ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
কোচবিহারের বস্ত্র ব্যবসায়ী উত্তম বর্মন, চন্দন সাহা, সুকুমার মোদক কিংবা শিলিগুড়ির সঞ্জয় জাজোদিয়া, আয়ূশ বনসল বলেন, আমরা ছোট কাপড়ের দোকান করে সংসার চালাই। স্টকে থাকা জামাকাপড় এ সময়ে ৩০-৫০ শতাংশ কম দামে বিক্রি করি। পরে সেই বিক্রির টাকা দিয়ে নতুন করে জামাকাপড় কিনে দোকানে তুলি। কিন্তু লকডাউনের ফলে দোকান খুলতে না পাড়ায় সমস্যায় পড়ছি।
কাপড়ের দোকানের কর্মী সঞ্জিত সরকার, জিয়ারুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের জেরে দোকান বন্ধ। চৈত্র সেল ও নববর্ষের ব্যবসা হয়নি। দোকানের মালিকদের লোকসান হচ্ছে। এভাবে চললে আমাদের কাজ থাকবে কি না জানি না। কাজ না থাকলে কী করে সংসার চলবে বুঝতে পারছি না।
কোচবিহার জেলা বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক পবন বুচ্চা বলেন, লকডাউনের জেরে চৈত্র সেল ও নববর্ষের ব্যবসা না হওয়ায় জেলায় বস্ত্র ব্যবসায় ৫০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হবে।
বাংলা বছরের শেষে চৈত্র মাসে কাপড়ের দোকানগুলি পুরনো স্টক খালি করার জন্য ২০-৫০ শতাংশ ছাড় দেয়। কিন্তু করোনার থাবায় চৈত্র সেল ও পয়লা বৈশাখের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দোকানিদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছেন দোকানের কর্মীরাও। এমন অবস্থায় তাঁরাও কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন। কোচবিহার জেলা বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় দেড় হাজারের বেশি বস্ত্র প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে কোচবিহার শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকায় ৩৫০-র বেশি জামাকাপড়ের দোকান আছে। শিলিগুড়ির মহাবীরস্থান, কালীবাড়ি রোড, বিধান মার্কেট, হকার্স কর্নার, শেঠ শ্রীলাল মার্কেটে প্রচুর কাপড়ের দোকান আছে। যারা মূলত চৈত্র সেল করে। লকডাউনের ফলে তাদের কেউই দোকান খুলতে পারছে না। পরিস্থিতি পরিবর্তন না হলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন রয়েছে। তাই ব্যবসা যে এবার লাটে উঠল তা মানছেন ব্যবসায়ীরা সকলেই। শিলিগুড়ির মহাবীরস্থানের একটি বস্ত্র বিপণীতে প্রতিটি কেনাকাটাতেই থাকে ছাড়। নির্দিষ্ট অঙ্কের কেনাকাটায় উপহার সহ লাকি গিফ্ট কুপন দেওয়া হয়। সেখানকার একটি বস্ত্র ব্যবসায়ী চার চাকার ছোট গাড়ি, মোটর বাইক, ওয়াশিং মেশিন, কুলার সহ বিভিন্ন পুরস্কার দোকানে এ সময়ে সাজিয়ে রাখেন। অন্যান্য কয়েকটি দোকানও ক্রেতা টানতে উপহার রাখে। কিন্তু এবার দোকানপাট বন্ধ থাকায় বেচাকেনা নেই, মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের।