কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত ওই ৩২ জন পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায়। বাইরের রাজ্য থেকে তাঁরা ফেরার পর দিনহাটা মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় থাকা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তাঁদের রাখা হয়েছিল। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেরই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনের সময়কাল পার হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কোয়ারেন্টাইন থেকে বাড়ি ফেরার পর তাঁদের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন তা নিয়ে এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করার ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীদের মধ্যে।
শুক্রবার করোনা আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দিনহাটা মহকুমা সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার ও রাস্তাঘাটের ভিড় আনেকটাই কমে গিয়েছে। উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ সংক্রমণের ভয়ে কার্যত ঘরে ঢুকে পড়েছেন। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই কোচবিহার থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসায় বাসিন্দাদের মধ্যে আশঙ্কা দানা বাঁধছিল। জেলায় একসঙ্গে ৩২জন আক্রান্ত হওয়ার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এবং সেইসঙ্গে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮৯জনের নেগেটিভ এবং ৩২ জনের পজিটিভ এসেছে। গত ২০ মে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আক্রান্তদের শরীরে কোনও লক্ষণ নেই। তাঁদের সকলকেই শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। ৩২ জনকেই নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। যদি পুরো সময়জুড়েই তাঁদের মধ্যে করোনার লক্ষণ না দেখা যায় তবে পরবর্তী টেস্ট করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হবে। ওই ৩২ জনের সংস্পর্শে আসাদের ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শনিবার নিউ কোচবিহার স্টেশনে ভিনরাজ্য থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন এসে পৌঁছছে। ভিন রাজ্য থেকে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক এদিন জেলায় ফিরেছেন। প্রশাসন অবশ্য আগে থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়েছে।