Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার দুর্ভাগ্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এত বড় একটা সাইক্লোনে একটি রাজ্যের বৃহৎ অংশ একপ্রকার বিধ্বস্ত হয়ে গেল, অথচ গোটা দেশের কোনও দোলাচল নেই? প্রথমদিন ট্যুইটারে সমবেদনা জানিয়েই সকলে যে যার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল? কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে রাজ্যটাকে পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনও দৃপ্ত সহায়তা প্রতিজ্ঞাও তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এই নির্লিপ্তি কেন? এরকম নানা প্রশ্ন বাতাসে ঘুরছে। পশ্চিমবঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্মিত এবং আহত মনোভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। অথচ সত্যি কথা হল, এই যে দেশের এরকম মনোভাবে একটি বৃহৎ অংশের বাঙালি ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত হওয়াটাই বরং বেশি বিস্ময়কর! যেন এরকম ঘটনা নজিরবিহীন। যেন ভারতের এই নির্লিপ্ত মনোভাব প্রত্যাশাই করা যায়নি। এই বিস্ময়ের কারণ হল, ইতিহাসবিস্মৃতি। যা এখন বাঙালি জীবনের লেটেস্ট ট্রেন্ড। বাঙালির জীবনে আধুনিক ভারতে যত সর্বনাশ হয়েছে, সেটা এই দেশের আর কোনও জাতির ভাগ্যে ঘটেনি। এবং প্রতিটি সর্বনাশেই দেশ ছিল উদাসীন। একটা উম-পুন নামক সাইক্লোন আসবে এবং তৎক্ষণাৎ গোটা দেশ পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানোর শপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এই প্রত্যাশা তাই অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। বরাবরই বাংলা যখন একটু আর্থিক, সামাজিক, প্রশাসনিক সুস্থিতির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে, তখনই একটি করে চরম দুর্ভাগ্য আছড়ে পড়েছে এই জাতির উপর। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার মতো অভিঘাত তৈরি করেছে। এরকম ধারাবাহিক দুর্ভাগ্যযাপন ভারতের একটিও রাজ্য ভোগ করেনি।
সবথেকে বড় দুর্ভাগ্য হল, বাঙালি নিজেই সেই দুর্দশাকে মনে রেখে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, এরকম দেখা যায়নি। বরং প্রতিটি সর্বনাশের পরই বাংলার অভ্যন্তর থেকেই সবথেকে বেশি প্রতিবন্ধকতা ও অন্তর্ঘাত এসেছে। যে ট্র্যাডিশন এখনও চলছে। আর বহিরাগত শাসক বরাবরই এই সুযোগটা নিয়ে বাঙালিকে নানারকমভাবে বিভাজিত করার ইন্ধন দিয়েছে। কখনও সম্প্রদায়গতভাবে, কখনও রাজনৈতিক। সেই ফাঁদে বাঙালির একটি অংশ পা দিয়েছে বরাবর। বাংলার সর্বনাশে দেশ উদাসীন, এই প্রবণতা মোটেই নতুন নয়। মন্বন্তর, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, দেশভাগ। ১৭৭০ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সময়সীমায় প্রধানত এই চারটি মহাসঙ্কট বাঙালি জাতিকে বারংবার অগ্রসর হওয়া থেকে পিছিয়ে দিয়েছে। বিদেশি শাসক, রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষীরা তো বটেই, প্রকৃতিও ভারতের এই পূর্ব প্রান্তের প্রতি বহুবার নির্দয় আচরণ করেছে।
১৭৬৮ সালে শেষবার সামান্য হলেও একটু বৃষ্টি হয়েছিল। ১৭৬৯ সালে প্রায় হলই না। অক্টোবর মাসেই মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাউন্সিল অফিসে খবর আসতে শুরু করল, মানুষ নাকি না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। ধানের চাষ হয়নি। চরম খরা। নভেম্বর মাসে চাষিরা জানিয়ে দিল, তুঁতে আর তুলোচাষও করা যাবে না। জল নেই। যা সাধারণত ধানের পর করা হয়। ডিসেম্বর মাসে মুর্শিদাবাদের প্রশাসক রেজা আলি খান কলকাতায় কোম্পানি অফিসে চিঠি পাঠিয়ে বললেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, মানুষ চাল কেনার জন্য সন্তান বিক্রি করতে শুরু করেছে। সবথেকে বেশি অনাহারে মারা যাচ্ছে ভূমিহীন মজুর, মাঝি, ক্ষুদ্রশিল্পীরা। কেউ কিছু করেনি। ১৭৭০ সাল। ফেব্রুয়ারি মাসে চালের দাম ১০ গুণ বৃদ্ধি পেল। তখন আর মন্বন্তর আটকে নেই মুর্শিদাবাদে। কলকাতার রাস্তায় আছড়ে পড়ছে মানুষ। হেঁটে হেঁটে চলে আসছে গ্রামগঞ্জ থেকে ক্ষুধার্ত। জুলাই থেকে নভেম্বর, এই চার মাসে শুধু কলকাতার রাস্তায় কতজন মারা গেল অনাহারে? ৭৬ হাজার! কোম্পানি থেকে বলা হয়েছিল যারা রাস্তা থেকে মৃতদেহ সরিয়ে গঙ্গায় ফেলবে, তারা চাল পাবে। মৃতদেহ সরানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয় নিম্নবর্গের বাঙালির মধ্যে। শুধু মন্বন্তর? বাংলার ভাগ্যকে ধ্বংস করতে তার আগেই হাজির হয়েছিল স্মল পক্স। শুধু মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে এসেছিল ৬৩ হাজার মৃত্যুর খবর। স্বয়ং ছোট নবাব সঈফ-উদ-দৌল্লার মৃত্যু হয় স্মল পক্সে। অচিরেই ১২ লক্ষ মানুষের মূত্যু হয়েছিল মন্বন্তরে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেব শস্যের ভাণ্ডার খুলে দিলেও কোম্পানি এই সময়টায় কী করেছিল? খাজনা আদায় বাড়াতে সেপাইয়ের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। ডিফেন্স বাজেট ২ কোটি পাউন্ড থেকে বাড়ানো হয় ৪৪ শতাংশ। যারা খাজনা দিতে পারেনি অথবা বাধা দিয়েছে, তাদের গাছে গাছে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলশ্রুতি কী? ১৭৭০-৭১ সালে কোম্পানি তাদের লন্ডন হেড কোয়ার্টারে ১০ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৫৫ পাউন্ড ট্যাক্স সংগ্রহ ট্রান্সফার করেছিল। সমস্ত চাল বাজেয়াপ্ত করে বিপুল অর্থ মুনাফা হয়ে গেল ছ’মাসে। যা ছিল রেকর্ড। বাঙালির মৃত্যুও হয়েছিল রেকর্ড। বাংলার মানবসম্পদের বিপুল অংশ ধ্বংস হয়ে গেল অনাহারে।
১৯৪২ সালের ৭ মার্চ, রেঙ্গুন প্রায় জনশূন্য। কারণ জাপানের আক্রমণ। বার্মার চাল বাংলায় নিয়ম করে এসেছে। কিন্তু সেইদিন থেকে বার্মার ওই বিপুল চালের স্টোরেজ ভারতের জন্য বন্ধ হল। ওদিকে সমুদ্র আর স্থলপথে দলে দলে মানুষ ও ব্রিটিশ সেনা বার্মা থেকে পালিয়ে ভারতে ফিরছে। এদের সিংহভাগ কোথায় এসে থাকছে? কিছু অসম, বেশিটাই বাংলায়। প্রথম ছ’মাসে বাংলা নিজের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে প্রতিদিন অতিরিক্ত এই ৫ লক্ষ মানুষ ও সেনাকে খাইয়েছে। বাংলার ভাণ্ডারে থাকা অতিরিক্ত কত টন শস্য এভাবে খরচ হয়েছে? দেড় লক্ষ টন! বাকি ভারতের গায়ে কিন্তু আঁচ পড়ছে না। বরং উলটে ভারত থেকে বিদেশে ১৯৪২ সালে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার টন চাল রপ্তানি করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। পাশাপাশি জাপানকে আটকাতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? ডিনায়াল পলিসি। বাংলার জেলায় জেলায় জোর করে ধান-চাল কিনে নিতে শুরু করল সরকার। না দিতে চাইলে ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি। প্রাথমিক ধাক্কা খুলনা, মেদিনীপুর আর বরিশালে। শুধু এই তিন জেলা থেকেই ৩০ হাজার টন চাল নিয়ে নেওয়া হল। আর ৫ হাজার টন পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলার বাইরে। আর এক ধ্বংসাত্মক নীতি। নৌকা অপসারণ। জাপানিরা যাতে নৌকা না পায়, অগ্রসর হতে না পারে, তাই হাজার হাজার নৌকা সাধারণ মানুষের থেকে কেড়ে নেওয়া হল এবং ধ্বংস করা হল। পাঁচ মাসে অন্তত ৪৬ হাজার নৌকা ধ্বংস হল। নৌকা মানে কি? নৌকা মানে নদীমাতৃক বাংলায় চাষ করতে যাওয়া, বীজ আনা-নেওয়া, লেবারদের আসা যাওয়া, মাছ ধরা। অর্থাৎ জীবনযাপনের প্রাথমিক ভিতটাই ধ্বংস। চাষিরা নিজেদের খাবার চাল না রেখেই সরকারকে ভয়ে ভয়ে সব চাল দিয়ে দিতে বাধ্য হল। এসব চাল কোথায় গেল? ২৫ মার্চ ১৯৪৩ সালে বাংলার বিধানসভায় রাজস্বমন্ত্রী প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, সরকারের কোনও ধারণাই নেই যে, কীভাবে এজেন্টদের মাধ্যমে গভর্নর চুক্তি করেছিলেন। এমনকী বাংলা থেকে চাল বাইরে রপ্তানি করে দেওয়া হয়েছে এটাও প্রদেশ সরকারের অগোচরে হয়েছে। গভর্নরের নাম ছিল জন আর্থার হার্বার্ট। ব্রিটিশ সরকারের দিল্লির ভাইসরয় অথবা ভারতের সব প্রদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দেশ উত্তাল করে দিতে দেখা যায়নি। যদিও জাতীয় কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতা তখন জেলবন্দি। কিন্তু অন্য কোনও প্রদেশ থেকে কংগ্রেস অথবা কংগ্রেস বিরোধী কোনও দলের নেতানেত্রীকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়নি বাঙালির দুঃসময়ে। ১৯৪৩ সালের সেই দুর্ভিক্ষে ভাতের জন্য কী দেখা গিয়েছিল? চলন্ত ট্রেনের সামনে সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলেছে বাবা। স্বামীরা স্ত্রীকে, বাবারা মেয়েকে ঠেলে দিয়েছে শরীর বিক্রি করে চাল আনার জন্য। বগুড়া, জলপাইগুড়িতে দেখা গিয়েছে, গাছের পাতা খেয়ে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ। এবং কলকাতার রাস্তায় যখন গড়ে ১২০ জন করে মারা যাচ্ছে অনাহারে, তখন অশোককুমারের ‘কিসমৎ’ হাউসফুল ‘রক্সি’ সিনেমা হলে। কিসমতের ১৯৪৩ সালের বক্স অফিস কালেকশন ছিল ১ কোটি ২৩ হাজার টাকা। ৩০ লক্ষ বাঙালির মৃত্যু হয়েছিল ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে। মুনাফা করেছিল মজুতদার আর ব্যবসায়ীরা। ভারত ছিল উদাসীন।
মাত্র তিন বছরের মধ্যে ১৯৪৬ সালে কলকাতা আর বাংলায় ছড়িয়ে পড়ল দাঙ্গা। বাংলা একপ্রকার শ্মশান হয়ে যাচ্ছে। নোয়াখালি থেকে কলকাতা। থামেনি সেই দাঙ্গা। ১৯৫০ সালে আবার। লাগাতার। কিন্তু বাকি প্রদেশগুলির হস্তক্ষেপ কোথায়? কেন্দ্রীয় সরকার কতটা মরিয়া হয়ে ঠেকাচ্ছে? আর কারাই বা বাংলার সর্বনাশ ঠেকানোর চেষ্টা না করে শুধু আরও বেশি করে দাঙ্গায় প্ররোচনা দিয়ে চলেছে ওই সময়টায়? এসবই ইন্ধন এসেছে বাংলার বাইরে থেকে। বাকি সব রাজ্য তখন নতুন স্বাধীনতায় কেন্দ্র থেকে বেশি আর্থিক প্যাকেজ জোগাড় করে রাজ্যটাকে সাজিয়ে নিতে আগ্রহী। আর বাংলা ডুবছে অন্ধকারে।
১৯৫০ সালের পর শিয়ালদহ, এসপ্ল্যানেড, ডালহৌসি স্কোয়ারের রাস্তায় রাস্তায় দেখা গেল দু’-চারজন করে যুবতী হাতে বাক্স নিয়ে চাঁদা তুলছেন। উদ্বাস্তু সম্মিলিত বিদ্যালয়ের জন্য। তাদের দেখে কেউ এগিয়ে এসে পয়সা দিয়েছে। কেউ কেউ ব্যঙ্গ করে বলেছে, সবটাই ধাপ্পা। এই যুবতীরা কেউ ছিল ময়মনসিংহে স্কুলশিক্ষকের মেয়ে, কারও বাবা ছিলেন পাবনার উকিল। এরকম ভিক্ষাবৃত্তির অভ্যাস নেই। তবু এই অপমান সহ্য করে তারা কলোনির স্কুলের বইখাতা কেনা কিংবা স্ট্রাকচার করার জন্য টাকা তুলেছেন চোখের জল লুকিয়ে। দাঁতে দাঁত চেপে। বিধানচন্দ্র রায় এরপরই উদ্যোগী হন উদ্বাস্তুদের স্কুলের জন্য। ১৯৪৯ সালে উদ্বাস্তুদের স্কুলের সংখ্যা ছিল ৩৪০। সেটাই ১৯৬০ সালে বেড়ে হয় ১৪০০। কোথায় তখন কেন্দ্রীয় সরকার? কোথায় বাকি ভারত?
১৯৫০ সালের অক্টোবর মাসে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৩২ লক্ষ উদ্বাস্তু এসেছে। সেই বছরের ১৯ মার্চ সংসদ সদস্যা রেণুকা রায় সংসদে বললেন, পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি ছোট্ট রাজ্যে এত উদ্বাস্তু এসেছে। আমাদের একার পক্ষে কি এই বিপুল চাপ সহ্য করা সম্ভব? ভারতের অন্য রাজ্য কেন ভাগ করে নেবে না? জওহরলাল নেহরু ও বল্লভভাই প্যাটেল তার আগেই অবশ্য বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে উদ্বাস্তুদের ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কটা রাজ্য নিয়েছে উদ্বাস্তুদের ভার? পাঞ্জাব থেকে দিল্লিতে আসা উদ্বাস্তুদের আজকের আর্থিক স্ট্যাটাস আর বাংলার উদ্বাস্তুদের স্ট্যাটাসে এখনও বিরাট ফারাক। সব চাপ নিতে হয়েছে একা বাংলাকে। শুধু ব্যতিক্রম হিসেবে দণ্ডকারণ্য এবং আন্দামান রয়েছে। অর্থাৎ এই দুই জনমানবশূন্য স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল উদ্বাস্তুদের। দেশ ছিল উদাসীন।
আজ সাইক্লোন আসার পর গোটা দেশ অথবা কেন্দ্রীয় সরকার তাই ইতিহাসগতভাবেই নির্লিপ্ত। গোটা রাজ্যের বহু অংশ ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে। ৬ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকার কত টাকা সাহায্য করল? ১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ক্ষতিপূরণ হিসেবপত্র করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কেন শুরুতে আরও বেশি দেওয়া গেল না? ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় ১৯৪৯ সালে জওহরলাল নেহরুকে একটি চিঠি লেখেন অত্যন্ত ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে। চিঠিতে বলেছিলেন, আপনি যে টাকা বাংলায় আসা ১৬ লক্ষ উদ্বাস্তুর জন্য বরাদ্দ করেছেন, সেটা পাঞ্জাবের উদ্বাস্তু তহবিলের তুলনায় অনেক কম। মাথাপিছু ২০ টাকা হয়! ৭৩ বছর পর উম-পুন নামক একটি সাইক্লোনে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে যে আর্থিক সাহায্য প্রাথমিকভাবে দিয়েছে, সেটা ৬ কোটি ক্ষতিগ্রস্তর জন্য বরাদ্দ ধরা হলে, মাথাপিছু পড়ে ১৬৬ টাকার মতো। অথচ অন্তহীন মানুষ আজ অর্থ, খাদ্য, বাসস্থানে নিঃস্ব।
সুতরাং, মন্বন্তর, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, দেশভাগ কিংবা উম-পুন...। বাংলার সর্বনাশে দেশ চিরকালই উদাসীন।
29th  May, 2020
সতর্ক প্রহরী
পি চিদম্বরম

ব্যারিস্টার ভি জি রো মাদ্রাজ হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন। তিনি ছিলেন বাম-মনস্ক উদার। সমস্ত ধরনের বিজ্ঞানের ব্যবহারিক জ্ঞান, রাজনৈতিক শিক্ষা এবং শিল্প, সাহিত্য, নাটক প্রভৃতিকে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি পিপলস এডুকেশন সোসাইটি গড়েছিলেন।
বিশদ

একটু সময় দিন,
পাশে দাঁড়ান
হিমাংশু সিংহ

বামফ্রন্ট সরকার ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। ভেসে গিয়েছিল একের পর এক জেলা, দক্ষিণবঙ্গের বড় বড় শহর। কলকাতাও রেহাই পায়নি সেই বিপর্যয়ের হাত থেকে।
বিশদ

31st  May, 2020
বিশ্বাসযোগ্যতা ও বলিষ্ঠ
পদক্ষেপের এক বছর
রাজনাথ সিং

যে কোনও দেশের ইতিহাসে পাহাড়প্রমাণ পরিবর্তন দেখার সুযোগ খুব কমই আসে। ২০১৪ সালে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এরকমই একটি বিরাট পরিবর্তন এসেছিল। দেশের মানুষ দুর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিলেন।
বিশদ

30th  May, 2020
বন্দি যখন শিশুমন
তন্ময় মল্লিক

 ‘উফ, আর পারা যাচ্ছে না। কবে যে মুক্তি পাব?’ ‘কতদিন বাজার যাইনি। এইভাবে দমবন্ধ অবস্থায় থাকা যায়?’ ‘দিনরাত গাধার খাটুনি খাটছি। তার উপর তোদের জ্বালাতন। এবার ঠাস ঠাস করে চড়িয়ে দেব।’ লকডাউনের গৃহবন্দি জীবনে এমন সংলাপ আজ প্রায় ঘরে ঘরে।
বিশদ

30th  May, 2020
ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে।
বিশদ

28th  May, 2020
‘আত্মসম্মান’ খ্যাত এক ভাঁড়ের রসিকতা
সন্দীপন বিশ্বাস 

অন্য দেশের রাজাদের মতো হবুরও আছে বিদূষক। অনেক বিদূষক তাঁর। তাঁদের তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। তাঁরা সেই সব রাজ্যের প্রপালক। তাঁদের কাজ হল মহারাজ হবুর মুৎসুদ্দি করা। আর নানা ধরনের মন্তব্য করে অঙ্গরাজ্যের জনগণকে আনন্দ বিতরণ করা।  বিশদ

27th  May, 2020
মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না।   বিশদ

26th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
একনজরে
  নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়-১ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকে বোমাবাজির জেরে জখম হয়েছেন কয়েকজন। আহতরা সকলে যুব শিবিরের অনুগত। প্রতিবাদে যুব গোষ্ঠী রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে। ...

মৃণালকান্তি দাস, কলকাতা: চার্লস মিলারের গল্পটা জানেন তো? স্কটল্যান্ডে পড়াশোনা শেষে চার্লস ব্রাজিলে ফিরেছিলেনএকটি ফুটবল হাতে নিয়ে। সবাই জানতে চেয়েছিল, ‘ওই গোল জিনিসটা কী?’ উত্তর ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুর পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড দায়িত্ব নিয়েই শহরের জল প্রকল্প ও নিকাশি নালার কাজের উপর জোর দিল। গত ২০ মে পুরসভায় তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর রাজ্যের নির্দেশে পাঁচ জনের প্রশাসক বোর্ড ২৩ মে দায়িত্ব নিয়েছে।  ...

 সুখেন্দু পাল, বহরমপুর: সালাউদ্দিন পর্দার আড়ালে যেতেই রাজ্যে জেএমবির সংগঠন বিস্তারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল আব্দুল করিম। সামশেরগঞ্জে বসে সে বাংলাদেশেও জেএমবির সংগঠন মনিটরিং ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস
১৮৭৪ - ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয়।
১৯২৬- আমেরিকার মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা মেরিলিন মনরোর জন্ম
১৯২৯- অভিনেত্রী নার্গিসের জন্ম
১৯৩৪ - কবি, নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৪- সঙ্গীত পরিচালক ইসমাইল দরবারের জন্ম
১৯৬৮- মার্কিন লেখিকা ও সমাজকর্মী হেলেন কেলারের মৃত্যু
১৯৭০- অভিনেতা আর মাধবনের জন্ম
১৯৮৫ - ভারতীয় ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের জন্ম।
১৯৯৬-ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির মৃত্যু
২০০১- নেপাল রাজপরিবারে হত্যাকাণ্ড। যুবরাজ দীপেন্দ্র গুলি করে হত্যা করে বাবা, মা, নেপালের রাজা বীরেন্দ্র এবং রানি ঐশ্বর্যসহ পরিবারের একাধিক সদস্যকে।
২০০২ - দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের মৃত্যু,
২০০৯- রিও ডি জেনেইরো থেকে প্যারিস আসার পথে অতলান্তিক মহাসাগরে ভেঙে পড়ল এয়ার ফ্রান্সের এয়ারবাস এ ৪৪৭। মৃত ২২৮ আরোহী।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৭৯ টাকা ৭৬.৫১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৭৩ টাকা ৯৫.০৩ টাকা
ইউরো ৮২.৪৬ টাকা ৮৫.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
31st  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ১ জুন ২০২০, সোমবার, দশমী ২৫/৫ দিবা ২/৫৮। হস্তা নক্ষত্র ৫০/১৮ রাত্রি ১/৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৬, সূর্যাস্ত ৬/১২/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৩ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ১ জুন ২০২০, সোমবার, দশমী দিবা ১২/১৪। হস্তানক্ষত্র রাত্রি ১১/১। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০ গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।
৮ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিদ্যার্থীদের সময় নষ্ট না করা উচিত। বৃষ: কোন ব্যক্তিকে অতিরিক্ত ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস১৮৭৪ - ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয়।১৯২৬- আমেরিকার ...বিশদ

07:03:20 PM

উত্তর প্রদেশে করোনা আক্রান্ত আরও ২৯৬, মৃত ৫ 
উত্তর প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২৯৬ জন। ...বিশদ

09:21:40 PM

মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত আরও ১৪১৩, মৃত ৪০ 
মুম্বইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৪১৩ জন। মৃত ...বিশদ

09:12:55 PM

গুজরাটে করোনা আক্রান্ত আরও ৪২৩, মৃত ২৫ 
গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২৩ জন করোনা আক্রান্ত ...বিশদ

08:55:01 PM

বন্ধ কামাক্ষ্যা মন্দির, হচ্ছে না অম্বুবাচী মেলাও 
আগামী ৩০ জুন অবধি বন্ধ থাকছে কামাক্ষ্যা মন্দির। এজন্য এবছর ...বিশদ

08:46:05 PM