সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এবিষয়ে চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, সকালে পুরনো বিবাদ নিয়ে একটি গন্ডগোল হয়। তাতে বোমার আঘাতে একজন মারা গিয়েছেন। শুনেছি, সোনার চেন হারিয়ে যাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের কোনও পুরনো বিবাদ ছিল। সেই নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। তবে প্রকৃত কী ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। আমরা সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছি। এলাকায় পুলিস টহলদারি শুরু করেছে।
চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে। আপাতত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওই দুই পরিবারের বিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চাঁচল থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। তাতেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। অবশেষে র্যাফ মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষ থামাতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটানো হয়েছে বলে গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন। যদিও পুলিস সেল ফাটানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দিলেও সন্ধ্যা অবধি এলাকা থমথমে ছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস বেশ কিছু বোমার নমুনা সংগ্রহ করেছে।
মৃতের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, এদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে সাদ্দাম বাড়ির বাইরে যায়। কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু সংবাদ পাই। তাকে বোমা মারা হয়েছে। যদিও সাদ্দামের বিরোধী গোষ্ঠীর বক্তব্য, সাদ্দামরাই বোমা জড়ো করছিল। সে সময় বোমা ফেটে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদ্দাম হোসেনের পরিবারের সঙ্গে তার শরিক এক পরিবারের বেশ কিছুদিন আগে বিবাদ বেঁধেছিল। জানা গিয়েছে, পরিবারের এক মহিলার সোনার চেন হারিয়ে যাওয়া নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হয়। এনিয়ে প্রথমে একে অপরের সন্দেহ করেন বাড়ির মহিলারা। পরে এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। সেসময় বিবাদ সালিশি সভা পর্যন্ত গড়ায়। যদিও সালিশি সভায় আস্থা হারিয়ে দুই বিবাদমান গোষ্ঠী পরে থানার দ্বারস্থ হয়। তাতেও সমস্যা মেটেনি। সেই বিবাদের রেশ ধরে এদিন সকালে আবার গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। তখনই বোমাবাজি শুরু হয়। সাদ্দাম হোসেন বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মারা যান বলে অভিযোগ।