বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
হাসপাতাল সুপার সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, শৌচাগারের জিনিসপত্র চুরি করায় দুই যুবককে নিরাপত্তারক্ষীরা আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন। রায়গঞ্জ থানা জানিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীরা চুরির অভিযোগে দু’জনকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
চুরির ঘটনা এদিন প্রথম নয়। হাসপাতলের কম্পিউটার থেকে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, জলের পাইপ লাইন সহ বিভিন্ন সামগ্রী চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০তলা বাড়িতে সোমবার কয়েকটি ওয়ার্ডের শৌচাগারের কলের যন্ত্রাংশ চুরি করে পালানোর চেষ্টা করে দুই যুবক। সপ্তাহখানেক আগেও তারা একই কায়দায় ওই ধরনের চুরি করে বিভিন্ন কল ব্যবহারের অনুপযুক্ত করে দিয়েছিল। হাসপাতালের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা রক্ষীদের ইনচার্জ জয়ন্ত রায় বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় আমরা ক’দিন আগেই দুজনকে চুরি করে পালানোর দৃশ্য দেখেছিলাম। এরপর সমস্ত নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে ওই চোরদের ছবি দেখানো হয়। এদিনও ওই দু’জন হাসপাতালে প্রবেশ করে। নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের গতিবিধি বুঝতে পেরে পিছু ধাওয়া করে। দু’জনকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটক দুই যুবকের বাড়ি রায়গঞ্জ লাগোয়া গোয়ালপাড়া ও শহরের দেবীনগর এলাকায়। তারা হাসপাতাল থেকে চোরাই মালপত্র কোথায় বিক্রি করতে সেটাও জেরায় জানিয়েছে। পুলিসকে আমরা চুরির বিষয়ে সবরকমের তথ্য তুলে দিয়েছি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিং থেকে কম্পিউটার, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রাংশ চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। দিনের পর দিন চুরির ঘটনা ঘটলেও আগে চোরেদের চিহ্নিত করা যেত না। ফাঁকফোকর পেলেই দুষ্কৃতীরা হাসপাতালের জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে যেত। সম্প্রতি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হলেও হাসপাতালের বেড থেকে এক রোগীর টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও রোগীর বাড়ির লোকেদের টাকা ছিনতাই, দুষ্কৃতী কার্যকলাপ চলছিল। রাতে বেলা ভয়ে ভয়ে থাকেন অসুস্থ রোগীর পরিবারের লোকজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পার পেয়ে যাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে ক্ষোভ জমেই ছিল এদিন দুই চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলায় জনতা উত্তমমধ্যম দেয়। পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে দালাল চক্রের রমরমা, নেশাখোরদের ট্রলি টেনে টাকার জুলুমে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। আয়া মাসিদের জুলুমবাজিও চলছে। এসবকিছুরই চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এদিনের ঘটনায় ঘটেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
হাসপাতাল চত্বরে রাতের বেলা দুষ্কৃতীদের ভয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরাও সিঁটিয়ে থাকেন। তারা সবকিছু দেখেও না দেখার মতো নিজেদের ডিউটি করেন। সবকিছু মিলে উন্নত পরিষেবার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর গড়া রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে কিছু সমাজবিরোধী অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া বানিয়ে ফেলেছে। কর্তৃপক্ষের একাংশের অভিযোগ, পুলিসের সহযোগিতা চাইলেও পাওয়া যায় না। এনিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিসের ডিএসপি প্রসাদ প্রধান বলেন, বহিরাগতদের ধরতে শীঘ্রই হাসপাতালে অভিযান চালানো হবে।