কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
উত্তরবঙ্গের সীমান্ত জেলা কোচবিহার গ্রিন জোন হিসাবেই পরিচিত। ভিন রাজ্য থেকে চিকিৎসা করে আসা দু’জন বাংলাদেশি ছাড়া এতদিন পর্যন্ত স্থানীয় কোনও বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হননি। এদিন সংশ্লিষ্ট জেলায় একগুচ্ছ করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলায় বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একদিনেই আক্রান্তের নিরিখে সংশ্লিষ্ট জেলা অন্য অনেক জেলাকে টপকে গিয়েছে। যারফলে সংশ্লিষ্ট জেলাকে ‘রেড জোনে’ হিসাবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ২২ মে কোচবিহার থেকে ৩২ জনের সোয়াবের নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিআরডিএলে পাঠানো হয়। এদিন ওই নমুনাগুলি পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ মিলেছে। যারমধ্যে একজন মহিলা। বাকিরা পুরুষ। তাঁদের অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক।
ওএসডি বলেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই রিপোর্ট পেয়েছি। এব্যাপারে কোচবিহার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত ওই ৩২জনকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে।
এদিকে, শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাতজন। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, গত ২৪মে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন খড়িবাড়ির এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সোয়াব টেস্টে করোনা পজিটিভ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত এক মহিলার সরাসরি সংস্পর্শে এসে ছিলেন। ওই মহিলা ক্যান্সারের রোগী। কয়েক দিন আগে চিকিৎসার জন্য ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাকে নিয়ে মুম্বই গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এরবাইরে শুক্রবার সকাল থেকে বিকালের মধ্যে জেলায় আরও ছয় জন করোনা আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে। যাঁর মধ্যে দু’জন দার্জিলিং পাহাড়ের সোনাদা এবং দু’জন কার্শিয়াং পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন নকশালবাড়ির দোধিয়াজোত এবং একজন বাগডোগরার হো চি মিন নগরের বাসিন্দা।
ইতিমধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা বাসিন্দাদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুর্নমবালম বলেন, আক্রান্ত ওই রোগীদের অধিকাংশেরই ভ্রমণের ইতিহাস আছে। সকলকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্যদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, দু’মাসের মধ্যে দার্জিলিং জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২জন। এই প্রথম দার্জিলিং পাহাড়ে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এছাড়া, করোনার ছোবলে একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
এদিন জলপাইগুড়ি জেলাতেও আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলার সুলকাপাড়া চা বাগান এলাকায় তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা স্টেডিয়ামে তৈরি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ওই চা বাগানে একজন করোনা আক্রান্ত হন। এরপর সেখানকার অন্যান্য বাসিন্দাদের সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজনের করোনা পজেটিভ হয়েছে।
ওএসডি বলেন, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভিআরডিএলে ২২০০ সোয়াব টেস্ট হয়েছে। যারমধ্যে মাত্র ৪২টি পজিটিভ কেস মিলেছে। কাজেই, বিষয়টি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।