কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
শিলিগুড়ি মিনিবাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক মৃণালকান্তি সরকার বলেন, জনজীবনকে স্বাভাবিক করতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে প্রশংসা জানাই। সমস্ত আসনে যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে আমাদের সমস্যা অনেকটাই কমবে। টানা দুই মাসের বেশি সময় ধরে বাস বন্ধ থাকায় আমরা বিপুল লোকসানের মধ্যে পড়েছি। ২০ জন করে যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব ছিল না। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের দাবি সরকারকে জানিয়েছিলাম। রবিবার আমরা সাংগঠনিক স্তরে আলোচনায় বসব। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমরা ভাড়া বাড়ানোরও প্রস্তাব দিয়েছি। আলোচনার মাধ্যমে আমরা বাস চালাতে আগ্রহী।
শিলিগুড়ি শহর থেকে মহকুমার গ্রামীণ রুটে প্রায় ১৫০টি বাস ও মিনিবাস চলে। এছাড়াও তেনজিং নোরগে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস থেকেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শতাধিক বাস ও মিনিবাস চলে। লকডাউনে বাস পরিষেবা বন্ধ হতেই মাথায় হাত পড়ে বাস মালিক, চালক ও কর্মীদের। পরবর্তীকালে ২০ জন যাত্রী নিয়ে আন্তঃরাজ্য বাস চালানোর ঘোষণা করে রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাস মালিক সংগঠনগুলি। তাদের দাবি ছিল, মিনিবাসে ন্যূনতম ৪ কিমির ভাড়া আট টাকা ও বাসে সাত টাকা করতে হবে। পরবর্তী প্রতি কিমিতে মিনিবাসে এক টাকা ও বড় বাসে ৮৫ পয়সা করে ভাড়া বাড়াতে হবে। এই পরিস্থিতিতে পুরনো ভাড়ায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে তাঁরা বাস চালাতে অস্বীকার করেন। তবে গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় তাঁরা অনেকটাই স্বস্তিতে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় একদিকে যেমন খুশি বাস মালিকরা তেমনই খুশি যাত্রীরাও। অনেকেরই দাবি, এভাবে বাস বন্ধ রাখায় অসুবিধা হচ্ছে। সকলেই চায় মানুষ সচেতন হয়ে রাস্তায় নামুক। করোনাকে সঙ্গে নিয়ে যখন লড়াই করতে হবে তখন আমাদেরই সচেতন হতে হবে। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি নিজেদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা জরুরি। তবে সব আসনে যাত্রী নিয়ে বাস চললে সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব কীভাবে বজায় থাকবে তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে।