ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
সূর্য সেন কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ প্রণবকুমার মিশ্র বলেন, আমরা একটি ই-পোর্টাল চালু করেছি। পড়ুয়ারা সেখানে সরাসরি লগইন করতে পারছে। সেখানে যাবতীয় স্টাডি মেটেরিয়াল সহ পাঠ সহায়ক নানা উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষকরা অ্যাপের মাধ্যমে ক্লাসও নিচ্ছেন। যেসমস্ত পড়ুয়া অনলাইন অ্যাপে ক্লাস করতে পারছে না তাদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রশ্ন পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা তার উত্তর দিচ্ছেন। একইসঙ্গে কারও কিছু বুঝতে অসুবিধে হলে ফোনেও যোগাযোগ করছে।
ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বিকাশ দেব বলেন, করোনার জেরে পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের বইমুখী করে রাখতে আমরা ই-লার্নিং চালু রেখেছি। পড়ুয়ারা অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করতে পারছে। এতে ঘরে বসেই পড়াশোনা করা সম্ভব হচ্ছে।
অন্যদিকে, শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ বলেন, ১৪ তারিখের পর লকডাউন না উঠলে আমাদেরও অনলাইন পঠনপাঠনে যেতে হবে। বিষয়টি আমাদের ভাবনার মধ্যে রয়েছে। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার বন্দোবস্ত করা যায় কি না তাও দেখছি।
করোনা পরিস্থিতির জেরে দেশজুড়ে লকডাউন রয়েছে। বন্ধ হয়ে আছে স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে স্নাতক স্তরের পরীক্ষাও। এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে পঠনপাঠন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন এডুকেশনের উপর জোর দিচ্ছে কলেজগুলি। কলেজের এই ভূমিকায় স্বভাবতই খুশি পড়ুয়ারা। ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে ক্লাস করার সুবিধা মেলায় পঠনপাঠন কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলও। এই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলগুলিকে বাসের ফিস না নেওয়া ও ভর্তির সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বেসরকারি স্কুলগুলিকে মানবিক হতে চিঠি দিয়েছি। আবেদন করা হয়েছে, গাড়ি ভাড়া বাবদ অর্থ না নেওয়ার। একইসঙ্গে স্কুলে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে।