পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, অসমে যেখানে চা শ্রমিকদের মজুরি ১৪২ টাকা, সেখানে বাংলায় চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭৬ টাকা। বাম জমানায় বাংলার চা শ্রমিকদের মজুরি ছিল ১৬৭ টাকা। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর চা শ্রমিকদের মজুরি ৯ টাকা বেড়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, দু’বছর আগে রাজ্য সরকার বিরোধীদের নিয়ে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের জন্য মিনিমাম ওয়েজ কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। কিন্তু দু’বছরে ১৬টি বৈঠক করেও এই কমিটি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কত হবে তা ঠিক করতে ব্যর্থ হয়। তাই বলে আমরা তো আর চুপ করে বসে থাকতে পারি না। সেজন্যই আমরা চাইছি, রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের মজুরি আর একটু বাড়িয়ে দিক। দলের চা বাগান নেতাদের নিয়ে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানাব। তারআগে ১৯ তারিখ শিলিগুড়িতে শ্রমমন্ত্রীকে আমরা এই দাবিতে একটি ডেপুটেশনও দেব।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই তৃণমূল চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি তুলছে। কিন্তু তাতে চিড়ে ভিজবে না। বিধানসভা ভোটেও চা শ্রমিকরা আমাদের পাশে থাকবেন।
আরএসপি প্রভাবিত ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কাস ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোপাল প্রধান বলেন, ভোটকে লক্ষ্য রেখেই তৃণমূল নেতৃত্ব চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে চায়। ওরা মিথ্যা কথা বলছে। মিনিমাম ওয়েজ কমিটিতে তৃণমূলের প্রতিনিধিও ছিল।
বিতর্ক যাই থাক, মজুরি বৃদ্ধির দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তৃণমূলের যে প্রতিনিধি দল যাবে, সেই দলে লুইস কুজুর, রাজেশ লাকড়া, সন্দীপ এক্কা, প্রকাশ চিকবরাইকের মতো নেতারা থাকবেন।