সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিন রবীন্দ্রনাথবাবু কোচবিহার জেলাশাসকের দপ্তরে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। সরকারি নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজেদের কাজের জায়গায় ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। এদিকে, কোচবিহারে বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী আন্দোলনে শামিল হওয়ায় করোনা আবহে কিছুটা হলেও জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন।
আলিপুরদুয়ারে বিক্ষোভের পর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ডেপুটেশন পাঠিয়ে সিএমওএইচের বদলি ঠেকানোর দাবি করেন। যদিও দুই জেলাতেই নতুন সিএমওএইচরা বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দেননি। সুমিতবাবু বলেন, আমার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্দোলন থামানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। সরকারি নির্দেশ যা রয়েছে আমাকে তা মেনে কাজ করতে হবে। আমি ডেপুটি সিএমওএইচ-২ জ্যোতিষচন্দ্র দাসকে এদিন দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। মন্ত্রী বলেন, আমি ওঁদের বলেছি সরকারি নির্দেশকে সম্মান জানানো দরকার। সিএমওএইচের অভিজ্ঞতাকে সরকার উত্তরবঙ্গের আট জেলায় কাজে লাগাতে চায়। সেই কারণেই তাঁকে উত্তরকন্যায় বদলি করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের আমি বলেছি, এটা সরকারি নির্দেশ। যিনি আসবেন, তিনি কাজও করবেন।
মৃদুলবাবু বলেন, এটা সরকারি সিদ্ধান্ত ও রুটিন বদলি। ফলে এখানে কিছু করার নেই। তবে বিক্ষোভকারীদের ডেপুটেশনের কপি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আলিপুরদুয়ার জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, বিক্ষোভের কথা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য আমি করব না। এদিনের বিক্ষোভের বিষয়ে সিএমওএইচ পূরণ শর্মার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বদলির প্রতিবাদে চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টর্স বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকেও প্রতিবাদপত্র দিয়ে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, কোভিড একটা যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে কমান্ডার হিসেবে আলিপুরদুয়ারে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পূরণবাবু। তাঁকে কলকাতার পাস্তুর ইন্সটিটিউটে বদলি করা হয়েছে। যার সঙ্গে কোভিড যুদ্ধের কোনও সর্ম্পক নেই।