ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
অসীমবাবুর দাবি,লকডাউনকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তার ঠিক ভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছে তাঁর ওয়ার্ডে। সে কারণেই সরকারি নির্দেশ পালন করা ওই মানুষদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। এদিন স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে চকলেট , গোলাপ ফুল, মাস্ক পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ওই হোম কোয়ারেন্টাইনের পোস্টারটিও খুলে ফেলেন তিনি। অসীমবাবুর এই অভিনব উদ্যোগে যথারীতি খুশি পরিবারগুলি।
পুনে থেকে শহরে ফেরা এক পড়ুয়া দেবাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, আমি পড়াশোনার জন্য পুনে শহরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার সময় ট্রেন, বাস করে আমাকে ফিরতে হয়েছে। বিভিন্ন লোকের সংস্পর্শে আমি এসেছিলাম। তাই যেদিন আমি বাড়ি ফিরেছি তারপর থেকে নিজেকে পুরোপুরি ভাবে সবার থেকে আলাদা করে রেখেছিলাম। সরকারি নির্দেশিকা মেনে আমি ঘরের বাইরে বেরোইনি। আমি সবার কাছেই অনুরোধ করতে চাই, দয়া করে এই বিষয়টি মেনে বাড়িতেই থাকুন। কাউন্সিলার আমাদের পাশে থাকায় আমরা খুশি।
এবিষয়ে অসীমবাবু বলেন,আমরা ওই পরিবারগুলিকে এত ভালোভাবে নির্দেশিকা মানার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছি। তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফুল, চকোলেট, মাস্ক দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছি। করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে সবাইকেই যে লকডাউন মেনে চলতে হবে, তা বুঝিয়েছি। করোনার মোকাবিলা করতে এটাই একমাত্র পথ।
রায়গঞ্জ পুর এলাকার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন অনেক বাসিন্দা। ভিন রাজ্যে পড়াশোনা করতে যাওয়া পড়ুয়াই হোক, বা বিভিন্ন কাজে বিদেশে যাওয়া মানুষ- তাঁরা সকলেই বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাঁদের বাড়ির বাইরে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে একটি করে পোস্টার টাঙানো রয়েছে। সেখানে তাঁরা কবে বাইরে থেকে এসেছেন এবং তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ কবে শেষ হচ্ছে তা লিখিতভাবে রয়েছে।