সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
মাথাভাঙা মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতলকুচি ব্লকে কমিউনিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার কাজ জোরকদমে চলছে। মূলত রেড জোন এলাকা থেকে না আসা ব্যক্তিদের এসব কমিউনিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে। তাঁদের খাবার সহ প্রয়োজনীয় জিনিস বাড়ির লোকজন সহজেই এনে দিতে পারবেন। প্রয়োজনে সরকারিভাবেও তাঁদের খাদ্য সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হবে। গ্রামীণ এলাকায় করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শীতলকুচির বিডিও ওয়াংদি গ্যালপো ভুটিয়া বলেন, আমরা ইতিমধ্যে দু’টি স্কুলকে কমিউনিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলেছি। এর মধ্যে একটিতে চারজনকে রাখাও হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানছেন না, তাঁদের এসব কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে রেড জোন নয় এমন জায়গা থেকে আসা ব্যক্তিদেরও কমিউনিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কোচবিহার জেলার শীতলকুচি ব্লকে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ব্লক প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক বাড়িতে ফিরেছেন। এঁদের সিংহভাগই ভিনরাজ্যে ইটভাটায় কাজ করতেন। ওই শ্রমিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, যাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিয়ম না মেনে বাইরে ঘোরাফেরা করছেন।
এতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছেও প্রচুর অভিযোগ গিয়েছে। অপরদিকে অনেকেই ভিন জেলা বা রেড জোন নয়, এমন এলাকা থেকে বাড়িতে ফিরলেও স্থানীয়রা এলাকায় থাকা নিয়ে আপত্তি তুলছেন। এ কারণেই প্রশাসন কমিউনিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয়রা ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা ব্যক্তিদের ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। এলাকায় যাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ না ছড়ায়, সেদিকে খেয়াল রেখেই এমন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে।
শীতলকুচি ব্লকের সাবেক ছিটমহল নলগ্রাম ও ফলনাপুরের কমিউনিটি হলঘর, গোসাঁইরহাটের সদ্ভাবকেন্দ্র ও বিএড কলেজ, ছোট শালবাড়ির গড় কামতেশ্বর গেস্ট হাউসে এমন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে।
এ সমস্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেড জোন থেকে আসা ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে। অনেকেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতেও চলে গিয়েছেন। শীতলকুচি ব্লকে কয়েক হাজার শ্রমিক নেপালের ইটভাটা ও ভুটানে আটকে আছেন। তাঁরা বাড়িতে ফিরলে তাঁদেরও কমিউনিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হতে পারে বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে।