Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বন্দি যখন শিশুমন
তন্ময় মল্লিক

‘উফ, আর পারা যাচ্ছে না। কবে যে মুক্তি পাব?’ ‘কতদিন বাজার যাইনি। এইভাবে দমবন্ধ অবস্থায় থাকা যায়?’ ‘দিনরাত গাধার খাটুনি খাটছি। তার উপর তোদের জ্বালাতন। এবার ঠাস ঠাস করে চড়িয়ে দেব।’ লকডাউনের গৃহবন্দি জীবনে এমন সংলাপ আজ প্রায় ঘরে ঘরে। দু’মাসের লম্বা লকডাউনে ‘সুখী গৃহকোণ’-এর সুখ যেন খসে গিয়েছে। পড়ে রয়েছে শুধুই গৃহকোণ। বড়রা তবুও মনের খেদ প্রকাশ করে হাল্কা হতে পারছে। কিন্তু, যাদের সেই ক্ষমতা বা অধিকার কোনওটাই নেই! শেখেনি হাল্কা হওয়ার কৌশল, তারা হয়ে উঠছে বেপরোয়া, বিদ্রোহী। ভাঙছে, ছুঁড়ছে, মারছে, আবার মারও খাচ্ছে। মুখ গুঁজছে বিছানায়। মনপসন্দ খাবারেও মন নেই। আত্মজ হয়ে উঠছে প্রতিপক্ষ। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ভেন্টিলেটর, করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর ‘প্রতিবাদী শৈশব’। করোনা ছোবলের জ্বালা সহ্য করা যায়, কিন্তু সন্তানের বিপন্নতায় বুক ফেটে যায়।
‘ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করতে পারছি না। ছেলে যখন ঘুমোয় তখন অফিসের কাজ করি। ঘুম ভাঙলেই হামলে পড়ছে ল্যাপটপের উপর। আগে মোবাইল নিয়ে খেলত। মোবাইল একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে। এখন ওর টার্গেট ল্যাপটপ। মাঝেমধ্যে রেগে গিয়ে মারধরও করে ফেলছি। জানি, কাজটা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু, পারছি না। বিশ্বাস করুন, ছেলে জেগে থাকলে বাথরুমে বসে অফিসের কাজ করছি। একদিন বাথরুম থেকে বেরতে দেরি হওয়ায় এমন দরজা ধাক্কা দিতে শুরু করল যে, স্টেশনে গিয়ে কাজ করতে হল।’ সাড়ে তিন বছরের ছেলের কথা বলার সময় বেসরকারি সংস্থার কর্মী সন্তু নিজেই যেন কেমন অস্থির হয়ে যাচ্ছিলেন।
‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। বাড়িতে বসে অফিসের কাজ। এমন কাজে ভীষণ লোভ ছিল অরূপের। কারণ অরূপের চাষ আর বাস ভিন্ন জায়গায়। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী আর দু’টি বাচ্চা। একজনের বয়স ৪, অন্যজন ১১। স্ত্রী স্কুলে পড়ান। আর অরূপ বেসরকারি সংস্থার কর্মী। বাড়ি বলতে সপ্তাহে একদিন। বাড়ির সারা সপ্তাহের কাজ ওই ছুটির দিনেই। ছুটি তো নয়, আসলে ছুটোছুটি। ফুড়ুত করে পালিয়ে যায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনটা। তাই আইটি সেক্টরে, বিদেশে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর গল্প শোনার সময় অরূপের চোখ জ্বল জ্বল করে উঠত। বলত, আহা, এমনটা আমাদের হয় না কেন?
করোনা অরূপের জীবনে সেই সুযোগটাই এনে দিয়েছে। অরূপের এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চলছে। কেমন আছে অরূপ? অরূপ বলে, দাদা, বাড়ি আর এখন বাড়ি নেই, মনে হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র। কাজের লোকের সবেতন ছুটি চলছে। তাই ঘর মোছা থেকে রান্না, বাসন মাজা, সবই করতে হচ্ছে নিজেদের। চাপের চোটে সকলের মেজাজ সপ্তমে বাঁধা। তার উপর ছেলে দু’টোর বায়না দিন দিন বাড়ছে। স্কুল বন্ধ, খেলা বন্ধ। সব সময় বাড়িতে। কেমন যেন জেদি হয়ে যাচ্ছে। রেগে যাচ্ছে, জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলছে, ভাঙছে। উঠতে বসতে মারও খাচ্ছে। এক যাচ্ছেতাই কাণ্ড। তার উপর ‘অন লাইন ক্লাস’-এর ফ্যাচাং। মোবাইল নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি চলছে। শুরু হয়েছে মোবাইলে গেম খেলা। ছেলেদের মোবাইলের নেশা ছিল না। লকডাউনে সেটাও ধরে গেল। জানি না, এর শেষ কোথায়?
বিদ্যালয় তো শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। বিদ্যালয় বাড়ির বাইরে একটা বৃহত্তর বাড়ি। সেখানে শিক্ষকদের স্নেহ, ভালোবাসা, অনুশাসনের পাশাপাশি আছে বন্ধুর স্পর্শ, খুনসুটি, আরও অনেক কিছু। বিদ্যালয় স্বাধীনতার অঙ্গন। বাবা, মায়ের আঙুল ছেড়ে নিজের মতো করে পরিচালনার পাঠ শুরু
হয় এখানেই। স্কুল থেকে ফিরে ঘুম, খেলার মাঠ অথবা পার্ক। তারপর সন্ধ্যায় বাড়িতে পড়তে বসা, অথবা শিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়া। দিনের প্রায় ৮০ ভাগ সময়ই কাটত স্কুল আর স্কুলের পড়াশোনা নিয়ে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, এটাই ছিল অভ্যেস। ছাত্রজীবনের এটাই
নিয়ম। কিন্তু, একটা সুইচেই বন্ধ হয়ে গেল বৃহত্তর বাড়ির দরজাটা।
লকডাউন। আচমকাই স্কুলে ঝুলল তালা। বন্ধ হয়ে গেল অনাবিল মুক্তি আর আনন্দের প্রাঙ্গণটি। হারিয়ে গেল বন্ধুরা। হারিয়ে গেল টিফিন ভাগ করে খাওয়া, কেড়ে খাওয়ার আনন্দ। হারিয়ে গেল জীবনের বৈচিত্র্য। জীবনের আসল রং তো লুকিয়ে আছে বৈচিত্র্যের মধ্যেই। তা না থাকলে জীবন বিবর্ণ, ফ্যাকাসে, একঘেয়ে। আট থেকে আশি সকলেরই। জীবনের ঘাত প্রতিঘাত মানুষকে করে অভিজ্ঞ। তাই বড়রা কঠিন পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু, শৈশব, কৈশোর তা পারে না। তাই একটু এধার ওধার হলেই তারা হয়ে ওঠে বিদ্রোহী।
ভঙ্গুর যৌথ পরিবার ভাঙতে ভাঙতে আজ নিউক্লিয়ার। বেশিরভাগ পরিবারে সদস্য সংখ্যা তিন অথবা চার। লকডাউনের প্রথম প্রথম সব কিছুই ছিল বেশ অন্যরকম। হাতে হাতে উঠে যাচ্ছিল বাড়ির সমস্ত কাজ। সন্তানরাও সর্বক্ষণ পাচ্ছিল তাদের বাবা, মাকে। আনন্দে ভরে উঠেছিল গৃহকোণ। কিন্তু, লকডাউন লম্বা হতেই চার দেওয়ালের বন্দি জীবনে ফিরে এল সেই একঘেয়েমি। হারিয়ে গেল বৈচিত্র্য। তাই অনেকের কাছেই লকডাউন হয়ে উঠেছে অভিশাপ। তবে, বৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে পারলেই অভিশাপ হয়ে উঠবে আশীর্বাদ। আনন্দকে উপলব্ধি করতে পারলেই কমে যায় যন্ত্রণা। তাই লকডাউনের বন্দি জীবনের কষ্টকে বড় করে না দেখে, সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।
মনরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মহুয়া জানা দুবের স্বামীও চিকিৎসক। দু’জনেই সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। থাকেন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। রান্নার জন্য সহযোগী থাকলেও হাসপাতালে ডিউটির পাশাপাশি দুই শিশুসন্তানকে সামলান তিনিই। দু’টি শিশুর দিনের অনেকটা সময় কাটে বাবা মাকে ছাড়াই। তবুও তিনি মোবাইলকে সন্তানদের খেলনা হতে দেননি। বুঝিয়েছেন, মোবাইল খেলনা নয়, কাজের জিনিস।
মহুয়াদেবী বলেন, আমরা যে অবস্থাটার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, সেটা আমাদের সকলের কাছেই নতুন। ছোটরা, বড়রা, আমরা চিকিৎসকরা, সকলেই চাপে আছি। তাই পা ফেলতে হবে সন্তর্পণে। তাঁর কথায়, লকডাউন যেমন যন্ত্রণার, তেমনই একটা সুযোগও। এই সময় আনন্দের উপকরণগুলো বাচ্চাদের নাগালের বাইরে। তাই পড়াশোনার খুব বেশি চাপ না দেওয়াই ভালো। গান, নাচ, ছবি আঁকা, কবিতা, যে যেটা পছন্দ করে, তাতেই তাকে উৎসাহ দিতে হবে। তবে, কাজের চাপ সামলে সন্তানদের সময় দিতেই হবে। সৃষ্টির আনন্দে ভরিয়ে দিতে হবে শিশুমন। সেটা করতে পারলেই লকডাউন হয়ে উঠবে আশীর্বাদ।
যে কোনও সৃষ্টির পিছনেই থাকে যন্ত্রণা। মুক্তোর অপরূপ সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ হই। সেই মুক্তো তো যন্ত্রণারই ফসল। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হল শিশু। মাতৃজঠর ছিন্ন ভিন্ন করে সেই শিশু যখন পৃথিবীর আলো দেখে তখন মাকেও সহ্য করতে হয় তীব্র যন্ত্রণা। যন্ত্রণার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সৃষ্টির আনন্দ। লকডাউনের বন্দি জীবনে যন্ত্রণা যেমন আছে, তেমনই আছে সৃষ্টির উপাদান। যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করে মেতে উঠতে হবে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
বন্দি জীবনে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে ওঠার রাস্তা আমাদের দেখিয়ে গিয়েছেন নজরুল ইসলাম। সালটা ১৯২৩। কবির তখন দিন কাটছে প্রেসিডেন্সির জেলে। তরোয়ালের চেয়েও তীক্ষ্ণ তাঁর লেখনি প্রতিনিয়ত ব্রিটিশ শাসকদের করছিল ক্ষতবিক্ষত। উত্তাল হচ্ছিল ইংরেজ খেদাও আন্দোলন। কবিকে ক্ষান্ত করার কোনও রাস্তা না পেয়ে তাঁকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল কারাগারে। বন্দি ছিলেন এক বছর। কিন্তু, বন্দি জীবন কেড়ে নিতে পারেনি কবির মনের বিদ্রোহের আগুন, দমিয়ে দিতে পারেনি তাঁর সৃষ্টির শক্তিকে। কারাগারে বসেই তিনি লিখেছিলেন, ‘আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে/ বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার-ভাঙা কল্লোলে/ আসল হাসি, আসল কাঁদন/ মুক্তি এলো, আসল বাঁধন/ মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে/ ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে/ আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।’
স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরেও রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র, বিবেকানন্দই আমাদের বেঁচে থাকার শক্তি, লড়াইয়ের প্রেরণা। তাঁদের অমরসৃষ্টি, তাঁদের জীবনদর্শন আমাদের যুদ্ধজয়ের সাহস জোগায়। ১২ মাসের বন্দি জীবন, গোরা পুলিসের অত্যাচারেও তিনি ভেঙে পড়েনি। কারারুদ্ধ জীবনে বদ্ধ জলাশয়েও তিনি আনতে চেয়েছিলেন জোয়ার। কবির রিক্ত, শূন্য হৃদয় ভেসে যেতে চেয়েছিল সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। সেই বিদ্রোহী কবিই হোন আমাদের লকডাউনের যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করার আদর্শ, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে ওঠার প্রেরণা।
30th  May, 2020
সতর্ক প্রহরী
পি চিদম্বরম

ব্যারিস্টার ভি জি রো মাদ্রাজ হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন। তিনি ছিলেন বাম-মনস্ক উদার। সমস্ত ধরনের বিজ্ঞানের ব্যবহারিক জ্ঞান, রাজনৈতিক শিক্ষা এবং শিল্প, সাহিত্য, নাটক প্রভৃতিকে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি পিপলস এডুকেশন সোসাইটি গড়েছিলেন।
বিশদ

একটু সময় দিন,
পাশে দাঁড়ান
হিমাংশু সিংহ

বামফ্রন্ট সরকার ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। ভেসে গিয়েছিল একের পর এক জেলা, দক্ষিণবঙ্গের বড় বড় শহর। কলকাতাও রেহাই পায়নি সেই বিপর্যয়ের হাত থেকে।
বিশদ

31st  May, 2020
বিশ্বাসযোগ্যতা ও বলিষ্ঠ
পদক্ষেপের এক বছর
রাজনাথ সিং

যে কোনও দেশের ইতিহাসে পাহাড়প্রমাণ পরিবর্তন দেখার সুযোগ খুব কমই আসে। ২০১৪ সালে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এরকমই একটি বিরাট পরিবর্তন এসেছিল। দেশের মানুষ দুর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিলেন।
বিশদ

30th  May, 2020
বাংলার দুর্ভাগ্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এত বড় একটা সাইক্লোনে একটি রাজ্যের বৃহৎ অংশ একপ্রকার বিধ্বস্ত হয়ে গেল, অথচ গোটা দেশের কোনও দোলাচল নেই? প্রথমদিন ট্যুইটারে সমবেদনা জানিয়েই সকলে যে যার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল? কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে রাজ্যটাকে পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনও দৃপ্ত সহায়তা প্রতিজ্ঞাও তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশদ

29th  May, 2020
ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে।
বিশদ

28th  May, 2020
‘আত্মসম্মান’ খ্যাত এক ভাঁড়ের রসিকতা
সন্দীপন বিশ্বাস 

অন্য দেশের রাজাদের মতো হবুরও আছে বিদূষক। অনেক বিদূষক তাঁর। তাঁদের তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। তাঁরা সেই সব রাজ্যের প্রপালক। তাঁদের কাজ হল মহারাজ হবুর মুৎসুদ্দি করা। আর নানা ধরনের মন্তব্য করে অঙ্গরাজ্যের জনগণকে আনন্দ বিতরণ করা।  বিশদ

27th  May, 2020
মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না।   বিশদ

26th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
একনজরে
মৃণালকান্তি দাস, কলকাতা: চার্লস মিলারের গল্পটা জানেন তো? স্কটল্যান্ডে পড়াশোনা শেষে চার্লস ব্রাজিলে ফিরেছিলেনএকটি ফুটবল হাতে নিয়ে। সবাই জানতে চেয়েছিল, ‘ওই গোল জিনিসটা কী?’ উত্তর ...

 সুখেন্দু পাল, বহরমপুর: সালাউদ্দিন পর্দার আড়ালে যেতেই রাজ্যে জেএমবির সংগঠন বিস্তারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল আব্দুল করিম। সামশেরগঞ্জে বসে সে বাংলাদেশেও জেএমবির সংগঠন মনিটরিং ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়-১ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকে বোমাবাজির জেরে জখম হয়েছেন কয়েকজন। আহতরা সকলে যুব শিবিরের অনুগত। প্রতিবাদে যুব গোষ্ঠী রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে। ...

জুরিখ, ৩১ মে: করোনা ভাইরাসের ওষুধ, ভ্যাকসিন ও পরীক্ষা করার কিট পাওয়া নিয়ে যাতে বৈষম্য তৈরি না হয়, তার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে একযোগে আর্জি জানাল ৩৭টি দেশ। মারণ এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে চলে এলে তার পেটেন্ট নিয়ে লড়াই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস
১৮৭৪ - ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয়।
১৯২৬- আমেরিকার মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা মেরিলিন মনরোর জন্ম
১৯২৯- অভিনেত্রী নার্গিসের জন্ম
১৯৩৪ - কবি, নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৪- সঙ্গীত পরিচালক ইসমাইল দরবারের জন্ম
১৯৬৮- মার্কিন লেখিকা ও সমাজকর্মী হেলেন কেলারের মৃত্যু
১৯৭০- অভিনেতা আর মাধবনের জন্ম
১৯৮৫ - ভারতীয় ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের জন্ম।
১৯৯৬-ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির মৃত্যু
২০০১- নেপাল রাজপরিবারে হত্যাকাণ্ড। যুবরাজ দীপেন্দ্র গুলি করে হত্যা করে বাবা, মা, নেপালের রাজা বীরেন্দ্র এবং রানি ঐশ্বর্যসহ পরিবারের একাধিক সদস্যকে।
২০০২ - দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের মৃত্যু,
২০০৯- রিও ডি জেনেইরো থেকে প্যারিস আসার পথে অতলান্তিক মহাসাগরে ভেঙে পড়ল এয়ার ফ্রান্সের এয়ারবাস এ ৪৪৭। মৃত ২২৮ আরোহী।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৭৯ টাকা ৭৬.৫১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৭৩ টাকা ৯৫.০৩ টাকা
ইউরো ৮২.৪৬ টাকা ৮৫.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
31st  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ১ জুন ২০২০, সোমবার, দশমী ২৫/৫ দিবা ২/৫৮। হস্তা নক্ষত্র ৫০/১৮ রাত্রি ১/৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৬, সূর্যাস্ত ৬/১২/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৩ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ১ জুন ২০২০, সোমবার, দশমী দিবা ১২/১৪। হস্তানক্ষত্র রাত্রি ১১/১। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০ গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।
৮ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিদ্যার্থীদের সময় নষ্ট না করা উচিত। বৃষ: কোন ব্যক্তিকে অতিরিক্ত ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস১৮৭৪ - ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয়।১৯২৬- আমেরিকার ...বিশদ

07:03:20 PM

উত্তর প্রদেশে করোনা আক্রান্ত আরও ২৯৬, মৃত ৫ 
উত্তর প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২৯৬ জন। ...বিশদ

09:21:40 PM

মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত আরও ১৪১৩, মৃত ৪০ 
মুম্বইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৪১৩ জন। মৃত ...বিশদ

09:12:55 PM

গুজরাটে করোনা আক্রান্ত আরও ৪২৩, মৃত ২৫ 
গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২৩ জন করোনা আক্রান্ত ...বিশদ

08:55:01 PM

বন্ধ কামাক্ষ্যা মন্দির, হচ্ছে না অম্বুবাচী মেলাও 
আগামী ৩০ জুন অবধি বন্ধ থাকছে কামাক্ষ্যা মন্দির। এজন্য এবছর ...বিশদ

08:46:05 PM