কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
উত্তরবঙ্গে করোনায় মোকাবিলায় নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্ত কুমার রায় বলেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নমুনা পরীক্ষার চাপ বাড়ছে। তবে এই বিষয়টি জানা নেই। আলিপুরদুয়ারের ওই পাঁচ জনের সোয়াব টেস্টের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদারিহাট ব্লকের বাসিন্দা ওই পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক সম্প্রতি ভিনরাজ্য থেকে গ্রামে ফিরেছেন। গ্রামে ফেরার পরেই পাঁচ জনকে মাদারিহাটের একটি সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকেই তাঁদের লালারস পাঠানো হয় ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য।
ওই হাসপাতালের ট্রুন্যাট মেশিনের পরীক্ষায় পাঁচ জনেরই রিপোর্ট পজিটিভ সন্দেহ হওয়া তাঁদের তড়িঘড়ি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে তপসিখাতার সারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাদের পাঁচ জনেরই ফের সোয়াব নিয়ে গত বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু শনিবার বিকাল পর্যন্ত সেই রিপোর্ট না আসায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর বেজায় ক্ষুব্ধ।
আলিপুরদুয়ার থেকে ইতিমধ্যেই ন’জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এরমধ্যে দু’জন কুমারগ্রামের, দু’জন কোচবিহারের বক্সিরহাটের ও চার জন ফালাকাটা ব্লকের বাসিন্দা। বাকি একজন কলকাতার ট্রাক চালক। যিনি সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের রিজার্ভ স্টোরে স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে কলকাতায় ফিরে যান। কলকাতার ওই ট্রাক চালকের লালারস আলিপুরদুয়ার থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল।
গত শুক্রবার থেকে ফালাকাটার তিনটি পঞ্চায়েতের চারটি বুথকে কন্টেইনমেন্ট জোন ও সংশ্লিষ্ট তিনটি পঞ্চায়েতকে বাফার জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এবার মাদারিহাটের পাঁচ জনের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট সন্দেহজনক হওয়ায় জেলায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।