কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলা প্রথম দিকে গ্রিন জোনে থাকলেও ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে। বর্তমানে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শো পেরিয়ে গিয়েছে। তার ফলে উদ্বেগ বাড়ছে। প্রশাসনের দাবি, জেলায় করোনা আক্রান্তের নিরিখে প্রায় ১০০ শতাংশই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি প্রভৃতি সংক্রামিত রাজ্য থেকে আসছেন বলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
তবে, জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য প্রথম দিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও কলকাতায় পাঠানো হচ্ছিল নমুনা। কিন্তু, রিপোর্ট আসতে অনেক দেরি হচ্ছিল বলে সমস্যায় পড়ে স্বাস্থ্যদপ্তর। বাধ্য হয়ে বীরভূম জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর কলকাতার পর দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। তাতেও সন্তুষ্টি ছিল না জেলা প্রশাসনের। তাই সিউড়ি সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন পাঠানো হয়। অবশেষে আইসিএমআর-এর তরফে শনিবার বিকেলে সেই ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, রাজ্যে এই প্রথম কোনও জেলা সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সিউড়িতে এক্ষেত্রে আরটিপিসিআর সহ অন্যান্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। তাই খুব সহজেই জেলায় নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ বলেন, সিউড়ি সদর হাসপাতালে মঙ্গলবার থেকে করোনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এটা খুবই আনন্দের খবর। আমাদের আর কোথাও ভরসা করতে হবে না। জেলাতেই সময়মতো, ইচ্ছামতো পরীক্ষা করা যাবে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য টেকনিশিয়ানদের আগেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া করোনার প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য ট্র্যুন্যাট মেশিনও বসেছিল। কিন্তু, এবার স্বয়ংক্রিয় মেশিন দিয়ে সরাসরি করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হল।
এক স্বাস্থ্যকর্তার দাবি, প্রতিদিন কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, দুর্গাপুর মিলিয়ে শতাধিক নমুনা পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু, সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছিল। তার ফলে নমুনা পাঠানোর সংখ্যাও বর্তমানে কমে গিয়েছে। তাই জেলায় এই প্রক্রিয়া শুরু হলে সাধ্যমতো তা করা যাবে।
জেলা প্রশাসনের দাবি, বর্তমানে সংক্রামিত পাঁচ রাজ্য থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ফিরছেন। তাঁদের সাতদিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখতে হবে। তাই তাঁরা সেখানে আসার পর নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্ট পাওয়া গেলে সাতদিনের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। যদিও আগে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখার পর বাসিন্দাদের নমুনা সংগ্রহ করে ছেড়ে দেওয়া হতো। তার জেরে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তাই এক্ষেত্রে সময়মতো রিপোর্ট আসা অত্যন্ত জরুরি।