পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
নিয়ম মতো হোটেল বা লজ অথবা বাড়িভাড়া, সব ক্ষেত্রেই বৈধ কাগজপত্র দেখানোর কথা। কিন্তু টাকার লোভে পড়ে ব্যবসায়ী ও বাড়ি মালিকদের একাংশ কাগজপত্র ছাড়াই ঘর ভাড়া দিচ্ছেন সেইসব বাংলাদেশিদের। সীমান্তে বিএসএফকে ফাঁকি দিয়ে বহু অনুপ্রবেশকারী এদেশে ঢুকে পড়ছে। সম্প্রতি তপনের সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাঁচজনের একটি ডাকাত দল এদেশে ঢোকে। তারা গত দিন পাঁচেক ধরে এদেশেই ঘাঁটি গেড়ে জাতীয় সড়কে পরপর ডাকাতির পরিকল্পনার ছক কষে। বালুরঘাট, তপন ও হিলি এলাকাতেই ঘাঁটি গেড়েছিল তারা। যদিও তাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। পুলিস জানতে পেরে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, তপনের সীমান্ত দিয়ে পাঁচজন ডাকাতের দল এদেশে ঢুকেছিল। যা আমাদের কাছে উদ্বিগ্নের বিষয়। বাইরে থেকে এসে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই যাতে কেউ হোটেল ও লজগুলিতে ঘর ভাড়া নিতে না পারে, সেজন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে। যাঁরা প্রকৃতই পর্যটক, শুধুমাত্র তাঁরাই ঘর পাবেন। আমরা নাকা চেকিংও বাড়িয়েছি। পুলিস সতর্ক রয়েছে।
বালুরঘাটের হোটেল মালিক ও বাড়ির মালিকরা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা পরিচয়পত্র যাচাই না করে, হোটেলে বা ঘরে কাউকেই থাকতে দেন না। বালুরঘাটের এক হোটেল মালিক বলেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকলে আমরা কাউকে এখানে থাকতে দিই না। এক বাড়ির মালিক সুদর্শন তালুকদার বলেন, আমার বাড়িতে অনেকেই ভাড়া নিয়ে থাকেন। তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে তবেই থাকার অনুমতি দিই। সন্দেহভাজন কাউকে এখানে রাখি না।
বালুরঘাটের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, যদি কেউ বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই কাউকে ঘর ভাড়া দেয়, তবে তাদের এনিয়ে সতর্ক করা হবে।
প্রসঙ্গত, কাঁটাতারের ওপার থেকে আসা বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রায়ই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অপারেশন চালায়। বছর পাঁচেক আগে বালুরঘাটের মাতৃসদনে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় স্থানীয়দের সঙ্গে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরাও জড়িত ছিল। আবার ওই বছরই জেলা পরিষদে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই কাণ্ডেও বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার যোগসূত্র পাওয়া যায়। তবে গত কয়েক বছর জেলায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা বড়সড় কোনও অপরাধ না ঘটনালেও একাধিক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। কিছুদিন আগে বালুরঘাটের মঙ্গলপুর থেকে চুরির অভিযোগ এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতীকে পুলিস গ্রেপ্তার করে।
বালুরঘাট ও হিলি এলাকায় অনেক হোটেল ও লজ রয়েছে। বাইরে থেকে বহু পর্যটক সেসব হোটেলে বা লজে এসে থাকেন। এছাড়াও বালুরঘাট শহর ও সংলগ্ন এলাকায় অনেকেই বাড়ি ভাড়া দেন। দু’ক্ষেত্রেই ব্যবসায়ী ও বাড়ি মালিকদের সতর্ক হতে বলছে পুলিস।