ্যাকসিন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক মণ্ডল বলেন, ভ্যাকসিন স্টোর সেন্টারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিসের পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরের নিরাপত্তা কর্মীরাও রয়েছেন। লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
মালদহে ভ্যাকসিন এসে গিয়েছিল বিকালেই। সেই খবর জানাজানি হতেই তারপর থেকে প্রতীক্ষা শুরু হয়ে যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। কিন্তু গৌড়বঙ্গের তিন জেলার মধ্যে সবার শেষে ভ্যাকসিনের গাড়ি পৌঁছয় বালুরঘাটে। রাত আটটারও পরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে এসে পৌঁছয় গাড়ি। মাতৃমঙ্গলের কোল্ড স্টোরেজে আপাতত রাখা হচ্ছে ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনের চারটি বাক্স গাড়ি থেকে নামিয়ে কোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়। সেইসঙ্গে এসেছে ৪২ হাজার সিরিঞ্জ। জেলার প্রায় সাড়ে ১২ হাজার স্বাস্থ্য কর্মীকে প্রথম দফায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে। রাজ্য সরকারের সম্মতিক্রমে শনিবার থেকেই শুরু হবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।