ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বেলা থাকতে থাকতে বাড়ি থেকে পাশের গ্রামে যাবেন বলে বের হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তারপরে আর বাড়ি ফেরেননি। বাড়ির লোকেরা লকডাউনের মধ্যেও খোঁজাখুজি করেন। পরে এদিন ভোর রাতে গ্রামের রাস্তায় তাঁর থেঁতলানো মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। পরে পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরিবারের অভিযোগ, ওই প্রৌঢ়কে কেউ ভারী বস্তু দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করেছে। এনিয়ে থানায় খুনের অভিযোগ জানাবেন বলে মৃতের বড় ছেলে জানিয়েছেন।
এলাকাবাসীদের অনুমান, কোনও সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে ওই কাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। আবার এলাকাবাসীর দাবি, ওই ব্যক্তি ঝাঁড়ফুক করতেন। সেই কারনেও তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও দু’টি কারণই মৃতের পরিবার অস্বীকার করেছে। মৃতের বড় ছেলে নিরঞ্জন মুন্ডা বলেন, মহিলাঘটিত বা ঝাঁড়ফুক সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বাবা জড়িত ছিল না। কৃষিকাজ করত। স্বাভাবিক জীবন যাপন করত। কি কারণে তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হল, সেটা আমরা ভাবতেই পারছি না। বিষয়টি পুলিসকে বলা হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানাচ্ছি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিনয় মুর্মু বলেন, সাতসকালেই খুনের কথা শুনেছি। তবে কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাল সে বিষয়ে আমরা এখনও কিছু জানতে পারিনি। মালদহ থানার পুলিস জানিয়েছে, একটি থেঁতলানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, কোনও দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। আমরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলচাঁদ মুন্ডা পেশায় কৃষক ছিলেন। বছর খানেক আগে তাঁর স্ত্রী মারা যান। দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতেই থাকতেন। এলাকাবাসীরা কেউ কেউ বলেন, ওই ব্যক্তি ঝাড়ফুঁক করতেন। শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালিয়াটোলায় চোলাইয়ের ঠেকে যান। সেখান থেকে ফেরার পথেই তিনি খুন হয়ে যান বলে তাঁর ছেলের অভিযোগ। গ্রামবাসীদের আর একটি অংশ আবার দাবি করেছে, ওই ব্যক্তি কোনও মহিলাঘটিত বিষয়ে জড়িত ছিলেন। সে কারণেও তিনি আক্রোশের শিকার হতে পারেন। সমস্ত সম্ভাবনাই পুলিস খতিয়ে দেখছে।