পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যে স্টেশন বাজার, বউবাজার, দিনবাজার, বয়েলখানা বাজার সহ একাধিক বাজার রয়েছে। বাজারগুলিতে নিত্যদিন সকাল থেকেই চলে বিক্রিবাটা। ছুটির দিন তো বটেই অন্যান্য দিনও ভালো ভিড় হয়। বাজারগুলি ঘুরে দেখা গিয়েছে, কিছু ক্রেতা মাস্ক ছাড়াই আসছেন। তবে তার থেকেও বেশি সংখ্যক বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। বিক্রেতাদের কেউ মাস্ক তুলে রেখেছেন কপালে, কেউ আবার মাস্ক নামিয়ে রেখেছেন গলার কাছে। মুখে মাস্ক নেই কেন, এই প্রশ্ন করাতে অনেকে আবার পকেট হাতড়ে মাস্ক বের করেছেন। আবার মাস্ক একেবারেই নেই, এমন বিক্রেতার সংখ্যাও বাজারগুলিতে কম নয়। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, মাস্ক কেন পরতে হবে তা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে বাজারগুলিতে।
বউবাজারে কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, টানা মাস্ক পরে থাকা যাচ্ছে না। দম আটকে আসছে। তাই কেউ মাস্ক কপালে তুলে রাখছেন, কেউ আবার গলার কাছে নামিয়ে রাখছেন। দিনবাজারের এক বিক্রেতা বলেন, মাস্ক পরার কথা তো সবাই বলছে। কিন্তু আগেরদিন বৃষ্টিতে মাস্ক ভিজে গিয়েছে। তাই আজ আর পরে আসতে পারিনি।
কী বলছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির নেতৃত্ব? দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মলয় সাহা বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বাজারে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। বাজার এলাকায় পাকাপাকিভাবে মাইকের মাধ্যমে যেমন নিয়মিত প্রচার চলছে আবার হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করেও প্রচার চালানো হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণীর ক্রেতা এবং বিক্রেতা এখনও সচেতন নন। এ ব্যাপারে প্রশাসন আরও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, সর্বত্রই অভিযান হচ্ছে। মানুষও অনেক বেশি সচেতন হয়ে গিয়েছে। বাজারগুলিতে অভিযান আরও বাড়ানো হবে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকারের নির্দেশমতো সর্বত্রই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাজারগুলিতে পুলিসের সঙ্গে আগেও যৌথ অভিযান হয়েছে। ফের এই ধরনের অভিযান শুরু হবে। মানুষকে সচেতন করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।