ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে ওই দুটি নার্সিংহোমকে বাছাই করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নার্সিংহোম দু’টিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে সেখান থেকেই এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হবে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জেলা প্রশাসনের তরফে নার্সিংহোমের পরিকাঠামো বর্ধিতকরণের কাজ করা হবে। করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ওষুধপত্র সরকার দেবে। জেলা থেকে আমরা শুধুমাত্র চিকিৎসক এবং নার্সের ব্যবস্থা করব। বেড সংখ্যা এবং রোগীর উপর চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা নির্ভর করছে। পুরাতন মালদহের নার্সিংহোমটিতে দেড়শোর কাছাকাছি বেড রাখার মতো জায়গা রয়েছে। তবে চাঁচলের নার্সিংহোমে একশোর কম বেড থাকবে। বেড পিছু চিকিৎসক না থাকলেও অন্তত একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্স রাখার চেষ্টা চলেছে।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরেই একটি আলাদা ভবনে ওই হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হবে। সেই অনুযায়ী ওই ভবনটিকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অন্যান্য ভবন থেকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে পৃথক করোনা হাসপাতালের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্তে সহমত হননি। তাই আলাদাভাবে করোনা হাসপাতাল গড়ার অন্য বিকল্প খুঁজে দেখার কাজ শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, চাঁচলের ওই নার্সিংহোমের সামনেই রবিবার বিকেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এলকায় গুজব ছড়িয়েছিল যে, ওই নার্সিংহোমে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে তোলা হবে। বেশকিছু গ্রামবাসী জমায়েত হন ওই নার্সিংহোমের সামনে। সেখানে একটি টায়ার জ্বালিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করেন তাঁরা। যদিও নার্সিংহোমে ভাঙচুরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, নার্সিংহোমে কোনও ভাঙচুর হয়নি। নার্সিংহোমের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল।