সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: মুর্শিদাবাদ থেকে ছয় জন জঙ্গি ধরা পড়ার পর উত্তর দিনাজপুর নিয়ে বাড়তি সতর্ক পুলিস ও গোয়েন্দার। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার অন্তর্গত ইটাহার ব্লক থেকে বছরখানেক আগেই ধরা পড়েছিল দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। বাংলাদেশের জেএমবি সংগঠনের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। এসটিএফ বাহিনী সেই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। এবার এই জেলাকে ব্যবহার করে রাজ্যে নিজেদের জাল বিছানোর কোনও চেষ্টা করছে কি না জঙ্গি সংগঠনগুলি, তা জানতে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই ধরনের কোনও জঙ্গি সংগঠনের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার খবর পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে নেই। তবুও যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছেন তাঁরা।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমাদের কাছে এই মুহূর্তে রায়গঞ্জে জঙ্গি কার্যকলাপের কোনও তথ্য নেই। কেন্দ্র বা রাজ্যের তরফ থেকেই আমাদের কাছে আলাদা করে কোনও সতর্কতামূলক নির্দেশিকা এসে পৌঁছয়নি। আমরা বরাবরই আমাদের গোয়েন্দা বাহিনীকে সক্রিয় রেখে এই ধরনের কোনও ঘটনা কোথাও ঘটছে কি না, তা জানার জন্য তথ্য যাচাই করি। এখনও করছি।
সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ পুলিস জেলার অন্তর্গত স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের তদন্তকারী অফিসাররা এবং পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের বেশ কিছু আধিকারিক তাদের সোর্সকে সক্রিয় করে তুলেছে। যেহেতু আগেও একবার এখানে জেএমবি যোগের হদিশ মিলেছিল, তাই বাংলাদেশের সেই সংগঠনের কোনও সক্রিয়তা এখানে দেখা যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে খোঁজখবর চলছে। সংগঠনের কেউ এই জেলার কোনও প্রান্তে ঘাঁটি গাড়ছে কি না, তা নিয়ে খোঁজ চলছে। উত্তর দিনাজপুর বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা। সেই সঙ্গে এই জেলার সঙ্গে গৌড়বঙ্গের বাকি দুই জেলা, শিলিগুড়ি এবং প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের সড়কপথে যোগাযোগ খুব ভালো। যোগাযোগের এই সুবিধাকে যেকোনও নিষিদ্ধ সংগঠনই কাজে লাগাতে পারে। তাই নজরদারিতে কোনওমতেই ঢিলেমি বরদাস্ত করা হচ্ছে না। যদিও পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে জেলায় আলাদা করে কোনও রেড অ্যালার্ট নেই। তবুও আগেভাগেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৎপর রয়েছে পুলিস।