বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
মালদহের ডিএসপি (সদর) প্রশান্ত দেবনাথ বলেন, আফিম পাচার করার সময় ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা চার দুষ্কৃতীকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। ধৃতদের কাছ থেকে দুই কিলোগ্রাম ৬০০ গ্রাম আফিম পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি আমরা একটি কালো রঙের গাড়ি আটক করেছি। ধৃতদের জেরা করে পাচারের ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মাদক পাচার চক্রে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, মাদক পাচারের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ের সঙ্গে দলের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় মালদহের বিজেপি নেতৃত্ব কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতার সঙ্গে এরাজ্যের নেতৃত্ব কথাও বলেন। তবে ঘটনায় দলের যোগ থাকার বিষয়টি গেরুয়া শিবির উড়িয়ে দিয়েছে। এব্যাপারে বিজেপির মালদহ জেলা মিডিয়া ইনচার্জ তথা দলের সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে দলের ঝাড়খণ্ড শাখার সঙ্গে কথা বলেছি। আটক হওয়া গাড়ির সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দলের নেতারা আমাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিসের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আমাদের বলার কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, মালদহ জেলাকে মাফিয়ারা মাদক পাচারের অন্যতম ‘ট্রানজিট রুট’ হিসাবে ব্যবহার করে। আগে এজেলার বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, মোথাবাড়ি, মানিকচক সহ অন্যান্য থানা এলাকায় ব্যাপক পোস্ত চাষ হতো। গত দু’বছর ধরে পুলিস কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় বেআইনি পোস্ত চাষ অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে জেলার কালিয়াচক থানা এলাকায় ব্রাউন সুগার তৈরির কারবার বন্ধ করা যায়নি বলে পুলিস আধিকারিকরা স্বীকার করে নিয়েছেন। ওই থানার একাধিক গ্রামে আফিম বা পোস্তর আঠা থেকে ব্রাউন সুগার তৈরি কার্যত কুটির শিল্পে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ। মাদক কারবার বন্ধ করা নিয়ে কালিয়াচক থানার পুলিসের একাংশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগও উঠেছে। বাধ্য হয়ে জেলা পুলিসের কর্তারা সদর থেকে বাহিনী পাঠিয়ে মাদক মাফিয়াদের গ্রেপ্তার করেন। জেলা পুলিসের ক্রাইম মনিটারিং গ্রুপের সদস্যরা এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এদিকে, বর্তমানে ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের বেশ কিছু জায়গায় রমরমিয়ে পোস্ত চাষ চলছে বলে অভিযোগ। ফলে ব্রাউন সুগারের প্রধান উপাদান তরল পোস্তর আঠা বা আফিমের মণ্ড ওই দুই রাজ্য থেকে কালিয়াচকে আনা হয় বলে পুলিস জানিয়েছে। মাদক তৈরির পর নির্দিষ্ট মজুরি দিয়ে ফের তা মাফিয়ারা নিয়ে যায়। পরে তা বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হয়। তবে এবার পাচারে রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেল বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।