ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
এদিকে শুধুমাত্র ছয়জনকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া নিয়ে সংশোধনাগারের অন্য সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বন্দিদের একাংশের ক্ষোভ সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষদের। আগামীতে আরও এমন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। কোনওভাবে সংশোধনাগারের ভিতরে যাতে করোনার সংক্রমণ না ছড়াতে পারে, সেদিকে নজর দিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছে।
বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারের আধিকারিক অশোক চক্রবর্তী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছয়জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী তিনমাস বাড়িতেই থাকবে। এছাড়াও করোনার সংক্রমণ যাতে না হয়, সেজন্য জেলের ভিতরে আমরা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
জানা গিয়েছে, সাত বছরের কম সাজাপ্রাপ্তদের তিন মাসের প্যারোলে বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। কাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে তা ঠিক করতে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটির সদস্যরা বন্দিদের রেকর্ড দেখে তাদের চিহ্নিত করছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পারিবারিক বিবাদের জেরে সাজাপ্রাপ্তদেরই প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এদিন মালদহের ইংলিশবাজার ও হরিশ্চন্দ্রপুর, রায়গঞ্জ, হরিরামপুর ও, ইটাহারের মোট ছয়জনকে প্যারোলে পাঠানো হয়েছে। এদিন সকালে বালুরঘাট থানার পুলিস কড়া নিরাপত্তা দিয়ে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়। জানা গিয়েছে, সংশোধনাগারে ৫৫০ জন আবাসিকের মধ্যে ১৫০ জন সাজাপ্রাপ্ত রয়েছে। এদিন ছয়জনকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার পরে বাকিদের অনেকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জেলা সূত্রে খবর, খুন, ধর্ষণ, মাদক পাচারের মতো ঘটনার অপরাধে বন্দিদের প্যারোল দেওয়া হচ্ছে না। এদিনের প্যারোলে পাঠানো ছয়জন পারিবারিক বিবাদের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ছিল।